Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর শহরে মেগা সার্ভে শুরু

করোনা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে মেগা সার্ভে শুরু হল। ১০ নভেম্বরের মধ্যে এই সমীক্ষার কাজ শেষ করা হবে। তারপর বিস্তারিত তথ্য সহ বইপ্রকাশ করা হবে। আশাকর্মী, এএনএম কর্মী ও আইসিডিএস কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এন…

 




 করোনা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে মেগা সার্ভে শুরু হল। ১০ নভেম্বরের মধ্যে এই সমীক্ষার কাজ শেষ করা হবে। তারপর বিস্তারিত তথ্য সহ বইপ্রকাশ করা হবে। আশাকর্মী, এএনএম কর্মী ও আইসিডিএস কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন। সার্ভের মূল লক্ষ্য, ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরও কতজন আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কতজন, আইসিইউ সাপোর্ট লেগেছে কতজনের, কতজনের মৃত্যু হয়েছে। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের উপর এই সমীক্ষা চালানো হবে। ভোটার তালিকা হাতে নিয়েই বাড়ি বাড়ি যাবেন আশাকর্মীরা। এই সমীক্ষার মাধ্যমে এখনও ভ্যাকসিনের বাইরে কতজন আছেন ও কী কারণে ভ্যাকসিন পাননি সেটাও একনজরে উঠে আসবে।

রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুরে এপর্যন্ত করোনা সংক্রামিত হয়েছেন ৬৩ হাজার ১০৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৭৯ জনের। পুজোর ভিড় থেকে সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কায় এখন প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইমতো প্রত্যেক ব্লকে দৈনিক ১২০টি করোনা টেস্টের কোটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই মুহূর্তে দৈনিক গড়ে ১০ থেকে ২০ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে। তাই কন্টেইনমেন্ট জোন তৈরির প্রয়োজনীয়তা হয়নি। তবে, দীঘায় পর্যটকদের জন্য ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ অথবা করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও বাধ্যতামূলক রেখেছে প্রশাসন।

জেলায় ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। ১৮ ঊর্ধ্ব ৪০ লক্ষ ৩৯ হাজার ৩৫২ জনকে ভ্যাকসিনেশনের টার্গেট আছে। ইতিমধ্যে জেলায় ৩৫ লক্ষ ৬৩ হাজার ১৩২ জনকে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ২৩৩ জন। ১০ নভেম্বরের মধ্যে জেলায় প্রথম ডোজের টিকাকরণের কাজ সম্পূর্ণ করতে চাইছে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। সেইমতো সমস্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হাসপাতালে ভ্যাকসিন দেওয়া চলছে।ভ্যাকসিন কর্মসূচির মধ্যেই জেলাজুড়ে একটা সার্ভে শুরু হয়েছে। তাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন প্রাপকদের কতজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন সেই তথ্য নথিভুক্ত করা হবে। এর পাশাপাশি যাঁরা এখনও ভ্যাকসিন নেননি তাঁর কারণ অনুসন্ধান করা হবে। আশাকর্মীরা নির্দিষ্ট ফরম্যাট নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। ভ্যাকসিন না নেওয়ার কারণ হিসেবে অসুস্থ, করোনা সংক্রামিত, পরিযায়ী শ্রমিক, ভয়জনিত কারণ রয়েছে কি না সেটা উল্লেখ করছেন। গোটা জেলায় করোনা সংক্রমণের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে একটি বই আকারে রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।

নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ সৌম্য ষড়ঙ্গী বলেন, ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে আমাদের জেলায় বাড়ি বাড়ি সার্ভে শুরু হচ্ছে। আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে সেটা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। তারপর সম্পূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও আক্রান্ত কতজন, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, কেউ মারা গিয়েছেন কি না এসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য সার্ভে শুরু হয়েছে। আমরা একটা বই আকারে সেটা প্রকাশ করব।

No comments