Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

উন্নয়নের নামে গাছ কাটা! বনদপ্তর এর বাধা স্থানীয় মানুষের অভিযোগে সোচ্চার হলেন বিজ্ঞান মঞ্চ ও পরিবেশপ্রেমী সংগঠন

উন্নয়নের নামে বৃক্ষ ধ্বংস! বনদপ্তর এর বাধা স্থানীয় মানুষের অভিযোগে সোচ্চার হলেন বিজ্ঞান মঞ্চ ও পরিবেশপ্রেমী সংগঠন 
বনদপ্তরের বাধায় হলদিয়া পুরসভা চত্বরে গাছ কাটা বন্ধ হল। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ পেয়ে এবিষয়ে প্রতিবাদ জানায় বিজ্ঞান…

 



উন্নয়নের নামে বৃক্ষ ধ্বংস! বনদপ্তর এর বাধা স্থানীয় মানুষের অভিযোগে সোচ্চার হলেন বিজ্ঞান মঞ্চ ও পরিবেশপ্রেমী সংগঠন 


বনদপ্তরের বাধায় হলদিয়া পুরসভা চত্বরে গাছ কাটা বন্ধ হল। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ পেয়ে এবিষয়ে প্রতিবাদ জানায় বিজ্ঞানমঞ্চ ও পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলি। তারাই পুরসভা চত্বরে গাছ কাটার বিষয়টি নজরে আনে জেলা বনদপ্তরের। এরপর বনদপ্তরের আধিকারিকদের সক্রিয়তায় গাছ কাটা বন্ধ হয়। অভিযোগ, পুর কর্তৃপক্ষ বনদপ্তরের অনুমতি না নিয়েই গাছ কাটছিল। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের এভাবে গাছ কাটা আইন বিরুদ্ধ। এইঘটনায় রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। রবিবার হলদিয়া পুরসভা চত্বরে পুরনো গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই গাছ কাটা নিয়ে দিনভর পুর কর্তৃপক্ষ ও বনদপ্তরের মধ্যে টানাপোড়েন চলে। বনদপ্তরের আধিকারিকের হস্তক্ষেপে আটকায় গাছ কাটা। অভিযোগ, উন্নয়নের অজুহাতে এদিন পুরসভা চত্বরে থাকা বড় কমদগাছ ও পাম গাছ কেটে ফেলা হচ্ছিল। গাছ কাটা নিয়ে পুরসভায় কোনও আলোচনাই হয়নি। 

পুরসভার যুক্তি, ক্যান্টিন ও নতুন তৈরি একটি চারতলা বিল্ডিংয়ের ক্ষতি করছিল গাছগুলি। সেজন্য গাছ কেটে ফেলা হচ্ছিল। জানা গিয়েছে, কদমগাছ কেটে একটি ঝকঝকে ক্যান্টিন তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই পুরসভা চত্বরে থাকা বেশ কিছু পুরনো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে উন্নয়নের অজুহাতে। কয়েকমাস আগে আম্বেদকরের মূর্তি বসানোর জন্য ঠিকাদার সংস্থা পুরসভার একটি পুরনো পাইন গাছ কেটে ফেলায় ব্যাপক হইচই হয়। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ওই গাছ লাগানো হয়েছিল। পুরসভা বিল্ডিংকে সবুজে ঘিরতে একসময় অনেক গাছ লাগানো হয়েছিল। অভিযোগ, সেই গাছের অনেকগুলি ইতিমধ্যেই উধাও হয়েছে বিল্ডিং তোলার নাম করে। বেশিরভাগ গাছের বড় ডাল কেটে গাছগুলিকে মৃতপ্রায় করে ফেলা হয়েছে। পুর চত্বরে একের পর এক গাছ কেটে ফেলায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে কর্মী ও বাসিন্দাদের মধ্যে। এবিষয়ে অবশ্য পুর কর্তৃপক্ষ নির্বিকার বলে অভিযোগ।

বিজ্ঞান মঞ্চের এক সদস্য বলেন, কয়েকদিন আগে থেকেই পুরসভা চত্বরে গাছ কাটা হবে বলে এলাকার লোকজন খবর দিচ্ছিলেন। সেজন্য বনদপ্তরকে বিষয়টি আগেভাগে জানানো হয়। তাঁরা পুর কর্তৃপক্ষকে গাছ কাটা বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন। তারপরও রবিবার সকালে ফের গাছ কাটা শুরু হয়। তখনই স্থানীয় লোকজন মোবাইলে ছবি তুলে পাঠায়। বনদপ্তরের জেলা আধিকারিককে গাছ কাটার সেই ছবি পাঠানো হয় বিজ্ঞানমঞ্চ ও পরিবেশ সংগঠনগুলির তরফে। সন্ধে নাগাদ বনদপ্তর বিজ্ঞানমঞ্চকে খবর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানায়। প্রশ্ন উঠেছে, বনদপ্তর পুরসভাকে সতর্ক করার পরও কীভাবে গাছগুলি কেটে ফেলা হচ্ছিল। পুরসভার এক কর্মী বলেন, বনদপ্তরের আধিকারিকদের আমরা ঢুকতে নাও দিতে পারতাম। তাহলে গাছ কাটা হয়ে যেত। আগে উন্নয়ন দরকার। ঝামেলা এড়ানোর জন্য তা করা হয়নি। 

জেলা বন আধিকারিক অনুপম খান বলেন, ২০০৭সালের বন আইন অনুযায়ী, পুরসভা চত্বরে একটি গাছ কাটতে গেলেও বনদপ্তরের অনুমতি নিতে হবে। কেন পুরসভা বা সরকারি অফিস গাছ কাটছে তার যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দিয়ে আবেদন করতে হবে। হলদিয়া পুরসভায় গাছ কাটা হবে খবর পাওয়ার পর তাদের সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরও গাছ কাটার খবর পেয়ে রেঞ্জ অফিসার দীপক মণ্ডল ঘটনাস্থলে যান। তিনি গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করেন। পুরসভাকে এজন্য নিয়ম মেনে অনুমতি নিতে বলা হয়েছে। পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার রবীন্দ্রনাথ জানা বলেন, ছুটির দিনে কী হয়েছে ঠিক বলতে পারব না। তবে গাছ কাটার বিষয়টি জানি না। বনদপ্তর আমাকে ফোন করলেও তা অন্য বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র প্রামানিক বলেন, পুরসভা চত্বরে গাছ কাটা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।

No comments