Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বন্দরে ডক বেসিনে ড্রেজিংয়ের পর "বর্জ্যযুক্ত পলি" নদীতে ফেলায় বিতর্ক

বন্দরে ডক বেসিনে ড্রেজিংয়ের পর "বর্জ্যযুক্ত পলি"  নদীতে ফেলায় বিতর্কবন্দরে ডক বেসিনে ড্রেজিংয়ের পর "বর্জ্যযুক্ত পলি"  নদীতে ফেলায় দূষণ বিতর্ক.. ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।https://youtu.be/3DoqD-gCzHEভারতের যশস…

 



বন্দরে ডক বেসিনে ড্রেজিংয়ের পর "বর্জ্যযুক্ত পলি"  নদীতে ফেলায় বিতর্ক

বন্দরে ডক বেসিনে ড্রেজিংয়ের পর "বর্জ্যযুক্ত পলি"  নদীতে ফেলায় দূষণ বিতর্ক..

 ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।https://youtu.be/3DoqD-gCzHE

ভারতের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নদী পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য নমোমী গঙ্গে দূষণ রোধে সমস্ত রকমের ব্যবস্থা নিয়েছেন। এলাকার আবর্জনা নদীগর্ভে যাতে না ফেলানো হয় তার জন্য সরকারিভাবে সমস্ত রকম বিধি নিয়োগ করা হয়েছে কিন্তু হলদিয়া বন্দরের ডক বেসিনে ড্রেজিং করার পর ‘বর্জ্যযুক্ত পলি’ নদীতে ফেলায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সালফার, কয়লা, বিভিন্ন ধরনের তেল ও বিপজ্জনক রাসায়নিক মেশা টন টন পলি থেকে নদী দূষণের অভিযোগ তুলেছেন পরিবেশবিদ ও নদী বিশেষজ্ঞরা। ডক বেসিনে ড্রেজিং করার পর প্রতিদিন ওই ‘দূষিত’ পলি নয়াচর সংলগ্ন এলাকায় সবার অজান্তে হুগলি নদীতে ফেলা হচ্ছে। প্রস্তাবিত ফিশিং হাবের পাশে এভাবে দূষিত পলি ফেলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর ফলে আগামী দিনে নদীর স্বাভাবিক বাস্তুতন্ত্রের বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন জীববিদ্যার গবেষক ও মৎস্যদপ্তরের আধিকারিকরা। যদিও বন্দর কর্তৃপক্ষ নদী দূষণকে কার্যত গুরুত্ব দিতে নারাজ। বন্দরের পদস্থ আধিকারিকরা ডক বেসিনে ড্রেজিং করার পর সেই পলি নদীতে ফেলার বিষয়টি স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে দেখছেন। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদও এবিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে।


বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২৫কোটি টাকা খরচে হলদিয়া বন্দরের ডক বেসিন ড্রেজিং করে খননের কাজ শুরু হয়েছে। টেন্ডার ডেকে কিছুদিন আগে একটি ঠিকাদার সংস্থাকে ডক এলাকা খননের জন্য পাঁচ বছরের মেনটেন্যান্স ড্রেজিংয়ের বরাত দেওয়া হয়। পণ্যবোঝাই জাহাজ চলাচলের জন্য ডক বেসিনের গভীরতা সবসময় ৯মিটার বজায় রাখতে হয়। কিন্তু বছরভর বার্থে পণ্য ওঠানামার সময় জাহাজ থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ডকে জমা হয়। বার্থ জেটির কাছে ড্রেজিং না করলে জাহাজ চলাচলে সমস্যা হয়। সেজন্য গ্র্যাব ড্রেজিং করে জমা পলি সরানোর কাজ শুরু করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। গ্র্যাব ড্রেজিং অর্থাৎ বার্জের উপর বসানো বিশেষ ক্রেনের সাহায্যে এই ড্রেজিং করা হচ্ছে। তারপর তা বন্দর থেকে তিন-চার নটিক্যাল মাইল অর্থাৎ ছ’-সাত কিলোমিটার দূরে নদীতে ফেলে আসছে ওই বার্জ।বিশেষজ্ঞরা বলেন, হলদিয়া বন্দরে থার্মাল কোল, কোকিং কোলের মতো নানা ধরনের কয়লা, মিহি কার্বন, লৌহ আকরিক, সালফার, রক ফসফেট, লাইমস্টোন জাহাজে ওঠানামা করে। আবার তরল পণ্যের মধ্যে রয়েছে পেট্রলিয়ামের নানা প্রোডাক্ট এবং প্যারাজাইলিনের মতো বিভিন্ন ধরনের বিপজ্জনক রাসায়নিক তরল। পণ্য ওঠানামার সময় কিছুটা ডকের জলে মেশে। দীর্ঘদিন ধরে জমে এগুলি ডকের পলির সঙ্গে মিশে যায়। যেহেতু লকগেট দিয়ে ডক বেসিন বন্ধ করা থাকে, সেজন্য এগুলি সরাসরি নদীতে মেশে না। ডকের মধ্যেকার পলিমাটিতে নানা ধরনের পদার্থ টন টন মেশার ফলে সেগুলি বিষিয়ে গিয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল বর্জ্যের সমতুল হয়ে যায়। সেজন্য ডক বেসিনের বর্জ্য পলির নমুনা রিপোর্ট তৈরি ও পরিবেশের ছাড়পত্র নেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।মহিষাদল রাজ কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান গবেষক শুভময় দাস হলদিয়া বন্দর সংলগ্ন এলাকা, শিল্পাঞ্চল সহ নয়াচর এলাকায় হুগলি ও হলদি নদীর জল ও মাটির নমুনা নিয়ে প্রায় এক দশক ধরে কাজ করছেন। তাঁদের গবেষণায় উঠে এসেছে, ভারী ধাতু সহ একাধিক বিপজ্জনক পদার্থের দূষণের কারণে বিভিন্ন ধরনের মাছের প্রজাতি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গঙ্গা অ্যাকশান প্ল্যানে যখন শিল্প কারখানাগুলিকে হুগলি নদীতে জিরো ডিসচার্জের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, তখন কীভাবে ডক বেসিনের পলি সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শুভময়বাবুর মতো অন্যান্য বিজ্ঞানীরা। শুভময়বাবু বলেন, হলদি ও হুগলির মোহনা এলাকা মাছের ব্রিডিং গ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত। হলদিয়া বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমলকুমার মেহেরা বলেন, ডকের পলির মধ্যে কয়লা ছাড়া আর কিছুই তেমন নেই। এগুলি নদী ছাড়া কোথায় ফেলা হবে? হলদিয়া দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিক প্রসূন মণ্ডল বলেন, বন্দরকে কনসেন্ট টু অপারেট সার্টিফিকেট দেয় পরিবেশ দপ্তর। কিন্তু ড্রেজিং বিষয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব না। আগামী দিনে হলদিয়া বন্দরের ভবিষ্যৎ কি অন্ধকার? সমস্ত রাজনৈতিক দলের মধ্যে সেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।



No comments