খেজুর গাছে হাঁড়ি বাঁধো মন, শিউলি দের মুখে হাসি ফুটেছে

খেজুর গাছে হাঁড়ি বাঁধো মন, শিউলি দের মুখে হাসি ফুটেছেপ্রদীপ কুমার মাইতি পূর্ব মেদিনীপুর,শীতের আমেজে বিখ্যাত নলেনের খেজুর গুড়ের স্বাদ কে না পেতে চায়!আর তা শীতের মরশুমে খেজুর গাছের মিষ্টিরস থেকে তৈরি হয় প্রসিদ্ধ নলেন গুড়। শিউল…

 

খেজুর গাছে হাঁড়ি বাঁধো মন, শিউলি দের মুখে হাসি ফুটেছে

প্রদীপ কুমার মাইতি পূর্ব মেদিনীপুর,শীতের আমেজে বিখ্যাত নলেনের খেজুর গুড়ের স্বাদ কে না পেতে চায়!আর তা শীতের মরশুমে খেজুর গাছের মিষ্টিরস থেকে তৈরি হয় প্রসিদ্ধ নলেন গুড়। শিউলি জাতির লোকেরা খেজুর গাছে হাঁড়ি অথবা প্লাস্টিকের ড্রাম বেঁধে খেজুর রস পেড়ে বাড়ি নিয়ে এসে মিষ্টিরস মেরে নলেনের গুড় তৈরি করে। তাঁরা তাঁদের নিজেদের বাড়িতেই উনুনে বড় কড়ায় খেজুর গাছের মিষ্টিরস ঢেলে ফুটিয়ে খেজুরের নলেনগুড় তৈরি করে। পরে তা হাঁড়িতে ঢেলে কোথাও পাইকারি দরে বা কোথাও হাটে বাজারে বিক্রি করে জীবন  প্রতিপালন করেন তাঁরা।শীতকালে খেজুরের নলেন গুড়ের চাহিদা ভীষণ দেখা যায়, যা বাজারে ১২০ থেকে ১৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এই নলেন গুড় তৈরির মধ্য দিয়েই জীবিকা নির্বাহ করে থাকে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার ব্লকের কুমরচক গ্রামের শিউলি জাতিরা।তাঁরা আগের দিন খেজুর গাছে উঠে তাঁর ছাল ছাড়িয়ে, (যা শিউলিদের ভাষায় সাদ্দি করে) হাঁড়ি ও ড্রাম ঝুলিয়ে দেন, পরদিন ভোরবেলায় খেজুর গাছে উঠে খেজুর রস ভর্তি হাঁড়ি ও ড্রাম নামিয়ে নিয়ে আসে তাঁরপর রস ভর্তি হাঁড়ি ও ড্রামগুলি বাড়ি নিয়ে আসে।তাঁরপর সেই খেজুর গাছের মিষ্টিরস কড়ায় ঢেলে উনুনে জ্বালানি দিয়ে ফোটালে গুড়ে রুপান্তরিত হয়। তাঁরপর তা বিক্রি করে নিজেদের জীবন প্রতিপালন করেন তাঁরা।শিউলি জাতির মহিলারাও নলেন গুড় তৈরিতে পিছিয়ে নেই। তাঁদেরকেও পরিবারের কর্তাদের সাথে গুড় তৈরির কাজে হাত লাগাতে দেখা যায়। কারণ তাঁদের পূর্ব পুরুষ থেকে প্রচলিত হয়ে আসছে এই নলেন গুড় তৈরির কাজ, যা আজও হয়ে চলেছে শিউলিদের প্রতিটা পরিবারে।