Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

নন্দীগ্রাম ভোটে কিছু কর্মী ‘অসহযোগিতা’ করেছেন, ভাইরাল সুব্রত বক্সির অডিও

নন্দীগ্রাম ভোটে কিছু কর্মী ‘অসহযোগিতা’করেছেন, ভাইরাল সুব্রত বক্সির অডিও



 দল বিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে পুরভোটে নির্দল হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া তনিমা চট্টোপাধ্যায় ও সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দলের নিয়ম-শৃঙ্খল…

 



নন্দীগ্রাম ভোটে কিছু কর্মী ‘অসহযোগিতা’করেছেন, ভাইরাল সুব্রত বক্সির অডিও





 দল বিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে পুরভোটে নির্দল হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া তনিমা চট্টোপাধ্যায় ও সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করলে, তাঁকে কোনওভাবেই যে রেয়াত করা হবে না, তা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। পুরভোটের রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যেই উঠে এল নন্দীগ্রাম ভোট প্রসঙ্গ। সেখানেও দলের কয়েকজন কর্মীর কাজকর্মে যে প্রশ্ন রয়েছে, তা উঠে এল তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির একটি বক্তব্যে। রবিবার সুব্রতবাবুর একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, কয়েকজন কর্মীর ‘অসহযোগিতার’ কথা। যদিও এই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘বর্তমান’। 

কলকাতা পুরভোট নিয়ে গত ২৬ নভেম্বর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। এরপর পুরোদস্তুর প্রচারে নেমে পড়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। ভোট প্রচারে প্রার্থীদের সমর্থনে পথসভা, মিছিল করছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই প্রেক্ষাপটেই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রচারে সম্প্রতি অংশ নিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়নের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরার বার্তা দেন তৃণমূল রাজ্য সভাপতি। ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের সবক’টি ওয়ার্ডেই জয় পেয়েছে তৃণমূল। এই জয়ের ধারা ধরে রাখার বার্তা সুব্রত বক্সি দিয়েছেন বলে জানান তৃণমূল কর্মীরা। দলীয় সূত্রে জানা যায়, ভবানীপুর প্রসঙ্গের কথা উল্লেখ করার সময় সুব্রতবাবুর বক্তব্যে ধরা পড়ে নন্দীগ্রামের ভোট। ওই ভোটে ষড়যন্ত্র ও কারচুপি হয়েছিল, তার অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মাত্র ১৯৫৬ ভোটে হারতে হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু নন্দীগ্রামের ওই ভোট নিয়ে একাধিক অভিযোগ সামনে এনে হাইকোর্টে মামলা রুজু করেছে তৃণমূল। যা এখন বিচারাধীন। এই অবস্থায় পুরভোটের প্রচারে গিয়ে সুব্রত বক্সিতে বলে শোনা গিয়েছে, ‘আমাদের দলের কিছু সহকর্মীর অসহযোগিতার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের প্রতিনিধি হতে পারলেন না। কিন্তু আমরা গর্ববোধ করি ভবানীপুরের মাটি থেকেই তিনি আবার নির্বাচিত হয়েছেন। বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।’ 

দলীয় সভায় করা সুব্রত বক্সির ওই বক্তব্য নিয়ে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে কোন কোন ‘সহকর্মী অসহযোগিতা’ করেছেন, তা অবশ্য তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির বক্তব্যে ধরা পড়েনি। 

এর আগে পুরভোটের প্রাক্কালে দক্ষিণ কলকাতায় বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে সুব্রত বক্সি বলেছিলেন, ‘কর্মীদের রাজনৈতিক খিদে থাকতে পারে। রাজনৈতিক খিদে থাকা অপরাধ নয়। কিন্তু রাজনৈতিক খিদে পূরণ না হলে জেহাদ ঘোষণা করা যাবে না। কারণ দলের বিরুদ্ধে গিয়ে জেহাদ ঘোষণা করলে সাধারণ মানুষ ও দলের অন্যান্য কর্মীরা স্বীকৃতি দেয় না।’ সেদিনই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ‘নির্দল’ প্রার্থী হলে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এরপর ১৪৪টি ওয়ার্ডের প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠকেও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দেন। সেখানেও বার্তা থাকে, দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গেলে বহিষ্কার করা হবে। তারপর দেখা গিয়েছে দুই নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল।

নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে যে বক্তব্য রেখেছেন, তা জানতে সুব্রত বক্সিকে একাধিক বার ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর মোবাইল বেজে গিয়েছে। যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। তবে দলীয় সূত্রের খবর, ওই বক্তব্য যে তাঁর, তা ঘনিষ্ঠ মহলে স্বীকার করেছেন সুব্রতবাবু।

No comments