Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

৫ ই নভেম্বর দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের জন্মদিন-সনৎকুমার বটব্যাল

#  ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ক্যালেন্ডারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন/ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের জন্মদিন/  দেশবন্ধু ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যারিস্টার, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা,কবি,সাহিত্যিক,সম্পাদক ( নারায়ন),সাম্প্…

 



#  ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ক্যালেন্ডারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন/ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের জন্মদিন/  দেশবন্ধু ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যারিস্টার, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা,কবি,সাহিত্যিক,সম্পাদক ( নারায়ন),সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধনের এক মহান কারিগর, এ যুগের দানবীর কর্ণ,অযাতশত্রু ,

নিরহঙ্কারী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সর্বোপরি একজন মহান দেশপ্রেমিক/

# দেশবন্ধু তাঁর মনের মণিকোঠায় যে ভাবনা পোষন করতেন ,তাঁর নিজের কলমে  "If I die in this work of winning freedom, I believe I shall be born in this country again and again, live for it , hope for it, work for it with all the energy of my life, with all the love of my nature till I see the fulfillment of my hope and the realization of this idea"

Deshbandhu Chittaranjan Das.


 # দেশপ্রেমিক দেশনেতা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ # 

    

# ভূমিস্পর্শঃ-৫  ই নভেম্বর ১৮৭০ সাল/ বিক্রমপুর, ঢাকা/ 

# চির বিদায়ঃ- ১৬ ই জুন ১৯২৫ সাল/ দার্জিলিং 


# বাবাঃ-ভুবন মোহন দাশ

# মাঃ- নিস্তারিণী দেবী


# স্ত্রীঃ- বাসন্তী দেবী( স্বাধীনতা সংগ্রামী)


# ছেলেঃ- চিররঞ্জন দাশ( স্বাধীনতা সংগ্রামী)


# মেয়েঃ- অপর্না দেবী- স্বাধীনতা সংগ্রামী  (ছেলে- সিদ্ধার্থশংকর রায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যারিস্টার, রাজনীতিবিদ, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী,পাঞ্জাবের প্রাক্তন রাজ্যপাল,

আমেরিকায় ভারতবর্ষের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত,পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, ভারতবর্ষের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী,ভারতবর্ষের সংবিধান বিশেষজ্ঞ,ক্রীড়া প্রশাসক- সংগঠক সর্বোপরি বিলেতে বিশ্ববিদ্যালয় ব্লু ( ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টন) 


# মেয়েঃ- কল্যাণী দেবী( স্বাধীনতা সংগ্রামী)


# ২০২০ এর ৫ ই নভেম্বর ছিল দেশবন্ধু চিত্ত রঞ্জন দাশের ১৫১ তম শুভ  জন্মদিন/তাঁর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী  নিঃশব্দে চলে গেল/

আমদের অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের

কোন খেয়ালই নেই/থাকার কথাও নয়/


# আমাদের দেশে সাম্রাজ্যবাদী বিরোধী আন্দোলনের তিনি ছিলেন একজন প্রথম সারির নেতা/


 # রাজনৈতিক মেধা, দক্ষতা, উদার মতবাদ, দেশের প্রতি ভালোবাসা, হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে সকল মানুষের প্রতি অপরিসীম দরদ ও সর্বোপরি দেশের মানুষের জন্য 

অকাতরে দান- ধ্যান তাঁকে ' দেশবন্ধু ' নামে দেশের মানুষের কাছে পরিচিতি দিয়েছিল/ 'দেশবন্ধু' 

নামের আড়ালে চলে গিয়েছিল  তাঁর বাবার দেওয়া নাম চিত্তরঞ্জন/


 #  তিনি ছিলেন বিশের  শতকের প্রথমার্ধে বাংলার উদার ও দৃঢ়চেতা নেতৃবৃন্দের কয়েকজনের একজন/ 


 # দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ১৮৯০ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি  কলেজ থেকে স্নাতক হন/ এরপর ইংল্যান্ড যান 'রেভ্যান্নলী'জাহাজে চড়ে/ আই সি এস হওয়ার জন্য/কিন্তু বিধি বাম/ কয়েকবার আই সি এস পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন / কারন তাঁকে বারবার পরীক্ষায় ফেল করানো হয়েছিল( স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য গরম গরম বক্তৃতা করবার জন্য)/


#  এরপর ইংল্যান্ডের  ইনার  ট্যাম্পেল কলেজে  যোগদান করেন এবং ১৮৯৩ সালে ব্যরিস্টারী পাশ করেন/কিছুদিন ইংলিশ বারের সদস্য 

হয়ে লণ্ডনে আইন ব্যবসা শুরু করেন/এরপর  দেশে ফিরে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে ব্যারিস্টার হিসেবে নাম নথিভুক্ত  করেন ১৮৯৪ সালের ২৬ শে এপ্রিল / 


