Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পূর্ব মেদিনীপুরে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৩২

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৩২জন করোনা আক্রান্ত ২৪ঘণ্টায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৩২জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় জেলায় দৈনিক টেস্টের সংখ্যা অন্তত তিন হাজার করার টার্গেট রাখা হয়েছে। যে সব জায়গায় একসঙ্গে চার-পাঁচ…

 




পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৩২জন করোনা আক্রান্ত

 ২৪ঘণ্টায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৩২জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় জেলায় দৈনিক টেস্টের সংখ্যা অন্তত তিন হাজার করার টার্গেট রাখা হয়েছে। যে সব জায়গায় একসঙ্গে চার-পাঁচজন সংক্রামিত, সেই এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই স্বাস্থ্যজেলার সিএমওএইচদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার থেকে জেলার প্রত্যেকটি বাজারে নজরদারি চালানো হবে। বাজারে বিনা মাস্কে কেউ যাতে না থাকেন, সে ব্যাপারে বাজার কমিটিকেই দায়িত্ব নিতে হবে। পাশাপাশি মঙ্গলবার থেকেই বিডিও, থানার আইসি এবং ওসিরা রাস্তায় নেমে কোভিডবিধি নিয়ে তদারকি করবেন।

পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এই মুহূর্তে পূর্ব মেদিনীপুরের ৩০০বেডের সরকারি কোভিড হাসপাতাল। টানা কয়েকদিন ওই হাসপাতাল রোগীশূন্য ছিল। রবিবার সকালেও মাত্র দু’জন ভর্তি ছিলেন। রবিবার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত আরও সাতজন সংক্রামিত ভর্তি হয়েছেন। এই মুহূর্তে মোট ন’জন করোনা আক্রান্ত ভর্তি। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি উপসর্গযুক্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। ২৪ডিসেম্বর থেকে ২জানুয়ারি পর্যন্ত দীঘায় রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক সমাগম হয়েছিল। কলকাতা এবং অন্য জেলা থেকে অনেকেই এসেছিলেন। কয়েকদিনের লাগামহীন ভিড় চিন্তায় রেখেছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তরকে। এক্ষেত্রে আগামী সাতদিন খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে চিকিৎসকরা বলছেন। করোনার গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দৈনিক কোভিড টেস্ট ন্যূনতম তিন হাজার করার টার্গেট রাখা হয়েছে। এর মধ্যে দু’হাজার র‌্যাপিড এবং এক হাজার আরটিপিসিআর টেস্ট। প্রতি ব্লকে একটি করে সেফ হোম তৈরির পরিকাঠামো দেখে রাখার জন্য বিডিওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবক’টি বড় হাসপাতালে ৫০বেডের কোভিড ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। এর বাইরে জেলার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঁচটি, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১০টি এবং গ্রামীণ হাসপাতালে ২০টি করে বেড আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে।

করোনা দ্রুত ছড়ালেও রাস্তাঘাটে অনেকের মধ্যে মাস্ক পরা নিয়ে অনীহা প্রকট। সোমবার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিডিও অমিত গায়েন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজেশ হাজরা প্রমুখ কাঁকটিয়া বাজারে মাস্ক ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করতে বের হন। পথচলতি বহু মানুষের মুখে মাস্ক নেই। ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে তাঁদের মাস্ক দেওয়া হয়। তমলুক শহরে হাসপাতাল মোড় এলাকায় মাস্কহীন পথচলতি মানুষজনকে মাস্ক পরায় পুলিস। অনেকের আবার মাস্ক থুতনিতে ঝুলছে। জেলায় প্রতিটি বাজার কমিটিকে বাজারে আসা মানুষজনকে মাস্ক পরা বাধ্য করতে হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বাজার কমিটি মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে বসবে। করোনার বাড়বাড়ন্তে তমলুকে জেলাশাসকের অফিসে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভিজিটররা এবার ইচ্ছেমতো অফিস বিল্ডিংয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবেন না। তাঁদের একটি ঘরে বসানো হবে। সেখান থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ডিএমের সঙ্গে কথা বলতে হবে।

বিধি-নিষেধের জেরে শীতকালীন বিভিন্ন মেলা, উৎসবের ক্ষেত্রে কী হবে, সেটাই সোমবার দিনভর চর্চার বিষয় ছিল। জেলায় সরকারি এবং বেসরকারি একগুচ্ছ মেলা ও উৎসব হওয়ার কথা। বিডিও-রা এনিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আপাতত কোনও উৎসব কিংবা মেলা বন্ধ নয় বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে, সেখানে জমায়েত ৫০জনের কম করতে হবে বলে শর্ত রাখা হয়েছে। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩২জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। সংক্রমণ বাড়ছে। তাই আমাদের প্রত্যেককে কোভিডবিধি মেনে চলতে হবে। সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় আমরা এই লড়াইয়ে জয়ী হব।

No comments