পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একদিকে নদীভাঙন অপরদিকে উপর্যুপরি নিম্নচাপের ফলশ্রুতিতে অতিবৃষ্টি র জোড়া ফলায় প্লাবন পরিস্থিতি। পটাশপুর-১ ও ২,ভগবানপুর-১ ও২,দেশপ্রাণ, কাঁথি-১ ও ৩,খেজুরী-১ ও ২, রামনগর-১ ও ২,এগরা-১ ও ২,চন্ডীপুর, নন্দকুমার, ময়ন…
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একদিকে নদীভাঙন অপরদিকে উপর্যুপরি নিম্নচাপের ফলশ্রুতিতে অতিবৃষ্টি র জোড়া ফলায় প্লাবন পরিস্থিতি। পটাশপুর-১ ও ২,ভগবানপুর-১ ও২,দেশপ্রাণ, কাঁথি-১ ও ৩,খেজুরী-১ ও ২, রামনগর-১ ও ২,এগরা-১ ও ২,চন্ডীপুর, নন্দকুমার, ময়না,পাঁশকুড়া,কোলাঘাট প্রভৃতি ব্লকের নীচু জায়গা জলমগ্ন হয়ে ঘরবাড়ি, চাষবাস, শাকসব্জী, রাস্তাঘাট, মাছচাষ সবই লণ্ডভণ্ড। সাধারণ মানুষের কষ্টের সীমাপরিসীমা নেই। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এসবের পাশাপাশি গবাদিপশু, কুকুর-বিড়াল,পোল্ট্রি ফার্মের হাঁস-মুরগি, সাপখোপ ইত্যাদি প্রাণীর অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। মানুষের জন্য ত্রাণ ও উদ্ধার কার্য অব্যাহত থাকলেও গবাদিপশু ও অন্যান্য জীবকুলের বেঁচে থাকাটাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। গাছে ডালে সাপকে অাশ্রয় নিতে হয়েছে। সাপে- নেউলে,মানুষ- পশুর সহাবস্থান অনিবার্য পরিণতি হিসেবে দেখা দিয়েছে। গবাদিপশুর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ জরুরী হয়ে পড়েছে। পশু-পাখির অাশ্রয় শিবির খোলার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে। প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন জেলা প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের উপ অধিকর্তা কে বানভাসি এলাকায় প্রাণী সম্পদ রক্ষা করার সাথে সাথে গবাদিপশুর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার অাবেদন জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন। প্রাণী সম্পদ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য মানুষ ছাড়াও অন্যান্য জীবকুল কে বাঁচিয়ে একান্ত জরুরী বলে অভিমত প্রকাশ করেন প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন।
No comments