Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও ম্যানগ্রোভ অরণ্য বাঁচাতে এবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে আইওসি

সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও ম্যানগ্রোভ অরণ্য বাঁচাতে এবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে আইওসি
আধুনিক প্রযুক্তি কৌশল শিখিয়ে কাজের সুযোগ তৈরি, শিল্পশহরে দূষণ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঠেকাতে একাধিক উদ্যোগের পাশাপাশি এবার সুন্দরব…

 


সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও ম্যানগ্রোভ অরণ্য বাঁচাতে এবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে আইওসি


আধুনিক প্রযুক্তি কৌশল শিখিয়ে কাজের সুযোগ তৈরি, শিল্পশহরে দূষণ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঠেকাতে একাধিক উদ্যোগের পাশাপাশি এবার সুন্দরবনে বাঘ সংরক্ষণে বনদপ্তরকে সহায়তা করবে আইওসি। মঙ্গলবার হলদিয়ায় বণিকসভা বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিআই) সভায় একথা ঘোষণা করেন হলদিয়া আইওসি রিফাইনারির এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর (ইডি) পার্থ ঘোষ। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কর্মসংস্থান, প্রশিক্ষণ, স্বনিযুক্তি, পরিবেশ, শিক্ষার মানোন্নয়ন সহ একাধিক ক্ষেত্রে আইওসি যৌথ উদ্যোগে কাজ শুরু করেছে। শিল্পাঞ্চল ও লাগোয়া গ্রামাঞ্চলের যুবকদের হলদিয়ায় সরকারি আইটিআইয়ের মাধ্যমে ড্রোন অপারেশন, ইন্টারনেট সংক্রান্ত প্রযুক্তি (আইওটি), স্মার্ট হেল্থ কেয়ারের মতো আধুনিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজের উপযোগী করা হবে।  বনদপ্তরের সঙ্গে উপকূল এলাকা জুড়ে বায়ো ডাইভার্সিটি পার্ক, কোস্টাল শেল্টার বেল্ট, মিয়াওয়াকি ফরেস্ট বনাঞ্চল তৈরির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে আইওসি।

আইওসির ইডি জানান, সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও ম্যানগ্রোভ অরণ্য বাঁচাতে এবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে আইওসি। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে পেট্রলিং ও সারভিলেন্স সিস্টেম অর্থাৎ নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তুলে সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণে এবার বনদপ্তরকে সহায়তা করবে আইওসি। এজন্য ডাইরেক্টরেট অব ফরেস্টের সঙ্গে যৌথভাবে পদক্ষেপ করা হবে। কারণ সুন্দরবন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষিত। ভারতে যত ধরনের ম্যানগ্রোভ প্রজাতি রয়েছে তার ৯০ শতাংশ সুন্দরবনে রয়েছে। তার মধ্যে বহু প্রজাতি এখন বিলুপ্তির পথে। তাছাড়া চোরাকারবারিদের হাত থেকে বাঘকে বাঁচাতে বা লোকালয়ে বাঘ ঢুকে পড়া ঠেকাতে আধুনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। আইওসি সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়ার দুর্গাচকে সরকারি আইটিআই কলেজে আধুনিক কোর্স পঠনপাঠনের জন্য নতুন বিল্ডিং তৈরি করে দিচ্ছে হলদিয়া আইওসি রিফাইনারি কর্তৃপক্ষ। আপাতত এখানে নতুন প্রযুক্তি কৌশল ও সময়োপযোগী ইক্যুইপমেন্ট ট্রেনিং দেওয়া হবে। ড্রোন অপারেশন, ইন্টারনেট অব থিংস, স্মার্ট হেল্থ কেয়ার, মেটাট্রনিক্সের মতো একাধিক নতুন কোর্স পড়ানো শুরু হবে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজের সুযোগ ঘটবে শিক্ষার্থীদের। কচুরিপানাকে কাজে লাগিয়ে দৈনন্দিন ব্যবহারী দ্রব্য তৈরির জন্য নতুন একটি প্রকল্প নিয়েছে আইওসি। হলদিয়ার দুর্গাচক সংলগ্ন বাসুদেবপুর গান্ধী আশ্রমের সরকারি হোমের মহিলাদের এজন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শুকনো কচুরিপানার ফাইবারকে কাজে লাগিয়ে নানা ধরনের দ্রব্য তৈরি হবে। এর ফলে কচুরিপানাকে কাজে লাগিয়ে বর্জ্য থেকে সম্পদ তৈরির নয়া উদ্যোগের সূচনা হবে। পাশাপাশি, দূষণ ঠেকাতে আইওসি প্ল্যান্টে ২০২২ সাল থেকে ফার্নেস অয়েলের বদলে ন্যাচারাল গ্যাস ব্যবহার শুরু হবে। সেই প্রক্রিয়া এখন থেকে শুরু হয়।

এদিন হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের ইকোলজিক্যাল সাসটেনেবিলিটি অর্থাৎ পরিবেশগত ভারসাম্য বা স্থায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন শিল্পসংস্থার মত বিনিময় সভার আয়োজন করে বিসিসিআই। আইওসি, পেট্রকেম, ইন্দোরামা, এক্সাইড, হলদিয়া এনার্জি, হলদিয়া ওয়াটার সার্ভিসেসের মতো ৪০টি ছোট মাঝারি ও বড় সংস্থার কর্মকর্তা, ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা অংশ নেন। শিল্প সংস্থার কর্মকর্তারা হলদিয়ার পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁদের আশঙ্কা, যেভাবে দূষণ বাড়ছে, হলদিয়ায় ফের একবার দূষণ নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। অভিযোগ, হলদিয়ায় দূষণ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন বা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির নজরদারির অভাব রয়েছে। পেট্রকেমের ডেপুটি জেনারেল ম্যা঩নেজার সৌগত মহিন্দ্রা বলেন, বিভিন্ন কারখানার বর্জ্য জলের দূষণে তাঁদের সংস্থার গ্রিনবেল্টের হাজার হাজার গাছ নষ্ট হয়েছে। কিন্তু পুরসভা, দূষণ পর্ষদ, জেলা প্রশাসনকে গত তিন বছর ধরে জানানোর পরও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।

No comments