Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ছটপুজোতে মাতল বন্দরশহর

জগদ্ধাত্রী পুজোর সঙ্গে নয়া পার্বন ছটপুজোতে মাতল বন্দরশহর। হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে এখন ছটপুজোর আয়োজক বাঙালিরাও। বৃহস্পতিবার ভোরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় নদীঘাট, দীঘির পাড়ে ছটপুজোর সূর্যবন্দনা দেখতে উপচে পড়ল ভিড়। বিজ্ঞাপন
মহিলাদের সূর…

 






জগদ্ধাত্রী পুজোর সঙ্গে নয়া পার্বন ছটপুজোতে মাতল বন্দরশহর। হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে এখন ছটপুজোর আয়োজক বাঙালিরাও। বৃহস্পতিবার ভোরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় নদীঘাট, দীঘির পাড়ে ছটপুজোর সূর্যবন্দনা দেখতে উপচে পড়ল ভিড়। 

বিজ্ঞাপন


মহিলাদের সূর্যবন্দনার ছবি তোলার পাশাপাশি পুণ্যার্থীদের সঙ্গে সেলফি তেলারও হিড়িক পড়ে যায় সাতসকালে। ছটপুজোর শেষে বিভিন্ন জায়গায় পুজো কমিটিগুলি প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করে।

বিজ্ঞাপন


 রীতিমতো লাইন দিয়ে ছটপুজোর প্রসাদ ঠেকুয়া ও লাড্ডু নিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ছটপুজো নিয়ে শিল্পশহরে এমন উন্মাদনা আগে কখনও দেখা যায়নি। এদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে জগদ্ধাত্রী পুজোয় মাতোয়ারা হয়েছে হলদিয়ার গ্রাম শহর সর্বত্র। শিল্পশহরে মহিলা পরিচালিত জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ রয়েছে। 

হলদিয়ায় ছটপুজোর জন্য বড়মাপের ব্যবস্থাপনার আয়োজন করে পাতিখালি সঙ্কটমোচন সেবাকেন্দ্র। এদের উদ্যোগে দুর্গাচকে আইটিআই কলেজ মাঠ ও দীঘিতে ছটপুজোর ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও হলদিয়ার টাউনশিপ নদীঘাট ও দুর্গাচক এইচএফসি মাঠেও ছটপুজোর ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিটি জায়গায় হলদিয়া পুরসভার উদ্যোগে আলো ও ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া প্রতিটি ঘাটে সুরক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়। ভিড় সামলাতে পুলিস ও সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হয়। সঙ্কটমোচন কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী সুরেন্দ্র সিং বলেন, হলদিয়ায় কয়েক হাজার অবাঙালি পরিবার এবার ছটপুজোয় অংশ নিয়েছেন। গতবার করোনার জন্য সবাই অংশ নিতেন পারেননি। মুখ্যমন্ত্রী দু’দিন ছুটি দেওয়ায় সবার খুব সুবিধে হয়েছে। ছটপুজোর আয়োজনে বহু বাঙালিও রয়েছেন। গত কয়েক বছর ধরে হলদিয়া পুরসভার ছটপুজোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করায় সুবিধে হয়েছে। এজন্য ঘাটের ব্যবস্থা করেছে পুরসভা। এবার ছটপুজো উপলক্ষে সঙ্কটমোচন সেবাকেন্দ্রের উদ্যোগে প্রায় পাঁচশো গরীব মানুষকে নতুন জামাকাপড় ও শীতবস্ত্র দেওয়া হয়েছে। দুর্গাচকের স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জন প্রধান বলেন, গত ১০বছর ধরে ছটপুজো কমিটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। এটি এখন হলদিয়ার মানুষের কাছে নতুন পার্বন। কার্তিক ষষ্ঠীতে ছটপুজোর সঙ্গে শিল্পাঞ্চলে শুরু হয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজো। বুধবার সন্ধে থেকেই হলদিয়া ও মহিষাদলের বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করেন বিধায়ক, হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা। 

বিজ্ঞাপন


হলদিয়ার দুর্গাচক ‘ই’ ও ‘সি’ ব্লকে মহিলা পরিচালিত পুজো ঘিরে উন্মাদনা রয়েছে। এদের পুজো ৬বছরে পড়েছে। পুজোর চারদিন ধরে স্থানীয় মহিলারাই বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবেন। এদের ধুনুচি নাচ সবার নজর কাড়ে। হলদিয়ার মিলন অ্যাথলেটিক ক্লাবের পুজোয় থিমে প্রতিমা দেখতে ভিড় করছেন মানুষ। গ্রামের মধ্যে ২১বছর ধরে জগদ্ধাত্রী পুজো করছে দেভোগ মনোহরপুর ভিবজিওর ক্লাব। পুজো উপলক্ষে তারা স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করেছে।পুজো কমিটির সম্পাদক মন্টু জানা বলেন, নবমীতে দুপুরে খিচুড়ি ভোগ বিতরণের ব্যবস্থা হয়েছে। পুজো উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হবে। কুকড়াহাটির শ্রকৃষ্ণপুরে আপনজন সঙ্ঘের জগদ্ধাত্রী পুজো এবার ৩১বছরে পড়েছে। ব্রজলালচক উদয়ন সমাজকল্যাণ সঙ্ঘের পুজোয় কু‌ইজ, বস্ত্র বিতরণ ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মহিষাদলের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ জগদ্ধাত্রী পুজো হয় ইছাপুরে। ইছাপুর বাজারে রূপক সঙ্ঘের পুজো এবার ৩৭বছরে পড়েছে।

No comments