# ১৯০৮ সালে আলিপুর তথা মানিকতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অরবিন্দ ঘোষ ও অন্যান্য বিপ্লবীর   বিচার তাঁকে পেশাগত মঞ্চের সামনের সারিতে নিয়ে আসে/ তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বন্দীদের পক্ষ সমর্থন করেন এবং অরবিন্দ ঘোষ ও সঙ্গের কুড়িজন স্বাধীনতা সংগ্রামীকে   বেকসুর খালাস করান/এই মামলার জন্য তিনি একটি কানাকড়ি ও নেন নি/ 


# ঢাকা ষড়যন্ত্র মামলার (১৯১০-১১) বিবাদী পক্ষের কৌশলী ছিলেন/তিনি  দেওয়ানী ও ফৌজদারি উভয় আইনেই দক্ষ ছিলেন/এই সময় থেকেই দেশপ্রেমিক ও বিখ্যাত আইনজীবী হিসেবে তাঁর খ্যাতি দেশজুড়ে  ছড়িয়ে পড়ে/


 # ১৯১৭ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বঙ্গীয় প্রাদেশিক সন্মেলনে

তিনি  সভাপতিত্ব করেন ও সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন/


# অনুশীলন সমিতির মতো বিপ্লবী সংগঠনের সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন/এরও আগে সুরেন্দ্রনাথ ব্যনার্জী, বিপিন চন্দ্র পাল, অরবিন্দ ঘোষের সহকর্মী হিসেবে তিনি বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫) বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন/এই আন্দোলন অবিভক্তা বাংলায় বিপ্লবী কর্মকাণ্ড বিস্তীর্ণ  করতে সহায়তা করেছিল/


   # ১৯১৯ সালে মন্টেগু - চেমসফোরড শাসন সংস্কার ও কুখ্যাত রাউলাট আইন এর তিনি সরাসরি  বিরোধিতা করেন/এরই বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে আনেদালন করার অপরাধে   জালিয়ানওয়ালাবাগে,বিনা প্ররোচনায় নৃশংসভাবে গুলিচালনা  হয়/এর বিরুদ্ধে তিনি কলকাতায় সক্রিয় প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলেন/এই ঘটনার সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য কংগ্রেস নিযুক্ত কমিটির তিনি সদস্য ছিলেন/


 # ১৯২০ - ২১ সালে  অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে গান্ধিজীর   আহ্বানে সাড়া দিয়ে মাসিক বহু সহস্র টাকার  আইনজীবীর পেশা পরিত্যাগ করেন/


# নিজের ও পরিবারের বিলাসবহুল জীবন ত্যাগ করে সন্ন্যাসীর মতন জীবনযাপন করতে শুরু করেন/নিজের বিশাল বসতবাটি ও  জনস্বার্থে দান করে নিজে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন/


# তিনি ছাত্রদের ব্রিটিশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান(গোলাম খানা) বয়কট করার জন্য ডাক দিয়ে  বলেন ' Education can wait but Swaraj cannot '. ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনে তিনি  যোগ দিলে বাংলা উত্তাল হয়ে ওঠে/


  # তাঁর সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ এই আন্দোলনে  কারাবরণ করেন/তাঁর বোন ঊর্মিলা দেবী ও স্ত্রী বাসন্তী দেবী মহিলাদের নিয়ে আইন অমান্য করে গ্রেপ্তার হন/বাংলায় সেই প্রথম মহিলাদের আইন অমান্য ও কারাবরণ শুরু হোল/দেশবন্ধুও ওই সময় কারারুদ্ধ হওয়ার জন্য ১৯২১ - এ আমেদাবাদ কংগ্রেস অধিবেশনে দলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়া সত্বেও যোগ দিতে পারেন নি/কিন্তু তাঁর লিখিত বক্তব্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে পাঠ করা হয়/ ১৯২২ সালে তিনি কারামুক্ত হয়ে গয়া কংগ্রেস অধিবেশনে সভাপতি নির্বাচিত হন/


 #  অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে পুলিশি অত্যাচারে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৯২২ সালের ৫ই ফেরুয়ারি উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুর জেলার চৌরিচৌরায় একদল হিংসাত্মক জনতা এক পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়/ফলে ২২ জন পুলিশ কর্মচারী মারা যায়  গান্ধিজীর কাছে এই সংবাদ পৌঁছুলে তিনি তত্ক্ষণাৎ অসহযোগ আন্দোলন বন্ধের আদেশ দেন / সারা দেশ তাঁর এই আদেশে স্থম্ভিত হয়ে যায় / মতিলাল নেহরু, জওহরলাল নেহরু এবং সুভাষচন্দ্র বসু গান্ধিজীর এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় মুখর হন/দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনও এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হতে পারেন নি / তথাপি কংগ্রেস কার্যনির্বাহক সমিতি গান্ধিজীর এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে/দেশের মানুষের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়/


