ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।https://youtu.be/QSSPLwcJEbYভোট-পরবর্তী হিংসা বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি নন্দীগ্রামে খুনের ঘটনায় চার্জশিট জমা দিল সিবিআই হলদিয়া আদালতেভোট পরবর্তী হিংসায় নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনায় …
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।https://youtu.be/QSSPLwcJEbY
ভোট-পরবর্তী হিংসা বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি নন্দীগ্রামে খুনের ঘটনায় চার্জশিট জমা দিল সিবিআই হলদিয়া আদালতে
ভোট পরবর্তী হিংসায় নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনায় ১১ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হলদিয়া কোর্টে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। ওই ১১ জনকে জেরা করার জন্য গত ৯ অক্টোবর হলদিয়ায় সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেদিনই প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করা হয়। সিবিআই হেফাজত শেষে এখন সকলেই জেল হেফাজতে রয়েছে। তিন মাসের মধ্যে ৬জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করল তদন্তকারী সংস্থা। ওই খুনের মামলায় তিনজন মে মাসে ধরা পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে আগেই চার্জশিট জমা পড়েছিল। সেই তিনজনের মধ্যে দু’জন জামিনে রয়েছে।
জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ হাবিবুল ওরফে নান্টু, তৃণমূলের ব্লক কমিটির নেতা তথা নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী বাইতুল ইসলাম, কেন্দামারি-জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা স্থানীয় প্রধানের স্বামী শেখ সাহাবুদ্দিন সহ মোট ১১ জন এই মুহূর্তে জেলবন্দি। তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়েছে। ওই খুনের ঘটনায় আরও ১১ জনকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করলেও তাঁরা হাজিরা এড়িয়েছেন। সেই তালিকায় জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শেখ সুপিয়ান, নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আবু তাহের সহ নন্দীগ্রাম জমি রক্ষার আন্দোলনে একঝাঁক সামনের সারি নেতা রয়েছেন। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোট পরবর্তী হিংসার নামে বেছে বেছে নন্দীগ্রামে শাসক দলের নেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে। নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে যাঁরা ভোটে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, বেছে বেছে সিবিআইকে দিয়ে তাঁদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি স্বদেশ দাস বলেন, এখানকার বিধায়কের অঙ্গুলিহেলনে সিবিআই কাজ করছে। শুক্রবারও ভাঙাবেড়ায় শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে এসে নন্দীগ্রামের বিধায়ক দাবি করেন, দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনায় এখানকার ৮০ শতাংশ জমি ফাঁকা করে দিয়েছেন। বাকি ২০ শতাংশ ফাঁকা করে দেবেন। তাঁর এই বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার, সিবিআই কার কথায় কাজ করছে। আসলে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর যোগ্য জবাব দেবেন নন্দীগ্রামের মানুষ।
গত ৩ মে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের চিল্লগ্রামের বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি হামলার শিকার হন। ১৩ তারিখ চিকিৎসাধীন অবস্থায় কলকাতার একটি হাসপাতালে মারা যান। তাঁর ভাইপো সুশান্ত মাইতি নন্দীগ্রাম থানায় এফআইআর করেন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোটপবরর্তী হিংসার মামলা সিবিআই নেওয়ার পর গত ৩০আগস্ট তারা ওই মামলায় কেস রেজিস্ট্রার করে তদন্ত শুরু করে। এপর্যন্ত মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা।
No comments