আজ ৬৫ তম জন্মদিনে হলদিয়া কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক কভিড 19 মেনে আপনজন পত্রিকার সম্পাদক তমালিকা পন্ডা শেঠ জন্মদিন স্মৃতিচারণ করলেন। হলদিয়া ল কলেজ তার জন্মদিনে স্মৃতিচারণ করলেন প্রাক্তন সাংসদ হলদিয়া আই কেয়ার সভাপতি ডক্টর লক্ষণ চন…
আজ ৬৫ তম জন্মদিনে হলদিয়া কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক কভিড 19 মেনে আপনজন পত্রিকার সম্পাদক তমালিকা পন্ডা শেঠ জন্মদিন স্মৃতিচারণ করলেন। হলদিয়া ল কলেজ তার জন্মদিনে স্মৃতিচারণ করলেন প্রাক্তন সাংসদ হলদিয়া আই কেয়ার সভাপতি ডক্টর লক্ষণ চন্দ্র শেঠ। হলদিয়া পৌরসভার পৌরপ্রধান কবি সাহিত্যিক এবং বিধায়ক তমালিকা পন্ডা শেঠ শুভ জন্মদিন। বিগত বছরগুলি তার জন্মদিন পালিত হতো কলিকাতায়। কভিড বিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হলদিয়া ল কলেজ এই তার জন্মদিন আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হয়। প্রয়াতঃ তমালিকা পন্ডা শেঠ উনি একাধারে কবি,সাহিত্যিক, প্রাক্তন এমএলএ ও আই কেয়ার প্রতিষ্ঠানের কো -ফাউন্ডার ছিলেন। শুভ জন্মদিনে গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি পরিবারের পক্ষ থেকে উনার জন্মদিন পালন করা হল।জন্মদিনে ওনার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হলো। জন্মদিনে উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া প্রাক্তন বিধায়ক সাংসদ ডক্টর লক্ষণ চন্দ্র শেঠ, কবি সাহিত্যিক নলিনী বেরা, ল কলেজ এর সম্পাদক বিমল মাঝি, আইকেআরএ'র সম্পাদক আশীষ লাহিড়ী তার দুই পুত্র সুদীপ্ত এবং সায়ন্তন এবং সুচিস্মিতা মিশ্র, উনার অসাধারণ কাজকর্ম সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর বিক্রমজিত চৌধুরী এবং রেজিস্টার সুবিমল দাস প্রমুখ। উনার বিভিন্ন সময়ের স্মৃতিচারণা করেন কলেজের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা মন্ডলী অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। রেজিস্টার সুবিমল দাস বললেন কম সময়ের মধ্যে উনি যে কাজ করে গেছেন তা আমাদের মনে থাকবে। এই অল্প সময়ের মধ্যে চলে যাওয়া আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি। উনার অপূরণীয় কাজ আমরা সাধ্যমত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অঙ্গীকার করছি। প্রাক্তন সাংসদ আই কেয়ার এর সম্পাদক লক্ষ্মণ শেঠ বললেন তিনি পৌর প্রধান এবং বিধায়ক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের নেতা-নেত্রীদের কাছে অনেক সময় কাজের কৈফত দিতে হয়েছে। তিনি আরো বললেন বামফ্রন্ট সরকার ৩৪ বছরের রাজ্যে অভাবনীয় ক্ষতি করেছে। বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করলেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারযে চলছে সেই সরকারের আগামী ২০২৪ এ নির্বাচনে পতন অবশ্যই হবে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বললেন ।এবং আগামী দিনে কেন্দ্রে একটি বহু দলীয় সরকার গঠন হতে চলেছে। এবং বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কাজ করছেন সেই কাজে ভুল ধরার মতো এখনো পর্যন্ত কোনটাই নেই ।যা সারা বিশ্বের কাছে নজির হিসেবে রয়ে যাচ্ছেন। যদিও তিনি বললেন আমি তৃণমূলে যোগদান করিনি, যোগদান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি মাত্র তবে বর্তমান সমাজে হলদিয়া এবং নন্দীগ্রাম বিধানসভায় বিজেপি ক্ষমতায় আসায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করলেন। ৩৪ বছরে সিপিআইএম ক্ষমতায় থেকেও তারা এখনো ঠিক করতে পারল না কে শত্রু এবং কে মিত্র। কোন দলকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে কাজ করবেন। এক সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জ্যোতি বসুর নাম প্রস্তাব হয়েছিল। তৎকালীন বামফ্রন্ট সিপিআইএম বিরোধিতা করেছিলেন কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করার মধ্য দিয়ে। কিন্তু গত নির্বাচনে সেই কংগ্রেসের সাথে জোট করে বিধানসভায় লড়তে গিয়ে ছিলেন। এখনই বামফ্রন্ট বা সিপিআইএমের কে আছে বোঝাই যায়না। আগামী দিনেও থাকবে না কারণ তারা এখনো ঠিক করতে পারেনি তাদের শত্রু কে।
No comments