Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

এই বুঝি ভেঙে পড়ে বাড়ি! তবু বিজেপি ‘করায়' মিলল না সরকারি আবাস যোজনার টাকা

প্রথমে আমফান ঝড়, তারপর ইয়াসের দাপটে ভেঙে পড়েছে ভিটেবাড়ি। রোজগারের একমাত্র সম্বল তাঁতশিল্পের যন্ত্রাংশও বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবু মিলছে না সরকারি আবাস যোজনার টাকা। কারণ, তিনি বিজেপি কর্মী! এমনই অভিযোগকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউ…

 





প্রথমে আমফান ঝড়, তারপর ইয়াসের দাপটে ভেঙে পড়েছে ভিটেবাড়ি। রোজগারের একমাত্র সম্বল তাঁতশিল্পের যন্ত্রাংশও বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবু মিলছে না সরকারি আবাস যোজনার টাকা। কারণ, তিনি বিজেপি কর্মী! এমনই অভিযোগকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর নন্দকুমারে।পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার বিধানসভার কুমারচক গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শিবদত্তপুরের বাসিনন্দা সুদর্শন মণ্ডল। পেশায় তিনি তাঁত শিল্পী। গরিব সুদর্শন মণ্ডলের সম্বল বলতে এক চিলতে ভাঙাচোরা বাড়ি। ছিটে বেড়ার দেওয়াল ইয়াসের তাণ্ডবে কবেই ভেঙেছে। সেখানে পলিথিন দিয়ে কোনোরকমে বৃষ্টির ঝাপটা আটকানোর চেষ্টা চলছে এই ঘোর বর্ষায়। টালির চালও ভেঙে ভেঙে পড়ছে। রোদ-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে অগত্যা সেখানেও পলিথিন ঢাকা দিয়ে কোনওরকম রেহাইয়ের চেষ্টা। একটা সময় এই বাড়ি থেকেই তাঁত মেশিনের খটা, খট শব্দে ভরে উঠতো গোটা এলাকা। স্বচ্ছল ভাবে চলে যেত সুদর্শনবাবুর সংসার। কিন্তু ভাঙাচোরা ঘরে অবিশ্রান্ত বৃষ্টির জেরে সেই মেশিনও আজ অকেজো হয়ে গিয়েছে। ফলে অন্যের বাড়িতে দিনমজুরি করে কোনওরকমে সংসার চালান তিনি।কিন্তু আর্থিক অনটনের জেরে বাড়িটা আর সারিয়ে উঠতে পারেননি নিজে। নতুন ঘর তৈরি তো কল্পনার মধ্যেও আনেন না। আমফান, ইয়াশ, দুই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভয়ানক মোকাবিলায় ফেটেফুটে গিয়েছে বাড়িটি। কোন মুহূর্তে ভেঙে পড়ে সেই ভয়ে তটস্থ থাকেন পরিবারের সদস্যরা। সরকারি সাহায্য চেয়েও কোনওরকম ক্ষতিপূরণ পাননি তিনি।আশা নিয়ে আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির আবেদন করেছিলেন। কুমারচক গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রয়োজনীয় কাগজ সহ নিজের এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যর সই করা নির্দিষ্ট ফর্মও জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু সুদর্শনবাবুর অভিযোগ, তিনি বিজেপি করায় তাঁকে সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত করছেন তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। তাই সেই ভাঙা বাড়িতেই চলছে ঝুঁকির বাস।তবে এই অভিযোগ মানতে নারাজ খোদ কুমরচক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুধাংশু সামন্ত। তাঁর দাবি, “এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা লোককে ডেকে ডেকে বাড়ি দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। আমাদের সরকারি কোটা পূরণ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সে জায়গায় এই অভিযোগ ঠিক নয়।আর এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির জেলা নেতৃত্বর দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস গরিব মানুষের আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে ঘৃণ্য রাজনীতি করছে। কাটমানি পাওয়ার আশায় বেছে বেছে পাকা ছাদওয়ালা লোকেদের আবাস যোজনার বাড়ি দিচ্ছে। অথচ প্রকৃতই যাদের প্রয়োজন তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন সরকারি সাহায্য থেকে।  নন্দকুমার ব্লক এর বিডিও শানু বক্সী বলে জানান ,পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা শাসকের নির্দেশে নন্দকুমার ব্লক এর বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক সভাতে অর্থাৎ মনিটরিং মিটিংয়ে এলাকার বিধায়ক, ব্লকের বিডিও , পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সমিতির বিভিন্ন কর্মাধ্যক্ষ গণ , গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান , উপপ্রধান এবং নির্বাচিত সদস্য ও সদস্যাগণ , পঞ্চায়েত  অফিসের  বিভিন্ন আধিকারিক গন  দের উপস্থিতিতে মনিটরিং মিটিং সারা ব্লক জুড়ে হয় । এই মনিটরিং মিটিং অর্থাৎ উন্নয়নমূলক  সভা গুলিতে ধরা পড়ে , নন্দকুমার ব্লক এ মোট ১০৬ টি আবাস যোজনার  টাকা নিয়ে বাড়ি করেননি। তাদের জন্য নন্দকুমার ব্লক এর বিডিও বলেন ব্লক থেকে নোটিশ পাঠানোর পর তড়িঘড়ি করে আবাস যোজনা র  বাড়ি শুরু করে উপভোক্তা গনে রা।  প্রথম দফায় নোটিশ পাঠানোর পরও ৫৮ জনআবাস যোজনার বাড়ি তৈরি করেনি ।  এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা র আবাস যোজনার বাড়ির স্কিন। প্রত্যেককে প্রথমে ৬০০০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল বাড়ি তৈরি করার জন্য । কিন্তু তাদের একাউন্টে টাকা ঢুকার পর তারা আর বাড়ি তৈরি করেনি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নামের তালিকা এলেই নিশ্চয়ই আমরা খতিয়ে দেখব।

No comments