Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

কথা দিয়ে কথা রাখলেন আইএনটিটিইউসি রাজ্য সভাপতি- ঋতব্রত

কারখানার শ্রমিক কর্মচারীদের সরাসরি অভিযোগ জানানো  জন্য হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করল রাজ্য আইএনটিটিইউসি। 6292262463 এই নম্বরে ফোন করলে ৭২ঘণ্টা পর রাজ্য আইএনটিটিইউসি দপ্তর থেকে সরাসরি অভিযোগকারীর কাছে এবার টেলিফোন আসবে। নির্দিষ…

 


কারখানার শ্রমিক কর্মচারীদের সরাসরি অভিযোগ জানানো 

 জন্য হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করল রাজ্য আইএনটিটিইউসি। 6292262463 এই নম্বরে ফোন করলে ৭২ঘণ্টা পর রাজ্য আইএনটিটিইউসি দপ্তর থেকে সরাসরি অভিযোগকারীর কাছে এবার টেলিফোন আসবে। নির্দিষ্ট কারণ ও তথ্য প্রমাণ দিয়ে রাজ্য দপ্তরকে বিষয়টি জানাতে হবে। মঙ্গলবার হলদিয়ার বন্দরের বি বি ঘোষ অডিটরিয়ামে ডক ইন্সটিটিউটের নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা জানান আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিশ্বকর্মা পুজোর সময় এসে অভিযোগের জন্য মোবাইল নম্বর চালুর কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার তা শুরু করল রাজ্য আইএনটিটিইউসি। বন্দরের ডক ইন্সটিটিইউটের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে আইএনটিটিইউসির নামাঙ্কিত দুটি প্যানেল নিয়ে সতর্ক করেন। 

ঋতব্রতবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আইএনটিটিইউসি সমর্থিত বন্দরের শ্রমিক সংগঠন এনইউডব্লুডব্লুআইয়ের একটি মাত্র প্যানেল দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে বিভ্রান্তির কোনও অবকাশ নেই। উত্তরবঙ্গে চা বাগানেও এরকম ১৩টি সংগঠন রয়েছে। তাদের একসঙ্গে আনার প্রক্রিয়া চলছে। এখানেও সেভাবে চলতে হবে। এদিকে, রাজ্য কমিটির প্যাডে হলদিয়ার সমস্ত কারখানা কর্তৃপক্ষকে দেওয়া আইএনটিটিইউসির হলদিয়ার পর্যবেক্ষক সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের সই করা একটি চিঠি ভাইরাল হওয়ার ঘটনাকে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই চিঠি প্রসঙ্গে এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ঋতব্রতবাবু বলেন, এরকম একটি চিঠির কথা শুনেছি। ওখানে রাজ্য কমিটির নাম ব্যবহার করা হয়েছে ঠিকই তবে ওই চিঠিতে যে ঠিকানা রয়েছে তা রাজ্য কমিটির নয়। রা‌‌জ্য কমিটি এরকম কোনও চিঠিও দেয়নি বা দায়িত্বও দেয়নি।

এদিকে, বন্দরের এই নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে জোর লড়াই শুরু হয়েছে। আগামী ১২নভেম্বর ডক ইন্সটিটিইউটের নির্বাচন। ভোটের দু’দিন আগে থেকে শাসক বিরোধী সব দলের প্রচার তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, বন্দরের স্থায়ী শ্রমিক কর্মচারী ও আধিকারিকদের এই নির্বাচনে ভোটাধিকার রয়েছে। বন্দরে বর্তমানে ৯৯১জন কর্মী রয়েছেন। এরমধ্যে ৯৫৫জনের ভোটাধিকার রয়েছে। এবার তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, সিপিআই, এসইউসি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শ্রমিক সংগঠন সমর্থিত ৫টি প্যানেল হয়েছে। প্রতিটি প্যানেলে মোট ১৮জন করে প্রার্থী রয়েছেন। এসইউসির শ্রমিক সংগঠনের প্যানেলে ১৪জন প্রার্থী রয়েছেন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৯০জন প্রার্থী প্রতিযোগিতা করছেন। এই নির্বাচন ঘিরে বন্দর শহরে বিভিন্ন দলের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে।


সিটুর বন্দর শ্রমিক নেতা বিমান মিস্ত্রি দাবি করেন, তাঁরা ডক উন্সটিটিইউটে ক্ষমতায় থাকাকালীন যাবতীয় উন্নয়ন হয়েছে। বন্দরের সমবায় লক্ষ লক্ষ টাকা লাভ করত। দেশের অন্যতম সেরা সমবায়ের পুরস্কার পেয়েছিল। ডক ইন্সটিটিইউটে জয়েন্ট এন্ট্রান্স ও উচ্চশিক্ষার কোচিং চালু হয়েছিল। ডকের সুইমিং পুলের উন্নয়নের জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, গতবার তৃণমূল ইন্সটিটিইউটের ক্ষমতায় আসার পর উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, এই বিষয়গুলি এবার প্রচারে তুলে এনে সিটু জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। অন্যদিকে, ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের নেতা প্রদীপ বিজলি বলেন, সিটু ক্ষমতায় থেকে শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়ে কিছুই ভাবেনি। বিএমএস ক্ষমতায় এলে বন্দর আবাসন এলাকায় গেস্ট হাউস তৈরি, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের সম্মান জানানোর ব্যবস্থা ও ডক ইন্সটিটিইউটে বার্ষিক মিলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। বিএমএস মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে অভিনব কায়দায় প্রচার চালাচ্ছে।আইএনটিটিইউসি নেতৃবৃন্দ জানায়, এবার বন্দরে জয়ের বিষয়ে তারা নিশ্চিত। বন্দরে সাড়ে ন’শো শ্রমিকের সাতশো শ্রমিক তাদের সংগঠনের সদস্য।

No comments