    # এই সময়েই দেশবন্ধু  চিত্তরঞ্জন, মতিলাল নেহরু, হাকিম আজমল খান ও বিঠলভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে কংগ্রেস দলের একটি  অংশ  আইনসভায় যোগ দিয়ে ভিতর থেকে ব্রিটিশ বিরোধী কাজ করবেন বলে প্রস্তাব দেন, যা কংগ্রেসের একটি বড় অংশ মেনে নেয় নি/


#  এই বিরোধের ফলে ১৯২৩ সালে গঠিত হয় নতুন একটি রাজনৈতিক দল/ স্বরাজ্য অথবা স্বরাজ পার্টি/কিন্তু ১৯২৩ সালে দিল্লিতে মৌলানা আজাদের সভাপতিত্বে কংগ্রেস স্বরাজ্য দলের আইনসভায় প্রবেশের সিদ্ধান্তকে অনুমোদন করে/ গান্ধিজিও স্বরাজ্য দল খাদির

প্রচলন ও মাদক বর্জনের মতন কংগ্রেসের কর্মসূচিকে সমর্থন জানাবে বলে, তাঁদের আইনসভায় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত সমর্থন করেন/সারা দেশে এর ফলে উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হল/


# এই নতুন দলের সভাপতি হলেন 

দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ এবং সম্পাদক হলেন মতিলাল নেহেরু/


   # এই বছর হিন্দু -- মুসলমান ঐক্য রক্ষার জন্য দেশবন্ধুর উদ্যোগে বাংলার মুসলমান নেতৃবৃন্দের সঙ্গে স্বরাজ্য দলের নেতাদের যে চুক্তি হয় তা ' বেঙ্গল প্যাক্ট ' বলে ইতিহাস খ্যাত/ নানা ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে হিন্দু মুসলমান ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির পক্ষে অবিচল ছিলেন দেশবন্ধু  চিত্তরঞ্জন দাশ/ ১৯২৩ সালে দেশজুড়ে  প্রাদেশিক আইনসভাসমূহ এবং কেন্দ্রীয় আইনসভার নির্বাচনে  স্বরাজ্য দলের প্রার্থীরা বিপুলভাবে জয়যুক্ত হলেন/দেশবন্ধু বাংলার হিন্দু ও মুসলমানদের অবিসংবাদিত  নেতা  হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন/সারা বাংলার অবিসংবাদী নেতা শুধু নয়  সারা ভারতবর্ষের নেতা হিসেবে পরিগণিত হলেন/


   # মৌলানা আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন "কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভাগুলোতে স্বরাজ পার্টি বিরাট সংখ্যক আসনে জয়লাভ করে/বোধহয় তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব ছিল ছিল এই যে, মুসলিমদের জন্য সংরক্ষিত আসনে স্বরাজ পার্টি জিততে পেরেছিল/শ্রীযুক্ত দাশের রাজনৈতিক বাস্তববোধের কথা আগেই বলেছি/মুসলিম আসনে জেতার মূলে অনেকটাই ছিল তাঁর এই বাস্তববোধ/" মৌলানা আজাদ বলেছেন "দেশবন্ধু ছিলেন দেশের সফল আইনজীবীদের একজন/কিন্তু বিনা দ্বিধায় এক মূহুর্তে আইনের ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে খদ্দরধারী হয়ে কংগ্রেসী আন্দোলনে তিনি সর্বান্তকরণে ঝাঁপিয়ে পড়লেন/ আমার মনে তিনি গভীরভাবে ছাপ ফেলেন /আমাদের জাতীয় জাগরণের ইতিহাসে আমি তাঁকে সবচেয়ে শক্তিমান একজন ব্যক্তি বলে মনে করি "/


# ১৯২৪ সালে  তারকেশ্বরের মহান্তের বিরুদ্ধে তিনি সত্যাগ্রহ করেন/ তিনিই কলকাতা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন/সুভাষচন্দ্র ছিলেন প্রথম মুখ্য কার্যকরী  অফিসার/ ডেপুটি মেয়র হন সুরাবর্দি  / অলডারম্যান হিসেবে   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ও সেই সময়ে কলকাতা পৌরসভার গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন/ 

 

