কথায় বলে, মেয়েদের সৌন্দর্যের আসল রহস্যই নাকি লম্বা, ঘন চুল। লম্বা,ঘন,কালো চুল সব মেয়েরই পছন্দের।সেই চুল স্বেচ্ছায় কেটে ফেলার কথা বললে হয়তো অনেক মেয়েই আঁতকে উঠবেন।কিন্তু এবার সেই কাজটাই করলেন হাওড়া জেলার শ্যামপুর থানার ২ নম্বর …
কথায় বলে, মেয়েদের সৌন্দর্যের আসল রহস্যই নাকি লম্বা, ঘন চুল। লম্বা,ঘন,কালো চুল সব মেয়েরই পছন্দের।সেই চুল স্বেচ্ছায় কেটে ফেলার কথা বললে হয়তো অনেক মেয়েই আঁতকে উঠবেন।কিন্তু এবার সেই কাজটাই করলেন হাওড়া জেলার শ্যামপুর থানার ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ওসমানপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের ছাত্রী বছর ২২ বছর বয়সি লিপিকা সাঁতরা। ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের পাশে দাঁড়াতে নিজের সাধের লম্বা চুল দান করে দিলেন তিনি। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন ক্যান্সার রোগীদের জন্য পরচুলা তৈরি করতেই নিজের চুল দান করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই 'Hair Donation west Bengal" নামক পশ্চিমবঙ্গের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁর চুল সংগ্রহ করা হয়েছে। কেমোথেরাপি জেরে ক্যান্সার আক্রান্ত অনেকেরই চুল সম্পূর্ণভাবে উঠে বা ঝরে যায়। ফলে শারীরিক ভাবে সুস্থ হয়ে উঠলেও মাথায় চুল না থাকায় হীনমন্যতায় ভোগেন অনেকেই। পরচুলা কিনে তা লাগানোটা যথেষ্ট ব্যয়স্বাপেক্ষ হওয়ায় অনেকেই তা করতে পারেন না। সেই সমস্ত ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলাদের জন্যই নিজের চুল দান করেছেন লিপিকা।নিজের মেয়ের এই উদ্যোগকে সর্বতোভাবে সমর্থন করেছেন লিপিকার মা-বাবা থেকে শুরু করে পরিবারের সকল সদস্যরা।লিপিকার মা মেয়ের এই মহতী কাজে গর্বিত বোধ করছেন। চুল দাতা লিপিকা বলেন, 'অনেক আগেই Hair donation এর ব্যাপারে শুনেছিলাম তখন থেকেই ইচ্ছা ছিল। অনেকদিন থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিলাম পারছিলাম না।অবশেষে স্নেহা দি Hairdonation Westbengal এর সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেন।ক্যান্সারের মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসা করার পরে অনেকের পক্ষেই দাম দিয়ে পরচুলা কেনা সম্ভব হয়না। এরকম কারও মুখে যদি আমি হাসি ফোটাতে পারি, তার থেকে তৃপ্তিদায়ক কিছু হয়না। ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল মানুষের জন্য কিছু করার। আজ তা করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।' এছাড়াও সমাজের সর্বস্তরের মহিলাদের উদ্দেশ্যে লিপিকা বলেন তাঁর মতো যাঁরা Hair donate করতে চাইছে কিন্তু যোগাযোগ করতে পারছে না তাঁরা সহজেই Hairdonations Westbengal সঙ্গে যোগাযোগ করে Hair donate করতে পারেন।
No comments