মন খারাপ মৃৎশিল্পীদের; কোভিড অতি মারি বাড়িতেই একের পর এক সরস্বতী প্রতিমা অর্ডার বাতিল হতাশায় চিত্রকর পাড়া
বিধিনিষেধ ঘোষণা হতেই একের পর এক স্বরস্বতী প্রতিমার অর্ডার বাতিল হচ্ছে।হতাশ হলদিয়ার চিত্রকর পাড়ার মৃৎশিল্পীরা করোনা সংক্রম…
মন খারাপ মৃৎশিল্পীদের; কোভিড অতি মারি বাড়িতেই একের পর এক সরস্বতী প্রতিমা অর্ডার বাতিল হতাশায় চিত্রকর পাড়া
বিধিনিষেধ ঘোষণা হতেই একের পর এক স্বরস্বতী প্রতিমার অর্ডার বাতিল হচ্ছে।হতাশ হলদিয়ার চিত্রকর পাড়ার মৃৎশিল্পীরা
করোনা সংক্রমণের জেরে গত বছর ধরে লকডাউন ও বিধিনিষেধের গোরোয় তেমন পুজো-পার্বণ অনুষ্ঠান হয়নি।ফলে বরাত না থাকায় প্রতিমা তৈরির কাজে ভাটা পড়েছিল।গতবছর পুজোর পর থেকে কোভিড কিছুটা থিতিয়ে যেতেই নতুন করে কাজের গতি এনে পুরোনো ছন্দে ফিরে আসার চেষ্টা করেছিল হলদিয়ার চৈতন্যপুরের চিত্রকর পাড়ায় মৃৎশিল্পীরা।কিন্তু নতুন বছরের শুরুতেই সেই আশায় কার্যত জল ঢেলে দিল নতুন করে বিধিনিষেধ।ফের করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের চোখ রাঁঙানি ও ওমিক্রমের লাগাতার আক্রমণের জেরে পুরোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিল তাদের।গত বছর ডিসেম্বর থেকে একের পর এক বরাত আসতে শুরু করে।নতুন করে কাজে গতি আনতে ধার-দেনা করে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে প্রতিমা গড়ার সরঞ্জাম কিনে বেশ কাজ চলছিল।প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে।এমতাবস্থায় রাজ্য সরকার বিধি নিষেধ জারি করতেই ফের একটা একটা করে অর্ডার বাতিল হচ্ছে।হতাশ চিত্রকর পাড়ায় মৃৎশিল্পীরা।হলদিয়ার চৈতন্যপুরের বাসিন্দা মিলন চিত্রকর এবার নয়,নয় করে ছোট বড় মিলিয়ে খান পঞ্চাশ-এর বেশি স্বরস্বতী প্রতিমা তৈরি করেছে।কিন্তু কতগুলো বিক্রি হবে সেই আশায় ঘুম উড়েছে শিল্পীর।মিলনবাবুর কথায় ভালো বরাত পেয়ে তিন-চারজন কারিগর নিয়ে উদ্যোমের সাথে কাজ শুরু করেছিলাম।কিন্তু যেদিন থেকে সরকার বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে একের পর এক অর্ডার বাতিল হচ্ছে।এই অবস্থায় এতগুলো ঠাকুর তৈরি করে ফেলেছি।এখন কি করবো খুঁজে পাচ্ছি না।এমনিতেই দু'বছর ব্যবসায় মন্দা গিয়েছে ফের বিপুল টাকার লোকসান।সংসার চালাতে পারছি না।বহু টাকার প্রতিমা গড়ার সরঞ্জাম পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে।একই অবস্থা হলদিয়ার গ্ৰামীন এলাকায় মৃৎশিল্পীদের।দীর্ঘ কুড়ি মাস পর ধীরে ধীরে স্কুল-কলেজ খুলতেই স্বরস্বতী প্রতিমা তৈরির জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন তারা।কিন্তু ফের স্কুল-কলেজ বন্ধ।পুজো হবে কিনা আদৌ ঠিক নেই।হলেও ছোট করে হবে।দু'বছর বহু স্কুল নমো নমো করে ঘটপুজো করেই সেরেছে।এবারও তাই হবে?হলদিয়ার দেভোগের গ্ৰামীন মৃৎশিল্পী তপন ভৌমিক কয়েকবছর ধরে প্রতিমা গড়ে আসছেন।প্রতিবছর প্রায় ছোট,বড় মিলিয়ে ১৫-২০ টি স্বরস্বতী ঠাকুর তৈরি করেন।বেশিরভাগ ঠাকুর গ্ৰামের প্রাথমিক স্কুল গুলিতে যায়।গত দু'বছর ধরে স্কুল বন্ধ।তাই কাজের বরাত নেই।শিল্পীর কথায় সংসার টানতে অন্য পেশায় কাজ শুরু করেছি।স্বরস্বতী পুজোকে আর একমাসও বাকি নেই।কোভিড যে হারে বাড়ছে বিধিনিষেধ আরও দীর্ঘ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।সবমিলিয়ে আবারও উৎসবের মরশুমে বিমর্ষ মৃৎশিল্পীরা।
No comments