Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

আশ্রমের আবাসিকদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব প্রচেষ্টা

আশ্রমের আবাসিকদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব প্রচেষ্টা
প্রদীপ কুমার মাইতি,পূর্ব মেদিনীপুর, অন্ত্যোদয় অনাথ আশ্রম, পাঁউশীতে রবিবার উদ্বোধন হয় পাটজাত দ্রব্য সামগ্রী প্রস্তুতির শিক্ষণ কেন্দ্র "নীলাংশু সাহা জুটমেড প্রডাক্…

 




আশ্রমের আবাসিকদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব প্রচেষ্টা


প্রদীপ কুমার মাইতি,পূর্ব মেদিনীপুর, অন্ত্যোদয় অনাথ আশ্রম, পাঁউশীতে রবিবার উদ্বোধন হয় পাটজাত দ্রব্য সামগ্রী প্রস্তুতির শিক্ষণ কেন্দ্র "নীলাংশু সাহা জুটমেড প্রডাক্ট ট্রেনিং সেন্টার"। কলকাতার বাসিন্দা তথা ডিআইজি কারা নবীন কুমার সাহা ও শিক্ষীকা অদিতি রায় অনেক দিন ধরে সামাজিক প্রকল্পের পাশাপাশি আশ্রমের সাথে যুক্ত। তাঁদের একমাত্র ছেলে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, সেক্ষেত্রেই ওই দম্পতি ছেলের নামে নামকরন করে জুটমিট ট্রেনিং সেন্টারের। আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী বলরাম করণের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁরা আশ্রমের ছেলে মেয়েদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণে ব্যবহারের জন্য তিনটি পাটজাত পণ্য সেলাই মেশিন, কাটিং মেশিন,স্ক্রিণ প্রিন্টিং টেবিল ও পাটজাত পণ্য তৈরির কাঁচামাল দেন। অমৃত অধিকারী এই বিষয়ে একজন খুব অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক ,রে কারনে গিণিশবুকেও নাম রয়েছে তাঁর। তিনি আবাসিকদের যাবতীয় পণ্য প্রস্তুতি হাতে শেখাবেন।পাটের তৈরি নানান ধরনের ব্যাগ,মানিপাশ,স্কুল ব্যাগ, টেবিল ক্লথ,মূর্তি সহ একাধিক পাটজাত দ্রব্য কিভাবে তৈরি হয়, তা হাতেই প্রশিক্ষণ দেবেন উপযুক্ত প্রশিক্ষকেরা।  বলরামবাবুর উদ্যোগ ও তত্ত্বাবধানে অন্ত্যোদয় অনাথ আশ্রমে উদ্বোধন হল সেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের। আশা করা হচ্ছে আবাসিকরা এই প্রশিক্ষণ পেয়ে স্বনির্ভর হয়ে উঠবে।

ডিআইজি কারা নবীন কুমার সাহা বলেন প্লাস্টিকের প্রচলন এখনো রয়েছে বহু জায়গায় সে ক্ষেত্রে আমরা জুটির মধ্য দিয়ে জুটের তৈরীর নানান সামগ্রিক যাতে ব্যবহার করা যায় সে দিকে আমাদের নজর দিয়েছি। তাই প্লাস্টিক বর্জন করার লক্ষ্যে জুটের ব্যবহার সর্বত্রই যাতে হয় সে ক্ষেত্রে ভগবানপুর এর পাঁউশি অন্ত্যোদয় অনাথ আশ্রমের আবাসিকদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে তাদের জুটের তৈরি নানা সামগ্রী শেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই আমরা জুট সামগ্রী আসাম মালিকের হাতে তুলে দিয়েছি। তা দিয়েই তৈরি হবে নানান সামগ্রী।

এ বিষয়ে প্রশিক্ষক অমৃত অধিকারী বলেন উদ্যোগ নেওয়ার কারণ হলো তাঁরা নিজেদের কাজ যাতে নিজেরাই করতে পারে, তাঁদের মধ্যে যে প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে তা প্রকাশ যাতে পায় সেদিকে আমাদের মূল লক্ষ্য। এতে করে আমাদের দেশে এখনও পর্যন্ত প্লাস্টিকের প্রচলন রয়েছে,তা বর্জন করার লক্ষ্যে জুটের ব্যবহার করা অবশ্যই প্রয়োজন। প্রথম ট্রেনিং এ প্রাথমিক স্তর শেখানো হচ্ছে,পরে আরও উন্নত মানের কিছু সামগ্রীক তৈরি শেখাবো।

পাঁউশি অন্ত্যোদয় অনাথ আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা বলরাম করন বলেন আমরা ছোট থেকেই ওদের বড় করে তুলছি, আশ্রমের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার পাশাপাশি হাতের কাজ কিছু শিখিয়ে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য এমন উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। কারণ ভবিষ্যতে কোনদিন যেন ওরা হতাশ হয়ে না পড়ে, ওরে নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বাবলম্বী হতে পারে এই প্রচেষ্টায় আমরা করছি। শুধু তাই নয় এই আশ্রমের অনেক মেয়েই আজকে নার্সিং ট্রেনিং করে বড় বড় জায়গায় চাকরি পেয়েছে, তাই কলকাতার ডিআইজি কারা নবীন কুমার সাহা ও তাঁর সহধর্মিনী দুজনে মিলে আমাদের আশ্রম এর আবাসিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এতে করে আমরা আপনিতো ভবিষ্যতেও উনারা আমাদের পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

আশ্রমের আবাসিকরা এ দিনের জুটমেট প্রোডাক্ট ট্রেনিং সেন্টারের উদ্বোধনে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষকের কাছে মেশিনের সাহায্যে কিভাবে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী তৈরি করা হয় তা হাতেনাতে আগ্রহের সাথে শেখে।

এ বিষয়ে আবাসিক রিয়া মাল বলেন এই প্রশিক্ষণ যে আমাদের দেওয়া হচ্ছে তাতে করে আমরা খুব খুশি তাই আগ্রহের সাথেই আমরা শিখতে চাই। তাতে করে আমরা নিজেরাই স্বনির্ভর হতে পারব, ভবিষ্যতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারব।

আরেক আবাসিক শ্রাবণী দাস বলেন এমন উদ্যোগে আমরা খুশি, কারণ সবাই তো আর পড়াশোনায় ভালো হয় না, অনেকেই এমন ধরনের হাতের কাজের উদ্যোগে তাই এমন প্রচেষ্টা খুব ভালো লাগছে আমরা আগ্রহের সাথেই শিখতে চাই।

No comments