জালিয়াতি চক্রের তদন্তে নেমে উত্তর চবিশ পরগনার জেলার এলাকার পাঁচ প্রতারক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। যদিও তদন্তের কারণে পাঁচ প্রতারক যুবকের নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি পুলিশ আধিকারিক।একইসঙ্গে অভিযুক্তদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্…
জালিয়াতি চক্রের তদন্তে নেমে উত্তর চবিশ পরগনার জেলার এলাকার পাঁচ প্রতারক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। যদিও তদন্তের কারণে পাঁচ প্রতারক যুবকের নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি পুলিশ আধিকারিক।
একইসঙ্গে অভিযুক্তদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার জালিয়াতি চক্রের সাংবাদিক সম্মেলন করে তমলুক মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এই বিষয়টি জানান। একইসঙ্গে এদিন পাঁচজনকে অভিযুক্তকে তমলুক জেলা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের তদন্তের স্বার্থে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
জানা গিয়েছে, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বেশ কয়েকজন যুবক পূর্ব মেদিনীপুরে আসেন। এরপর মহিলাদের বেশি টাকার লোভ দেখিয়ে সোনার গয়না কিনত অভিযুক্তরা বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় টাকা দেওয়ার সময় জাল টাকা দিত বলে অভিযোগ।এরকম শুধু তমলুক নয় জেলায় একাধিক এলাকায় থেকে এমন অভিযোগ আসছিল। গুরুতর অভিযোগ পেয়ে জেলা পুলিশের নির্দেশে একটি তদন্ত টিম গঠন করে। মঙ্গলবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তমলুক থানার রত্নালী গ্রামের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অতীন বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী গোটা এলাকায় হানা দেয়। পাঁচজনকে অভিযুক্তকে হাতেনাতে পাকড়াও করে। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।এপ্রসঙ্গে তমলুক মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অতীন বিশ্বাস বলেন, “পাঁচজনকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে পুলিশের একটা বড় সাফল্য। সোনার গয়না কিনে নেওয়ার পর প্রথমে ভালো টাকা দেয় তার ভেতরে জাল টাকা বা কাগজ ভরতি করে দিত অভিযুক্তরা। কম দামে জিনিস বেশি দামের ভেবে মানুষ বিক্রি করে দিতো। এরপর বাড়ি ফিরে দেখে নকল টাকা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।”
No comments