সাতবছরের নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার (Sexual Harrassment) ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে সরব হলেন গ্রামবাসীরা। রবিবার, হলদিয়ার মহিলা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার জেরেই পার পেয়ে …
সাতবছরের নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার (Sexual Harrassment) ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে সরব হলেন গ্রামবাসীরা। রবিবার, হলদিয়ার মহিলা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার জেরেই পার পেয়ে গিয়েছে অভিযুক্তেরা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কিছুদিন আগে হলদিয়ার সুতাহাটায় এক সাত বছরের কিশোরীকে যৌনহেনস্থার (Sexual Harrassment) অভিযোগ ওঠে এলাকারই এক প্রতিষ্ঠিত ইউনিয়ন কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সঞ্জীব দাস নামে ওই ব্যক্তি সাত বছরের এক নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালায়। এমনকী, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে, নিগৃহীতার পরিবারকে লাগাতার হুমকি, মারধর, বাড়িঘর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, এরপর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। উপরন্তু ভুয়ো এফআইআরের কাগজ অভিযোগকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। এদিন থানা চত্বরে তাঁরা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিযুক্ত সঞ্জীব দাসের ফাঁসির দাবিও করেন তাঁরা।
বিক্ষোভকারী এক মহিলার কথায়, “ঘুষ খাইয়ে পুলিশকে হাত করেছে সঞ্জীব দাস। আমরা কি ন্যায় পাব না? একটা সাত বছরের ছোট মেয়েকে শেষ করে দিয়ে কেবল টাকার গরমের জেরে পার পেয়ে যাচ্ছে। পুলিশগুলো সব ঘুষ খেয়ে বসে আছে। কোনও দায়িত্ব নেয়নি। প্রথমে তো অভিযোগও নিচ্ছিল না। সেইজন্য আমরা আজ প্রতিবাদে নেমেছি। আমরা ওই সঞ্জীব দাসের ফাঁসি চাই।”
নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, কিছুদিন আগে তাঁদের সাত বছরের নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা (Sexual Molestation) করেন এলাকারই যুবক সঞ্জীব দাস ও তাঁর সঙ্গীরা। এলাকায় বেশ প্রভাবশালী বলে নামও রয়েছে তাঁর। নির্যাতিতার পরিবার সঞ্জীবের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে সেই অভিযোগ নেওয়া হয়না বলেই অভিযোগ ওই পরিবারের। এরপর থেকেই ক্রমাগত হুমকি পেতে শুরু করেন ওই নাবালিকার পরিবার অভিযোগ এমনটাই। যদিও, হলদিয়া মহিলা থানা সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সঞ্জীব দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় যথাযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে বলেই জানিয়েছেন পুলিশ অধিকর্তারা
No comments