পূজোর ঢাকে কাঠি পড়তে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। পূজো উদ্যোক্তাদের প্রতিবছর ঐসময় হলে দম ফেলার সময় টুকু থাকে না। দেবী দূর্গার আগমনের শরৎ আকাশ ছুঁয়ে যায় নিলাম্বরির ঢাক । কাশফুলের বনের ছোঁয়ায় এক নতুন আবাহনীর গান আকাশে বাতাসে ম…
পূজোর ঢাকে কাঠি পড়তে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। পূজো উদ্যোক্তাদের প্রতিবছর ঐসময় হলে দম ফেলার সময় টুকু থাকে না। দেবী দূর্গার আগমনের শরৎ আকাশ ছুঁয়ে যায় নিলাম্বরির ঢাক । কাশফুলের বনের ছোঁয়ায় এক নতুন আবাহনীর গান আকাশে বাতাসে মাখে। এবারে পূজোর আবাহনি তে যেন বিসাদের সূর। একদিকে করোনা মহামারী তারপর দ্যসুর মতো হাজির বন্যা।
সপ্তাহখানেক আগে কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্লবিত হয়েছে পটাশপুরে বিস্তৃন এলাকা। এবার তার প্রভাব পড়লো দূর্গো পূজোর মন্ডপে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের বেশিরভাগ পূজো মন্ডপের যায়গায় জমে রয়েছে জল। বাধ্য হয়ে উদ্যোগতারা মন্ডপ সরিয়ে নিচ্ছেন অন্য যায়গায়। এমনি ছবি সর্বত্রই দেখা যায়, দেখা গেল টিকরাপাড়া রবীন্দ্রনাথ ইউনাইটেড ক্লাবের পূজো মন্ডপেও। যে মাঠে প্রতিবছর তারা সেরা সেরার মন্ডপ গড়ে তুলতো । যে মাঠ প্রতিবছর পূজোর সময় হলে ভিড়ে ঠাসা থাকতো সেই মাঠে এবার কোমোর সমান জল। বাধ্য হয়ে পূজো কমিটি মন্ডপ সরাচ্ছে ১ কিমি দূরে প্রতাপদিঘি রাইস মিলের সামনে উঁচু জায়গায়।
অন্যদিকে পটাশপুরের বারচৌকা এলাকায় রায়চৌধুরি বাড়ির পূজো প্রায় ৩০০ যে বছরের পুরানো। প্রতিবছর পূজোর দিনগুলি গ্রামে লোকেরা আনন্দে মেতে থাকতো ঐ রায়চৌধুরী বাড়ি পূজো নিয়ে। এবছর তা কেমন যেন ফিকে হয়ে গেছে। মন্দির সামনে পর্যন্ত জল। দেখে মনে হচ্ছে যেন আস্তো একটা পুকুর। তাই এবার আর বাইরে পূজা মন্ডপ তৈরি করা হচ্ছে না। কোনো রকমে নিয়ম রক্ষার্থে মন্দিরে মধ্যে হবে পূজো।
দুর্যোগে জেলার ঐ অবস্থা দেখে কোন কোন পুজো কমিটি আবার বাজেট কাটছাট করে বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রান সামগ্রী বিতরনের পরিকল্পনা নিয়েছে।
ঐ পরিস্থিতিতে পূজোর আগে কী জল নামবে। দেবী দূর্গার আগমনের আগে এখন ঐ প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে পটাশপুরের বাসিন্দাদের মনে।
No comments