Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

২১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যের ৫৫টি পুরসভায় শুরু হচ্ছে কঠিন বর্জ্য পৃথকীকরণের কাজ

শহর হবে আবর্জনামুক্ত। এই লক্ষ্যেই আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যের ৫৫টি পুরসভায় শুরু হচ্ছে কঠিন বর্জ্য পৃথকীকরণের কাজ। স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (সুডা) সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। ওইদিন মূলত প্রতিটি পুরসভার দু’টি করে ওয়ার্ডক…

 



শহর হবে আবর্জনামুক্ত। এই লক্ষ্যেই আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যের ৫৫টি পুরসভায় শুরু হচ্ছে কঠিন বর্জ্য পৃথকীকরণের কাজ। স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (সুডা) সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। ওইদিন মূলত প্রতিটি পুরসভার দু’টি করে ওয়ার্ডকে ‘মডেল’ হিসেবে তুলে ধরেই এই কাজে হাত দেওয়া হবে। সুডার অতিরিক্ত বাস্তুকার চন্দন দাস বলেন, শুধুমাত্র এই কাজ শুরু করার জন্য ৫৫টি পুরসভাকে দু’লক্ষ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর এই কাজ পরিচালনা করবে। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য নিজে ওইদিন অনলাইনের মাধ্যমে এই কাজের তদারকি করবেন। দেখবেন, কোথায় কীভাবে কাজ হচ্ছে।সুডা সূত্রে খবর, রাজ্যের ১২৫টি পুরসভার মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সাতটি, উত্তর ২৪ পরগনায় ২৬টি, নদীয়ায় তিনটি, পূর্ব মেদিনীপুরে দু’টি, হাওড়ায় দু’টি, হুগলিতে ১৩টি ও বর্ধমানের দু’টি পুরসভায় ওইদিন এই কাজের সূচনা হবে। প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি পুরসভা মডেল হিসেবে দু’টি করে ওয়ার্ডকে বেছে নিয়েছে। পরবর্তীকালে ওই পুরসভাগুলি ধাপে ধাপে অন্যান্য ওয়ার্ডেও এই কাজ করবে। পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য পুরসভাতেও এই প্রকল্প চালু হবে। এই প্রকল্প চালুর আগে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারপত্র দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে তাঁদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এর জন্য পুরসভাগুলিকে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে মাইক প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মডেল ওয়ার্ডগুলির প্রতিটি বাড়িতে নীল ও সবুজ রঙের বালতি দেওয়া হবে। নীল রঙের বালতিতে রাখতে হবে পচনশীল পদার্থ অর্থাৎ সব্জির খোলা ইত্যাদি। সবুজ রঙের বালতিতে থাকবে অপচনশীল পদার্থ যেমন, ভাঙা কাচ, প্লাস্টিক ইত্যাদি। পুরসভার গাড়ি থাকবে ওয়ার্ডে। সেই গাড়িতেও দু’টি পৃথক বর্জ্যের জন্য থাকবে আলাদা জায়গা। সেই গাড়ি পৌঁছে যাবে পুরসভার সংশ্লিষ্ট ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। যেখানে পচনশীল পদার্থ ফেলা হবে, তা থেকে সার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। পরবর্তীকালে এই সার বাজারজাত করবে সংশ্লিষ্ট পুরসভা। অন্যদিকে, অপচনশীল বর্জ্যকেও পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হবে। সুডার এক আধিকারিক বলেন, ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পাহাড় সমান আবর্জনা দ্রুত সরানোর কাজ করবে কেএমডিএ। ২০১৬ সালে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল অর্ডার দিয়েছিল, পুরসভা এলাকায় জঞ্জালের পাহাড় করা যাবে না। পৃথকীকরণের ব্যবস্থা করতে হবে। রাজ্য সরকার সেই নির্দেশ কার্যকর করতে বললেও দেখা গিয়েছে, অনেক পুরসভা এব্যাপারে পদক্ষেপ করেনি। এর জন্য রাজ্য সরকারকে ৩০ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে। তাই পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর এবার ৫৫টি পুরসভার দু’টি ওয়ার্ডকে মডেল করে কঠিন বর্জ্য পৃথকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে। 

No comments