ইয়াস ঝড় ও প্রকৃতিক দুর্যোগে দীঘা,তাজপুর,মন্দারমনি সহ সমুদ্র তীরবর্ত্তী রামনগর১, রামনগর ২, কাঁথি ১, কাঁথি ২, কাঁথি ৩ সমুদ্র তীরবর্তী ব্লক সহ নন্দীগ্রাম ও খেঁজুরী ব্লক এলাকায় ব্যপক ক্ষতির শিকার হয়।রাস্তাঘাট থেকে মাছের ভেড়ি এমনকি কৃ…
ইয়াস ঝড় ও প্রকৃতিক দুর্যোগে দীঘা,তাজপুর,মন্দারমনি সহ সমুদ্র তীরবর্ত্তী রামনগর১, রামনগর ২, কাঁথি ১, কাঁথি ২, কাঁথি ৩ সমুদ্র তীরবর্তী ব্লক সহ নন্দীগ্রাম ও খেঁজুরী ব্লক এলাকায় ব্যপক ক্ষতির শিকার হয়।রাস্তাঘাট থেকে মাছের ভেড়ি এমনকি কৃষিজমির ব্যপক ক্ষতি হয়।বিশেষকরে সমুদ্রের নোনা জল কৃষিক্ষেতে প্রবেশ করায় চাষের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়েছে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বহু কৃষক।আর যারকারনে রাজ্যসরকারের কৃষিদপ্তর এই সমস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষে নোনা শহনশীল বীজধান চাষের শুরুতে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়।এরপাশাপাশি যৌথ বীজতলা প্রকল্প রূপায়ন প্রকল্প গ্রহন করা হয়।এই প্রকল্পে বিশেষ কিছু কৃষকদের চাষের যাবতীয় সহায়তা করে নোনা শহনশীল" লুনা সুবর্ণ" প্রজাতির ধানের বীজতলা তৈরী করা হয়েছে এই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকগুলিতে।কমিউনিটি নার্সারী বেড তৈরী করে কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে রোপন উপযোগী ধানগাছের চারা।একজন কৃষককে সর্বাধিক ১ বিঘা চাষের উপযোগী চারা তুলে দেওয়া হবে।জেলায় প্রায় ১০ হাজার কৃষক উপকৃত হবেন। তবে সম্পর্ণ বিনামূল্যেই কৃষকদের তুলে দেওয়া হবে এই ধানের চারাগাছ।মঙ্গলবার যার আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো কাঁথি ১ নম্বর ব্লকের কৃষিদপ্তরের উদ্যোগে।এদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে ২০ জনের হাতে ধানের চারা তুলে দেওয়া হয় মজিলাপুর গ্রামপঞ্চায়েতের হুরিপুর গ্রামে।এদিন জেলা কৃষি আধিকারীকদের উপস্থিতিতে তুলে দেওয়া হলো নোনা সহনশীল জাতের ধানের চারা।এদিন ধানের চারা তুলে দেন যুগ্ম কৃষি অধিকর্তা (শস্য সুরক্ষা), পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ড. মৃনাল কান্তি বেরা, অপর কৃষি অধিকর্তা( তথ্য) নারায়ন চন্দ্র মন্ডল,কাঁথি ১ ব্লকের সহ কৃষিঅধিকর্তা ড.প্রসেনজিৎ জানা সহ বিশিষ্টজনেরা। ইয়াস বিদ্ধস্ত কৃষকেরা কৃষিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় অভিনব এই উদ্যোগকে রীতিমতো সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন বলে জানান হরিপুর গ্রামের একাধিক কৃষক।
No comments