Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট কলেজ নামে এক ভুয়ো কলেজ চালানোর অভিযোগ উঠেছে

ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট কলেজ নামে এক ভুয়ো কলেজ চালানোর অভিযোগ উঠেছে
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে বেসরকারি নার্সিং, প্যারা মেডিক্যাল, হোটেল ম্যানেজমেন্ট,হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট,কম্পিউটার প্রভৃতি ট্রেডের কলেজ চালু করে শিক্ষিত বেকার ছেলেমেয়েদ…

 


ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট কলেজ নামে এক ভুয়ো কলেজ চালানোর অভিযোগ উঠেছে


পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে বেসরকারি নার্সিং, প্যারা মেডিক্যাল, হোটেল ম্যানেজমেন্ট,হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট,কম্পিউটার প্রভৃতি ট্রেডের কলেজ চালু করে শিক্ষিত বেকার ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতার কাজ সমানে চলছে। সম্প্রতি দেশপ্রাণ ব্লকের মুকুন্দপুর (চৌধুরীবাড়)বাজারে অল ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট কলেজ নামে এক ভুয়ো কলেজ চালানোর অভিযোগ উঠেছে। হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোর্সের নামে ভর্তি ফি বছরে ১০ হাজার এবং অন্যান্য ফি অাদায়ের নামে বছরে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমা নেওয়া হয়েছে। কিছু টাকার রসিদ দেওয়া হলেও বেশীর ভাগ টাকার রসিদই দেওয়া হয় না। ছাত্রছাত্রীদের স্যুট,কোর্ট, প্যান্ট ইত্যাদি স্কুল ইউনিফর্ম তৈরির নামে অভিভাবকদের ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত গুনাগার দিতে হয়।একটা ছোট অন্ধকার ঘরে পঠনপাঠনের নামে প্রহসন চলে।হোটেলে চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার নামে অারেক দফা প্রতারণা চলে।বেশ কয়েক বছর ধরে হোটেল ম্যানেজমেন্ট কলেজের নামে জাঁকিয়ে ব্যবসা চলছে।সম্প্রতি কাঁথি-৩ ব্লকের জামুয়াশঙ্করপুর গ্রামের বিধান পাত্র,নন্দীগ্রামের প্রদীপ গুড়িয়া,দেশপ্রাণ ব্লকের জয়কৃষ্ণ মন্ডল,সুজয় দলাই,শিবশঙ্কর পাত্র প্রমুখ ছাত্রদের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য তামিলনাড়ুর মামাল্লাপুরপ গ্র্যান্ডওয়ে রিসর্ট এন্ড স্পাতে নিয়ে যাওয়া হয়।উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক ডিগ্রী প্রাপ্ত ছেলেদের হোটেল ম্যানেজমেন্ট হাতেকলমে শিখানোর নামে হোটেলের বাথরুম, পায়খানা, প্রসাবখানা পরিষ্কার করানো হয়।এমনকি হাত দিয়ে পাবলিক টয়লেটের দেওয়ালাগা শুকনো মলও পরিষ্কার করানো হয়।রাস্তাঘাটের অাবর্জনা ও ময়লা সাফাই করতে হয় পড়ুয়া দের। থাকা ও খাওয়াদাওয়ার পরিস্থিতি পশুর থেকেও নিম্নমানের ছিল।এই দুরবস্থার খবর পেয়ে  অভিভাবকেরা তড়িঘড়ি বিমান বা ট্রেনের টিকিট কেটে  ছেলেদের ফিরিয়ে অানেন।তামিলনাড়ু যাওয়ার বিপুল খরচও বাবামায়েদের বহন করতে হয়। পড়ুয়া দের সাথে এই রকম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ বহু পুরানো। তামিলনাড়ু থেকে পড়ুয়ারা ফিরে এসে অমানুষিক নির্যাতন ও প্রতারণার প্রতিকার চেয়ে প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন সহ বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করে। হোটেল ম্যানেজমেন্ট কলেজের কর্ণধার প্রসেনজিৎ মাইতি(৯৯৩২০০৩৩৬২) ও চন্দন বেরা'র সাথে যোগাযোগ করে ফি ফেরত চায়।পড়ুয়া বিধান পাত্র(৭০৬৩৪৬৪৩৮৯),প্রদীপ গুড়িয়া প্রমুখের কিছু টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। বাকী দের ক্ষেত্র ফি ফেরত দেওয়ার কোন হেলদোল নেই।এই ধরনের ছাত্রছাত্রীদের ঠকানোর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নেওয়ার দাবী তে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক( মাধ্যমিক), নন্দীগ্রাম ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য অাধিকারিককে জরুরী বার্তা পাঠিয়েছেন প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন।

No comments