দুর্গা পুজো করার অনুমতি দিচ্ছে না মমতা সরকার। এমনই দাবি, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শহরের চৌরঙ্গী রিক্রিয়েশন ক্লাবের। তাঁদের অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ক্লাবের সভাপতি। তাই ক্লাবটিকে পুজো করার অনুমতি দিচ্ছে না সরকার। এই ন…
দুর্গা পুজো করার অনুমতি দিচ্ছে না মমতা সরকার। এমনই দাবি, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শহরের চৌরঙ্গী রিক্রিয়েশন ক্লাবের। তাঁদের অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ক্লাবের সভাপতি। তাই ক্লাবটিকে পুজো করার অনুমতি দিচ্ছে না সরকার। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই কালকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন তাঁরা।
গত ২২ বছর ধরে দুর্গা পুজো করছে চৌরঙ্গী রিক্রিয়েশন ক্লাব। তবে তা হত অন্য জমিতে। শুভেন্দু অধিকারী সেচমন্ত্রী হওয়ার পর এই পুজো সরে আসে কাঁথি শহরের প্রাণ কেন্দ্রে সেচ দফতরের অধীনস্থ একটি জমিতে। তবে ক্লাবের সম্পাদক তুষারকান্তি দাসের দাবি, শুভেন্দুবাবুর আমলে নয়, ওই জমিতে পুজো হচ্ছে বাম আমলে যখন সুভাষ নস্কর সেচমন্ত্রী ছিলেন সেই সময় থেকে।
তিনি জানান, গত ১৬ আগস্ট যাবতীয় নিয়ম মেনে সেচ দফতরের কাছে অনুমতি চেয়ে চিঠি দেয় পুজো কমিটি। তখনই জানানো হয়, আবেদন পত্রে আরও কিছু যোগ করতে হবে। ক্লাব সম্পাদকের অভিযোগ, এরপরই বলা হয়, শুভেন্দুকে ক্লাবের সভাপতি পদ থেকে না সরানো হলে পুজোর অনুমতি দেওয়া যাবে না।
২০২০ সালে এই ক্লাবের সভাপতি ছিলেন শুভেন্দু। তবে তখনও তিনি দল বদল না করায় সেবছর সরকারি সাহায্য এসেছিল এবং ওই জমি ব্যবহারের অনুমতি মিলেছিল। সেই সংক্রান্ত নথি আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সম্পাদক তুষারকান্তি দাস। তাঁর কথায়, ‘ক্লাব সবার। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। দুর্গা পুজোর সঙ্গে রাজনীতিকে জুড়ে দেওয়াটাও ঠিক নয়’। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, ‘ক্লাবের সভা বসবে আগামী জানুয়ারি, তার আগে শুভেন্দু অধিকারীকে সভাপতি পদ থেকে সরানো যায় না, আর তা অনৈতিক এবং বেআইনিও বটে’।
জানা গেছে, এই দুর্গা পুজো চৌরঙ্গী রিক্রিয়েশন ক্লাবের তরফে আয়োজন করা হলেও এটাকে সবাই শুভেন্দুর পুজো বলেই জানেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও এই পুজো ঘিরে আনন্দে মেতে ওঠেন। কিন্তু অভিযোগ, শুভেন্দু দলবদল করায় এই পুজোর অনুমতি নিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। এক ক্লাব সদস্যের কথায়, কলকাতায় একদিকে মমতার আদলে দুর্গা প্রতিমা গড়া হচ্ছে, অন্যদিকে শুভেন্দু জড়িত থাকায় পুজোর অনুমতিও দেওয়া হচ্ছে না। এটা দ্বিচারিতা।
No comments