Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

নিম্নচাপে অতি বর্ষণে ক্ষীরাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত বেশ কয়েকটি গ্রাম

মানুষ আজ জলবন্দি, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার ক্ষীরাই নদী প্লাবিত করেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। মানুষের মাঝে হাহাকার দেখা যায় একটু খাওয়ারের জন্য।  সবুজ মাঠ ঘাট, বড় বড় রাস্তা সহ ঘরবাড়ি গুলিতে থই থই করছে বন্যার প্লাবিত জল।যেদিকে তাক…

 






মানুষ আজ জলবন্দি, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার ক্ষীরাই নদী প্লাবিত করেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। মানুষের মাঝে হাহাকার দেখা যায় একটু খাওয়ারের জন্য।  সবুজ মাঠ ঘাট, বড় বড় রাস্তা সহ ঘরবাড়ি গুলিতে থই থই করছে বন্যার প্লাবিত জল।

যেদিকে তাকায় শুধু জল আর জল। যে কারনে এদিন পাঁশকুড়া বিবেকানন্দ এডুকেশন ট্রাস্ট এর পক্ষ থেকে পাঁশকুড়ার বন্যা কবলিত মানুষদের হাতে শুকনো খাওয়ার ও ত্রিপল তুলে দেওয়া হয়।

ক্ষীরাই নদীর জলে প্লাবিত পাঁশকুড়া ব্লকের প্রায় পাঁচটি গ্রাম। খাওয়ার নেই, ঘরবাড়ি জলের তলায়, কি খাবে তাঁরা জানে না আদৌ। তবে ভরসা একমাত্র রাজ্য সরকার। তাই চাতকের মতো চেয়ে আছে বানভাসী সাধারণ মানুষ। 

বেগুনবাড়ি, মসনাবাদ, নয়াবসান, লালচক, গোটপতা, ডুবাপোল, রাজহাটি, কেঁদুয়ারা, সহ বিভিন্ন গ্রাম ক্ষীরাই নদীর জলে প্লাবিত। পাঁশকুড়ার মসিমাবাদের কাছে  ক্ষীরাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে গোটা এলাকা। শুধু একবার নয় স্থানীয় মানুষের অভিযোগ বছরে দুবার নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় সারাবছর, তবু তাঁর পরিবর্তন আজও হয়নি। একই চিত্র রয়ে গেলো পাঁশকুড়া ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার।  এদিন বিবেকানন্দ এডুকেশন ট্রাস্টের সদস্য গুরুপদ মুন্সী,সহ একাধিক নেতৃত্ব উপস্থিত হয়। ওই জলবন্দি এলাকার মানুষের আর্জি জল যন্ত্রণা থেকে তাঁরা যেন দ্রুত মুক্তির উপায় খুঁজে পায়। 

স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নয়ন বিবি বলেন আমরা এক সপ্তাহের ওপর বন্যার জলের মধ্যে রয়েছি, জল নামবে কবে জানা নেই, তবে মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও কাউন্সিলর সুমনা মহাপাত্র যে ত্রান পাঠিয়েছেন তা মানুষের মাঝে বিলিয়েও কম পড়ছে, তিনি যেন আরও কিছু ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থা করেন, বিবেকানন্দ এডুকেশন ট্রাস্টের সদস্য গুরুপদ মুন্সী বনেন হাজার হাজার মানুষ জলবন্দী, তবু আমরা মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রর পাঠানো ত্রিপল এর সাথে মুড়ি, চিড়ে, বিস্কুট, দুধ, চানাচুর সহ কিছু সামগ্রী বানভাসী মানুষের হাতে তুলে দিয়েছি, তবে আগামীদিনে আবারও তুলে দেব, কারণ সর্বত্রই বন্যা, কেউ এমন বাকি নেই যে বন্যার প্লাবন থেকে রেহাই পেয়েছে, পাঁশকুড়া ব্লকের পাঁচটি গ্রামের প্লাবিত মানুষের হাতে কিছু ত্রাণ তুলে দিয়েছি,আগামীদিনে আবারও ত্রাণ পৌঁছে দেব। 

প্রসঙ্গতঃ কয়েকদিনের অবিশ্রান্ত বৃষ্টির ফলে জল বেড়ে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল কংসাবতী থেকে শুরু করে ক্ষীরাই নদী, তাঁর ওপর ডিভিসির জল ছাড়ার কারনে জলস্তর বাড়তে থাকলে, জলের চাপ না নিতে পেরে ক্ষীরাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে জল গ্রাস করেছে ৫ থেকে ৬ টি গ্রাম । আজও জলের তলায় রয়েছে অসহায় মানুষ। কবে জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে তাঁর দিন গুনছেন জলবন্দি অসহায় মানুষজন।

No comments