বন্যা পরিস্থতি খতিয়ে দেখতে ঘাটালে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য্যোপাধ্যায়। এদিন জলে নেমে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতির গুরুত্ব খতিয়ে দেখলেন তিনি। জলে দাঁড়িয়েই প্রশাসনিক আধিকারিকারিকের সঙ্গে সেরে নেন প্রয়োজনীয় আলোচনা। তবে সেখানে গি…
বন্যা পরিস্থতি খতিয়ে দেখতে ঘাটালে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য্যোপাধ্যায়। এদিন জলে নেমে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতির গুরুত্ব খতিয়ে দেখলেন তিনি। জলে দাঁড়িয়েই প্রশাসনিক আধিকারিকারিকের সঙ্গে সেরে নেন প্রয়োজনীয় আলোচনা। তবে সেখানে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছে ‘পরিকল্পিত বন্যা’র অভিযোগ। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তোলেন। মাস্টার প্ল্যান না হলে ঘাটালকে বাঁচানো যাবে না বলেও জানান তিনি। কেন্দ্রকে বহুবার জানালেও কাজ হয়নি দাবি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রের সেচমন্ত্রীর কাছে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন তিনি। পূর্ব পরিকল্পনা মতো মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা নাগাদ কপ্টারে ঘাটালের বন্যা বিপর্যস্ত এলাকায় পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কপ্টার থেকে নেমে ঘাটালের সাংসদ দেব,জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও অন্যান্য সরকারি আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে চলে যান বন্যার জল জমে থাকা এলাকায়। এক আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে তিনি জলে নেমে বেশ খানিকটা হেঁটে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। এরপর ত্রাণ শিবিরে গিয়ে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের কয়েকজনের হাতে ত্রাণও তুলে দেন। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আমি সৌমেন মহাপাত্র, মানস ভুঁইয়াকে বলব কেন্দ্রীয় সেচ মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করুন। ২ হাজার ৮০০ কোটির প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার। দামোদর তীরের নিচু এলাকাগুলির কাজ হবে। এছাড়াও জল ধরো জল ভরো প্রকল্পে সাড়ে ৩ লক্ষ পুকুর কাটা হয়েছে, ৫০০ কোটির চেকড্যাম তৈরি হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতায় ফিরে মুখ্যমন্ত্রী নিজে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে তা কেন্দ্রের কাছে পাঠাবেন বলেও জানান তিনি।
।
No comments