# এই সময় তিনি নারী শিক্ষা, বিধবা বিবাহ ইত্যাদির পক্ষে অনেক কাজ করেছিলেন/ ১৯২৪ সালে সরকার  বেঙ্গল Ordinance জারি করে সুভাষচন্দ্র , সুরেন্দ্রমোহন ঘোষ প্রমুখ নেতাদের গ্রেপ্তার করলে তিনি কলকাতার তাঁর ওই ঐতিহাসিক বাড়িতে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির অধিবেশন ডাকেন/গান্ধিজী বুঝতে পারেন স্বরাজ্য দলকে দমন করার জন্যই এই কালা কানুন/এরপর থেকে তিনি দেশবন্ধুকে অকুন্ঠ সমর্থন জোগান/


   #  অত্যধিক পরিশ্রম ও কৃচ্ছসাধনের জন্য তাঁর শরীর ভেঙে  পড়ছিল/১৯২৫ সালের ১৬ জুন মাত্র পঞ্চান্ন বছর বয়সে দার্জিলিং-এ তিনি   অমৃতলোকে যাত্রা করেন/ 


# চিত্তরঞ্জন দাশের  অকাল মৃত্যু বাংলা ও ভারতের সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ  বিরোধী আন্দোলনের ওপর  বিরাট আঘাত হানে/


  # দেশের  রাজনীতির সঙ্গে গভীরভাবে  যুক্ত থাকলেও  তিনি সাহিত্য চর্চায় অনেক সময় দিতেন/ সেই সময়ের বিশিষ্ট সাহিত্য পত্রিকা ' নারায়ণ ' তিনিই প্রতিষ্ঠা করেন/এবং তাঁর সম্পাদক ও ছিলেন/ তিনি  The Brahmo Public Opinion নামে আরও একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন/


# তিনি একদিকে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যারিস্টার, স্বাধীনতা সংগ্রামী, দেশপ্রেমিক, বাগ্মী,সমাজসংস্কারক,কবি, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, সাহিত্যিক, সম্পাদক, সমালোচক/


# তাঁর রচিত কবিতা-২৮ টি

                         গান-১২ টি

                         গল্প-৪ টি

                      প্রবন্ধ-৮ টি

               অভিভাষণ-৭ টি

                      কীর্তন-১ টি

                          পত্র -১ টি 

রামমোহন রায়ের ওপর একটি বই এর মুখবন্ধ লিখেছেন/

লেখার সময়কাল-(১৮৮৯-১৯২৫) 


 # ডঃ দীনেশ চন্দ্র সেনের অনুপ্রেরণায় তিনি বহু নতুন ধরনের বই সংগ্রহ করতেন/ মহামোহ উপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর অনুরোধে 

দু হাজার মূল্যবান বই কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে দান করেন/


# কলকাতায় তাঁর শেষযাত্রায় শোকার্ত মানুষের অভূতপূর্ব সমাগম হয়েছিল/


# ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর যুগসন্ধিক্ষনে ভারতীয় জাতীয় রাজনীতির আকাশে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে জনপ্রিয় হয়েছেন

অনেকই/কিন্তু মাত্র আট বছরের সংক্ষিপ্ত  (১৯১৭-১৯২৫) সক্রিয় রাজনৈতিক জীবনেই দেশবাসীর অন্তরে উদ্ভাসিত হয়েছিলেন দেশবন্ধু/ভারতবাসীর মনের মণিকোঠায় স্বাধীনতার মহানায়ক হিসেবে তাঁর স্থান চির অক্ষয় হয়ে থাকবে/


# তাই ' দেশবন্ধু' র মৃত্যুতে ঋষি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখলেন 

' এনে ছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ

মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান' 


# দেশবন্ধুর একটি মাত্র স্বপ্ন ছিল ,স্বাধীন দেশে জনগণকে নিজের 

মতো করে বাঁচতে দেখার স্বপ্ন/ সে স্বপ্ন কোন ইউটোপীয় দর্শনের দ্বারা আধারিত নয়/কারন তাঁর মৃত্যুর দু -দশকের  মধ্যেই ভারতবাসী  কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল/

তবে সে দৃশ্য স্বচক্ষে না দেখলেও দেশবন্ধু দেখেছিলেন সেদিনের ত্রিশ কোটি ভারতবাসীর চোখ দিয়ে/


# দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ অমর রহে /তোমায় আমরা ভুলছি না ভুলবো না/


আজএই মহান মানুষটির জন্মদিনে জানাই অন্তরের গভীর শ্রদ্ধা ও আভূমি প্রনাম /

   তথ্যসূত্র ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার 

অধ্যাপক ডঃ প্রভাতাংশু মাইতি 

অধ্যাপক ডঃ হরিপদ মাইতি 

অধ্যাপক ডঃ কিরন চন্দ্র চৌধুরী 

অধ্যাপক ডঃ অমলেশ ত্রিপাঠী 

অধ্যাপক শ্রীযুত দীপময়  কুণ্ডু  


     


        


        


   


     


 

No comments