Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

কৃষি ও ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়নে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১৬হাজার ৩৮৯কোটি ৯৭লক্ষ টাকা ঋণদানের টার্গেট

চলতি আর্থিক বছরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে মোট ১৬হাজার ৩৮৯কোটি ৯৭লক্ষ টাকা ঋণদানের টার্গেট নেওয়া হল। এরমধ্যে অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত কৃষি, শিল্প এবং সরকারি অনুমোদিত স্কিমের জন্য ১২হাজ…

 





চলতি আর্থিক বছরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে মোট ১৬হাজার ৩৮৯কোটি ৯৭লক্ষ টাকা ঋণদানের টার্গেট নেওয়া হল। এরমধ্যে অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত কৃষি, শিল্প এবং সরকারি অনুমোদিত স্কিমের জন্য ১২হাজার ৬৭৩কোটি ২৭লক্ষ টাকা ঋণ ইস্যুর টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নন প্রায়োরিটি সেক্টরে আরও ৩৭১৬কোটি ৭৩লক্ষ টাকার ঋণদানের লক্ষ্যমাত্রা আছে। গতবছর জেলায় ঋণদানের টার্গেট ছিল ১৪হাজার ২১২কোটি টাকা। সেটা ছুঁতে পেরেছিল জেলার বিভিন্ন ব্যাঙ্ক। এবছরও টার্গেট অতিক্রম করে যাবে বলে আশা করছেন লিড ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার(এলডিএম) সুদীপকুমার মাইতি। 

মঙ্গলবার তমলুকে জেলাশাসকের অফিসে ডিস্ট্রিক্ট কনসালটেটিভ কমিটির(ডিসিসি) মিটিং হয়। ব্যাঙ্কের ঋণের টার্গেট এবং তার পারফরম্যান্স নিয়ে প্রতি তিন মাস অন্তর ওই বৈঠক হয়। সেখানে অতিরিক্ত জেলাশাসক(উন্নয়ন) দিব্যা মুরগেসন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এজিএম সুদীপ ভট্টাচার্য, নাবার্ডের ডেপুটি ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার পিঙ্কু দাস, এলডিএম এবং জেলা শিল্পকেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার সহ প্রতিটি ব্যাঙ্কের অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে জেলার ব্যাঙ্কগুলিকে একগুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, প্রত্যেক মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ফিনান্সিয়াল লিটারেসি ক্যাম্প আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে সামাজিক সুরক্ষামূলক সরকারি স্কিম নিয়ে প্রচার করতে হবে। দ্বিতীয়ত, পূর্ব মেদিনীপুরে ব্যাঙ্কগুলির আমানতের তুলনায় ঋণদানের হার কম। গোটা রাজ্যে সেখানে আমানতের নিরিখে ব্যাঙ্কের ঋণদানের হার ৬০শতাংশ, পূর্ব মেদিনীপুরে তার হার মাত্র ৪৫শতাংশ। এটা বৃদ্ধি করতে হবে বলে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১-’২২আর্থিক বছরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কৃষিক্ষেত্রে ৫৫৬৭ কোটি ৬৩লক্ষ টাকা ঋণদানের টার্গেট আছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগে ঋণদানের টার্গেট ৫১০৯কোটি টাকা। অন্যান্য ক্ষেত্রে আরও ১৯৯৫কোটি ৪৫লক্ষ টাকা। এভাবে প্রায়োরিটি সেক্টরে মোট ১২হাজার ৬৭৩কোটি টাকার ঋণদানের টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। জেলায় ৪৩হাজার ২২৮স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ১৩২৩কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ৬৬০কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে। সরকার অনুমোদিত স্কিম যেমন, প্রধানমন্ত্রী এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রাম, কর্মসাথী, প্রাণিসম্পদ, মৎস্য এবং হ্যান্ডলুম সহ নানা স্কিমেও ঋণ দেওয়া হবে।

লিড ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার বলেন, ২০২১-’২২আর্থিক বছরে আমাদের জেলায় প্রায় ১৬হাজার ৩৯০কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হবে। এরমধ্যে প্রায়োরিটি সেক্টরে ১২হাজার ৬৭৩কোটি ২৭লক্ষ টাকা এবং নন প্রায়োরিটি সেক্টরে আরও ৩৭১৬কোটি ৭৩লক্ষ টাকা। স্বনির্ভর গোষ্ঠী, কেসিসি সহ সরকারি অনুমোদিত নানা স্কিমে কয়েক লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। প্রতি তিন মাস অন্তর এনিয়ে রিভিউ মিটিং হয়। তাতে ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি এবং প্রশাসনের অফিসাররা থাকেন। জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার গৌতম সাধুখাঁ বলেন, হাতের কাজ এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রতি বছর হাজার হাজার যুবক-যুবতী স্বনির্ভর হন। তাঁদের ব্যাঙ্কঋণের প্রয়োজন হয়। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাঁদের ঋণ দেওয়া হয়। চলতি বছরে ঋণদানের টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অনেক আবেদন জমা পড়ছে। সেইমতো প্রসেস করে আমরা ব্যাঙ্কে পাঠিয়ে দিই। 

No comments