মাত্র তিন মাসেই চল্লিশ গ্রামের গলদা হলদিয়ায় উন্নত গলদা চিংড়ির চাষ, পরিদর্শনে মৎস্য বিঞ্জানীহলদিয়ার উন্নত গলদা চিংড়ির চাষ শুরু হয়েছে। নাম “জি আই স্ক্যাম্পি”। ভূবিনেশ্বরে অবস্থিত সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অফ ফ্রেশ ওয়াটার একুয়াকালচার ব…
মাত্র তিন মাসেই চল্লিশ গ্রামের গলদা হলদিয়ায় উন্নত গলদা চিংড়ির চাষ, পরিদর্শনে মৎস্য বিঞ্জানী
হলদিয়ার উন্নত গলদা চিংড়ির চাষ শুরু হয়েছে। নাম “জি আই স্ক্যাম্পি”। ভূবিনেশ্বরে অবস্থিত সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অফ ফ্রেশ ওয়াটার একুয়াকালচার বা সংক্ষেপে “সিফা” – কেন্দ্রিয় মৎস্য গবেষনা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ডক্টর বিন্দু রমন পিল্লাই নির্বাচিত প্রজনন পদ্ধতিতে তে এই উন্নত গলদা চিংড়ির মীন তৈরি করেছেন। আমাদের রাজ্যের প্রথম হলদিয়া ব্লকের চারজন প্রগতিশীল মাছ চাষি এই উন্নত গলদার চাষ শুরু করেছেন। তিন মাস আগে এই বছর আগষ্টে গলদার মীন ছাড়া হয়েছিল। ইতি মধ্যেই এক একটি গলদা ৩০-৪০গ্রাম ওজন গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনি গলদার থেকে এর বৃদ্ধি যেমন অনেক বেশি তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি।
৩রা ডিসেম্বর শুক্রবার সিফার তরুনী বাঙালী মহিলা বিজ্ঞানী ফারহানা হক হলদিয়া ব্লকের গলদা চাষিদের ভেড়ি পরিদর্শনে আসেন। দেখা করেন হলদিয়া ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সঞ্জয় দাস, মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহুর সাথে। হলদিয়ার মৎস্য আধিকারিক হলদিয়া ব্লকের মাছ চাষের ক্ষেত্র গুলো ঘুরিয়ে দেখান। বড়বাড়ি গ্রামের শুভেন্দু বল্লভ, বাড় ঘাসিপুরের পবিত্র মুখার্জী, ডি ঘাসিপুরের কৃষ্ণ প্রসাদ সামন্ত ও বামুনচক গ্রামের শুভ্রজ্যোতি সাহুর মাছের খামার গুলো ঘুরে দেখেন। মাছ চাষিদের অভূতপূর্ব সাফল্যে খুশি এই মহিলা বিজ্ঞানী । হলদিয়া ব্লকের সভাপতি সুব্রত কুমার হাজরা বলেন, মাছ চাষে হলদিয়া অনন্য নজির, আমরা মৎস্যচাষিদের মানউন্নয়নে সর্বদা পাশে আছি। হলদিয়া ব্লকের মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, মাত্র তিন মাসেই উন্নত গলদার দ্রুত বৃদ্ধি মাছ চাষিদের দারুন উৎসাহিত করছে। রুই কাতলার সাথে গলদা চাষে শুধু দেশীয় বাজারই নয় বিদেশে রপ্তানির সম্ভবনা থাকায় এটি লাভজনক চাষ। মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ গোকুল মাজি জানান মাছ চাষে হলদিয়া রাজ্যসেরা ।
No comments