তৃণমূলের (TMC) গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তাকেই সরিয়ে দিলেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলেরই অন্যান্য সদস্যরা। তমলুকের পদুমপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা সামনে আসায় চাঞ্চল্য। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ বিজেপির। ‘দলীয় …
তৃণমূলের (TMC) গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তাকেই সরিয়ে দিলেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলেরই অন্যান্য সদস্যরা। তমলুকের পদুমপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা সামনে আসায় চাঞ্চল্য। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ বিজেপির। ‘দলীয় নির্দেশের পরিপন্থী’, বললেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ।
তৃণমূলের (TMC) দলীয় সূত্রে খবর, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৫ টি আসনের মধ্যে ১৩টি তে জেতে তৃণমূল। বাকি দুটি আসন পায় নির্দল। প্রধান নির্বাচিত হন রিঙ্কু মাইতি। ২ জুলাই গ প্রধানের বিরুদ্ধে তৃণমূলের ৮ জন সদস্য অনাস্থা আনেন। সেই অনাস্থা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার গ্রাম পঞ্চায়েতে তলবি সভা হয়। সেই সভায় তৃণমুলের ৮ সদস্য ও ২ নির্দল সদস্য পঞ্চায়েত প্রধান রিঙ্কু মাইতির বিরুদ্ধে ভোট দেন
পদুমপুর ১ নম্বর জেলা পরিষদের সদস্য অঞ্জলি রুইদাস-সহ বাকি নয় সদস্যের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান নানা দলবিরোধী কাজ ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁর জন্য গ্রামের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। তাই বাধ্য় হয়েই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। যদিও, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। রিঙ্কু মাইতি সহ বাকি ৫ সদস্য শুক্রবারের তলবি সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, এই ধরনের অনাস্থা প্রস্তাব দলীয় নীতির পরিপন্থী বলে দাবি পদুমপুর ১ অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের পর থেকেই জেলার একাধিক পঞ্চায়েতে প্রধান বা উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা পেশ করেছেন পঞ্চায়েতের সদস্যরা। দলের আগাম অনুমতি ছাড়া এইভাবে আর যখন তখন অনাস্থা পেশ করা যাবে না তা আগেই ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। শুধু তাই নয়, এতদিন পর্যন্ত পেশ করা অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহারের নির্দেশও দিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব। এরপরেও, পদুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা পেশের প্রস্তাবে বেশ অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল। ঘটনায়, বিজেপি নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় এই অনাস্থা প্রস্তাবকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কটাক্ষ করেছেন।
No comments