নতুন আধার কার্ড বা কার্ডের সংশোধনের জন্য জনগণের দুর্ভোগ দৈনন্দিন বাড়ছে।প্রায় সব সরকারি কাজে আধার বাধ্যতামূলক।অথচ এর প্রাপ্তি বা সংশোধনে প্রান বেরিয়ে যাওয়ার জোগাড়। সারা দেশ জুড়ে আধার সেন্টারের অভাব। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথ…
নতুন আধার কার্ড বা কার্ডের সংশোধনের জন্য জনগণের দুর্ভোগ দৈনন্দিন বাড়ছে।প্রায় সব সরকারি কাজে আধার বাধ্যতামূলক।অথচ এর প্রাপ্তি বা সংশোধনে প্রান বেরিয়ে যাওয়ার জোগাড়। সারা দেশ জুড়ে আধার সেন্টারের অভাব। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতেও অবস্থা একই।স্টেট ব্যাংক,ইউ বি আই ,কাঁথি হেড পোস্ট অফিস এরকম হাতে গোনা কয়েকটি সেন্টারের অনুমোদন আছে। কাঁথি বড় ডাকঘরে প্রতিদিন নতুন আধার কার্ডের জন্য ৩৫ টি করে ফর্ম দেওয়া হয়। রাত থেকে লাইন দিয়ে ভাগ্যবান ৩৫ জনের মধ্যে না পড়লে বিফল মনোরথে বাড়ী ফিরে যাওয়াই ভবিতব্য। খবর অনুযায়ী স্টেট ব্যাংকে দেওয়া হয় ১০ টি ফর্ম। মহকুমা শহরের এই অবস্থা ।গ্ৰামেতো আবার সেন্টারই নেই।যদি বা কোথাও আছে রেট ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা। সরকারি নিয়ম বিরুদ্ধ এই টাকা দিতে হচ্ছে নিরুপায় হয়ে।সুযোগ বুঝে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দালাল চক্র।তাদের দাপাদাপিতে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। সরকারীভাবে নতুন অাধার কার্ডের জন্য ৫০ টাকা করে নেওয়া হয়। দালালদের সংগ্রহীত ফর্ম নিয়ে অাধার কার্ড করতে গেলে কার্ড পিছু ৫০০ টাকা পর্যন্ত খেসারত দিতে হয়।আধার কার্ড সংশোধনের জন্য প্রতিদিন লম্বা লাইন পড়ে।ফর্ম পূরণ থেকে শুরু করে সংশোধন পর্যন্ত মোটা টাকা অনেককেই গুনতে হয়।কেন্দ্রীয় সরকারের ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথারিটি অফ ইন্ডিয়া আধার কার্ড প্রাপ্তির প্রশ্নে মানুষের হররানি নিয়ে কার্যত নির্বিকার। রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার বা পাড়ায় সমাধান কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারী পরিষেবা মানুষ বাড়ীতে বসে পেয়ে যাচ্ছেন। অথচ সব পরিষেবা পাওয়ার জন্য অত্যাবশকীয় আধার কার্ড প্রাপ্তি মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। সহজেই আধার কার্ড প্রাপ্তি র জন্য প্রতিটি গ্রামপঞ্চায়েত ও ব্লক অফিস সহ ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিসে পারমানেন্ট এনরোলমেন্ট সেন্টার( আধার কার্ড পরিষেবা কেন্দ্র) খোলার জন্য কেন্দ্রে দরবার লক্ষে রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিবকে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়েছেন প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন। নতুন আধার কার্ড প্রাপ্তি বা সংশোধনের জন্য পদ্ধতির সরলীকরণের আবেদনও জানান মামুদ হোসেন।অন লাইনে কিছু আধার পরিষেবা পাওয়া যায়। সমস্যা হল দিনের বেশিরভাগ সময় সার্ভার ঘুমিয়ে থাকে। সার্ভার ঘুমিয়ে, সরকার ঘুমিয়ে ,রাতজেগে জনগণ শুধু লাইনে ।
No comments