অতিরিক্ত পনের দাবীতে গৃহবধুকে খুনের অভিযোগ স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে।পলাতক মৃতার স্বামী ও শাশুড়ি
১ বছর ৩ মাস আগে হিন্দুরিতি মেনে দাম্পত্য জীবন শুরু করেছিল কোলাঘাট থানার সাওরা গ্রামের মনীষা সাঁতরা মিত্র ও নন্দকুমার থানার কুমরচক গ…
অতিরিক্ত পনের দাবীতে গৃহবধুকে খুনের অভিযোগ স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে।পলাতক মৃতার স্বামী ও শাশুড়ি
১ বছর ৩ মাস আগে হিন্দুরিতি মেনে দাম্পত্য জীবন শুরু করেছিল কোলাঘাট থানার সাওরা গ্রামের মনীষা সাঁতরা মিত্র ও নন্দকুমার থানার কুমরচক গ্রামের বাসিন্দা শুভাশিষ মিত্র।বছর ঘুরতে না ঘুরতেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় শুভাশিস ও মণীষার দাম্পত্য জীবনে। শুভাশিস পেশায় একজন মোবাইল দোকানদার ছিলেন।মনীষার বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ প্রায়শই ব্যবসা বাড়ানোর জন্য মনীষাকে বাপের বাড়ি থেকে অতিরিক্ত টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হতো।কয়েকমাস আগে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সাথে বসে মীমাংসাও করেছিলেন মনীষার বাবার বাড়ির লোকজন।কিন্তু তাতেও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি।পরে আবারও টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করাহত মনিষাকে।টাকা দিতে নাকচ করায় মনীষার উপর চলত চরম অত্যাচার। অবশেষে গতকাল সকালে কুমরচক এলাকার প্রতিবেশী মারফত খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখেন ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে মনীষার দেহ।নন্দকুমার থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্ত করে কাল রাতেই মৃতদেহটির সৎকাজ করা হয়।পরিবারের অভিযোগ তার কানে এবং শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল।এবং মনীষার স্বামী ,শাশুড়ি ও ননদ অত্যাচার করে তাকে মেরে ফেলেছে।এই মর্মে নন্দকুমার থানায় গতকাল রাতেই একটি অভিযোগ দায়ের করে মনীষার বাবার বাড়ির লোকজনেরা। ইতিমধ্যেই মনীষার স্বামী শুভাশিস মিত্র ,শাশুড়ি ছবি মিত্র ও ননদ পলাতক।পুলিশের কাছে মনীষা মৃত্যুর সঠিক তদন্তের কাতর আবেদন মনীষার বাবা ও মায়ের।কঠোর শাস্তির আবেদন স্বামী শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে।ঘটনার তদন্ত শুরুকরেছে নন্দকুমার থানার পুলিশ।
No comments