শংসাপত্র নিতে গেলে টাকা দিতে হবে! বিজ্ঞপ্তিতে বিতর্ক নজরে আসায় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শোকজ
শংসাপত্র দেওয়ার বিনিময়ের টাকা নেওয়ায় বিজ্ঞপ্তিতে বিতর্ক। সুতাহাটা ব্লকের কুকড়াহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে বিজ…
শংসাপত্র নিতে গেলে টাকা দিতে হবে! বিজ্ঞপ্তিতে বিতর্ক নজরে আসায় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শোকজ
শংসাপত্র দেওয়ার বিনিময়ের টাকা নেওয়ায় বিজ্ঞপ্তিতে বিতর্ক। সুতাহাটা ব্লকের কুকড়াহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় জন্ম-মৃত্যু, উত্তরাধিকারী এবং বিলম্বিত জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র নিতে গেলে দিতে হবে অঞ্চল কর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, , ২৫ জানুয়ারি কুকড়াহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি পঞ্চায়েতের অফিসের দেওয়ালে লাগানো হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ২১ জানুয়ারি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আয়ের শংসাপত্র নেওয়ার জন্য দিতে হবে ২০ টাকা জন্ম ও মৃত্যু শংসাপত্র নেওয়ার জন্য ৫০টাকা, বংশতালিকার জন্য দিতে হবে ৫০টাকা উত্তরাধিকারী শংসাপত্রের জন্য দিতে হবে ১০০টাকা। বিলম্বিত জন্ম ও মৃত্যু শংসাপত্রের জন্য ২০০ টাকা সমরূপ/বিকল্প জন্ম ও মৃত্যু শংসাপত্র পেতে গেলে পঞ্চায়েতের কাছে২০০ টাকা জমা দিতে হবে। যদিও অন্যান্য একাধিক পঞ্চায়েত সদস্যদের দাবি, পঞ্চায়েতের প্রধান ঘনিষ্ঠ সদস্য সংখ্যা বেশি আছে সেই ক্ষমতাতেই প্রধান এই রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য সেখ আনিসুল হক বলেন, যে সাধারণ সভা থেকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল সেই সভাতে আমি উপস্থিত ছিলাম। এই সিদ্ধান্তের আমি প্রতিবাদ করি। আমি বলেছিলাম জেলা থেকে অনুমোদন নিয়েই অঞ্চল করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক । কিন্তু আমাদের প্রধান আমার প্রতিবাদে কর্ণপাত করেননি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন শংসাপত্র নিতে গেলে কোন টাকা লাগবে না সেই জায়গায় কুকড়াহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের এই বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি শুরু হয়েছে বিতর্ক। পঞ্চায়েতের এই ঘটনাকে ঘিরে তাজ্জব স্থানীয় বাসিন্দারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণার পরেও গ্রাম পঞ্চায়েতের এই পদক্ষেপ দেখে অবাক লাগছে।
কুকড়াহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেফালী ভৌমিক বলেন, আমার স্বাক্ষর নকল করে এরকম বিজ্ঞপ্তি কে করেছে বলতে পারব না।
বিষয়টিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
ভারতীয় মজদুর সংঘের সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার বিজলী বলেন, আগে লুকিয়ে কাটমানি নেওয়া হত। এখন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কাটমানি নেওয়ার পথ করে নিল তৃণমূল।
তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেব প্রসাদ মন্ডল বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পরেই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে শোকজ করা হয়েছে। দলের নীতির বাইরে গিয়ে তিনি কেন এই কাজ করলেন সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।
সুতাহাটা ব্লক প্রশাসনের সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত প্রধানকে সাধারণ সভার সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে বিডিও অফিসে দেখা করতে বলা হয়েছে।
সুতাহাটা ব্লকের বিডিও আসিফ আনসারী বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
No comments