পাড়ায় দূর্গা পুঁজো হয় না।পুঁজো দেখতে কিংবা অষ্টমীতে মায়ের পায়ে অঞ্জলি দিতে যেতে হয় অন্য পাড়ায়। হলদিয়া ব্লকের দেভোগ অঞ্চলের অন্তগর্ত কিসমত শিবরামনগর গ্ৰামের দক্ষিণ-পশ্চিম পল্লীতে শারদোৎসবের পরেই কোজাগরী আরাধনায় মেতে ওঠে পাড়ার বি…
পাড়ায় দূর্গা পুঁজো হয় না।পুঁজো দেখতে কিংবা অষ্টমীতে মায়ের পায়ে অঞ্জলি দিতে যেতে হয় অন্য পাড়ায়। হলদিয়া ব্লকের দেভোগ অঞ্চলের অন্তগর্ত কিসমত শিবরামনগর গ্ৰামের দক্ষিণ-পশ্চিম পল্লীতে শারদোৎসবের পরেই কোজাগরী আরাধনায় মেতে ওঠে পাড়ার বিভিন্ন ক্লাব প্রতিষ্ঠান।কিন্তু বাঙালির প্রাণের উৎসবের সময় পাড়াটা খাঁ খাঁ করে।তাই পুজোর ছুটিতে ফুচু,ছটুরা মামাবাড়িতে যায় পুজো উপভোগ করতে।একদিকে করোনা সংক্রমণ।অন্যদিকে চলতি বছরে একের পর এক প্রাকৃতিক দূর্যোগ।এই পরিস্থিতিতে বহু পুজো কমিটি বাজেট কমিয়েছে।কিন্তু গ্ৰামের মানুষের সহযোগিতায় নতুন করে পুজো শুরু করেছে পাড়ার একদল মহিলারা।
কেউ শাশুড়িমা তো কেউ বউমা।পুজো সামলাচ্ছেন তারাই।পুজো কে ঘিরে প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় পাড়ায় করবী কাবেরীরা কেউ নাঁচছে তো কেউ গাইছে।পাড়ায় এই প্রথম পুজো হচ্ছে।
তাই ক'দিন ভোর থেকে উঠে বাড়ির বউরা ঘরের কাজ গুছিয়ে পুজো প্যান্ডেলর সামনে হত্তা দিয়ে বসে আছে।হোঁসেল থেকে একবার ডাক পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে হাজির হচ্ছে।নিজেরাই হাতে ভোগ রান্না করে,নিজেরাই ঢাক বাজায় পাড়ায় সব মেয়েরা একেবারে দূর্গার মতো দশহাতে নয় দু'হাতেই সব কিছু করছে।পুজোর কদিন পাড়া আলোয় সেজে উঠেছে।
কত আনন্দ,কত মজা আজ নবমী রাত পোহালেই বিদায়ের ঘন্টা বাজবে।
আবার একটা বছরের অপেক্ষা..
চোখের জল..
পাড়ার অঙ্কু,শঙ্কুদের গলা ভার করে একটাই কথা আবার এসো মা।
No comments