মহিষাদলের উত্তর কাশিমনগরের মাইতি বাড়ির রাসযাত্রায় মেতে উঠলেন মানুষ। প্রায় ৩৮০বছরের পুরনো এই রাস উৎসব।
ময়না, পঁচেটের রাসযাত্রার মতো জাঁকজমক না থাকলেও, গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী এই রাস উৎসব দেখতে এখনও আবেগ ও হৃদয়ের টানে দূরদূরান্তের গ্রাম…
মহিষাদলের উত্তর কাশিমনগরের মাইতি বাড়ির রাসযাত্রায় মেতে উঠলেন মানুষ। প্রায় ৩৮০বছরের পুরনো এই রাস উৎসব।
ময়না, পঁচেটের রাসযাত্রার মতো জাঁকজমক না থাকলেও, গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী এই রাস উৎসব দেখতে এখনও আবেগ ও হৃদয়ের টানে দূরদূরান্তের গ্রাম থেকে ছুটে আসেন মানুষ।বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে রাসযাত্রা। এদিন রাত ৯টা নাগাদ সাজানো পাল্কিতে চেপে মাইতিবাড়ির কুলদেবতা রাধাগোবিন্দজিউ রাসমঞ্চে যান।মন্দির থেকে রাসমঞ্চ পর্যন্ত সামান্য পথ পেরতেই ঘণ্টা দুয়েক সময় চলে যায়। সারা রাত ধরে চলে কীর্তনগান ও বন্দনা। পরিবারের প্রবীণ সদস্য সঙ্কর্ষণ মাইতি বলেন, ১৬৪৩সাল নাগাদ পাঁশকুড়া সংলগ্ন কাশীজোড়া পরগণা থেকে বচ্ছিরাম মাইতি এই গ্রামে আসেন। ১৮৯৭ সালে রাধাগোবিন্দের জন্য মন্দির তৈরি হয়। কয়েক বছর আগে সেই মন্দির সংস্কার করা হয়। পরিবারের সদস্য প্রসেনজিৎ মাইতি বলেন, করোনার জন্য দু'বছর ধরে উৎসব কাটছাঁট করা হয়েছে। তবে রাতে রাসযাত্রা হলেও বহু মানুষের সমাগম হয়।
No comments