Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

দীঘা-শঙ্করপুর-তাজপুর-মন্দারমণি হোটেলকর্মীর কোভিড পরীক্ষা হবে

দীঘা-শঙ্করপুর-তাজপুর-মন্দারমণি হোটেলকর্মীর কোভিড পরীক্ষা হবে

বড়দিন ও নববর্ষে পর্যটকদের বাঁধভাঙা ভিড়ে সংক্রমণ ছড়িয়েছে কি না তা পরখ করতে দীঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর ও মন্দারমণির সমস্ত হোটেলকর্মী, মালিক ও দোকানদারদের করোনা টেস্ট শুরু হল…

 

 

দীঘা-শঙ্করপুর-তাজপুর-মন্দারমণি হোটেলকর্মীর কোভিড পরীক্ষা হবে



বড়দিন ও নববর্ষে পর্যটকদের বাঁধভাঙা ভিড়ে সংক্রমণ ছড়িয়েছে কি না তা পরখ করতে দীঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর ও মন্দারমণির সমস্ত হোটেলকর্মী, মালিক ও দোকানদারদের করোনা টেস্ট শুরু হল। মঙ্গলবার থেকে দীঘায় অঘোরকামিনী ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোভিড টেস্ট শুরু হয়েছে। প্রথম দিন মোট ১০৫ জনের টেস্ট হয়েছে। যদিও কারও পজিটিভ রিপোর্ট আসেনি বলে বিএমওএইচ বাপ্পাদিত্য গিরি জানিয়েছেন। ধারাবাহিকভাবে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এধরনের টেস্ট হবে।

তবে, গত ৩জানুয়ারি সোমবার থেকে বিধি-নিষেধ আরোপ হতেই শুনশান দীঘা। হোটেল খোলা থাকলেও পর্যটকের দেখা নেই। এই অবস্থায় ৫০শতাংশ হোটেল কর্মীকে ছুটি দিয়েছেন মালিকরা। সেইসব কর্মী দলবেঁধে বাড়ি চলে গিয়েছেন। এখন তাঁদের টেস্ট কীভাবে হবে, সেটাই বড় প্রশ্ন। এছাড়াও উদয়পুরে দীঘা-ওড়িশা সীমানায় নাকা পয়েন্ট করে সেখানে ওড়িশা থেকে আসা প্রত্যেকের র‌্যাপিড টেস্ট করা হবে। প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার ওড়িশাবাসী রোজগারের জন্য দীঘায় আসেন। তাঁদের মধ্যে গাড়ির চালক, দোকানদার, হোটেলকর্মী, হকার আছেন। তাঁদের নাকা পয়েন্টেই করোনা পরীক্ষা করা হবে। একবার টেস্ট হওয়ার তিন-চারদিন বাদে আবারও একই ব্যক্তির টেস্ট হবে। 

গত ২৪ ডিসেম্বর থেকেই দীঘায় জনস্রোত নামতে শুরু করে। ২ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় সব হোটেল হাউসফুল ছিল। হাজার হাজার পর্যটক সমাগম হওয়ায় স্থানীয় দোকানপাট এবং ব্যবসায়ীদের যথেষ্ট লক্ষ্মীলাভ হয়েছে। ৩জানুয়ারি থেকেই রাজ্যের সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ। দীঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর ও মন্দারমণিতেও ট্রাফিক ব্যারিকেড দিয়ে সি-বিচে যাওয়ার রাস্তা ঘিরে দেওয়া হয়। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিস। বিধি-নিষেধের কারণে পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে বলে দু’দিন ধরে ধারাবাহিকভাবে মাইকে প্রচার করা হয়েছে। এখন সমুদ্র সৈকত খাঁ-খাঁ করছে। কিন্তু, ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারির রেকর্ড ভিড় নিয়ে উদ্বেগ কাটছে না জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তরের।

সোমবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর মিটিংয়ে বসে ঠিক করেছে, দীঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর এবং মন্দারমণি সহ সৈকত শহরের সবকটি পর্যটন কেন্দ্রের হোটেলের কর্মী, নিরাপত্তারক্ষী, হোটেল মালিক এবং স্থানীয় দোকানদারদের র‌্যা঩পিড টেস্ট করা হবে। সেইমতো সবকটি হোটেল মালিক সংগঠনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নাকা পয়েন্ট তৈরি করে সেখানে টেস্টের ব্যবস্থা করতে রামনগর-১ বিডিও বিষ্ণুপদ রায়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলার সিএমওএইচ সৌম্য ষড়ঙ্গী বলেন, মঙ্গলবার থেকেই দীঘার হোটেল কর্মীদের করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এদিন একশোর বেশি টেস্ট হয়েছে। আগামী কয়েকদিন এটা চলবে। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, বড়দিন থেকে নববর্ষ পর্যন্ত দীঘায় বিপুল সংখ্যক পর্যটক সমাগম হয়েছিল। রাজ্যের নানাপ্রান্ত থেকে পর্যটকরা এসেছেন। অন্য রাজ্য থেকেও পর্যটক এসেছেন। এখন সেখানে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ল কি না, সেটা আমাদের যাচাই করে দেখে নেওয়ার দরকার। তাই ধারাবাহিকভাবে টেস্ট শুরু হয়েছে। বাংলা-ওড়িশা সীমানায় নাকা পয়েন্ট করে সেখানেও টেস্ট করে আসার অনুমতি দেওয়া হবে।

দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, এখন পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় ৫০ শতাংশ হোটেলকর্মীকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। সেই বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

No comments