Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

৪৫ কোটি টাকার বরাত খাদি শিল্পীদের

করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন রাজ্যের লকডাউনে রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন খাদি শিল্পীরা। অভিযোগ, এর জেরে খাদি শিল্পীদের একটি বড় অংশের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেই শনিবার অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পমন্ত্রক (এমএসএমই) জ…

 








করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন রাজ্যের লকডাউনে রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন খাদি শিল্পীরা। অভিযোগ, এর জেরে খাদি শিল্পীদের একটি বড় অংশের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেই শনিবার অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পমন্ত্রক (এমএসএমই) জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রায় ৪৫ কোটি টাকার অর্ডারের বরাত দিয়েছে দু’টি মন্ত্রক ও একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। এতে খাদি শিল্পীদের সমস্যার সুরাহা হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, মাত্র ৪৫ কোটি টাকার বরাতে দেশ জুড়ে খাদি শিল্পীদের সমস্যা আদৌ মিটবে কি?

আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রক, রেলমন্ত্রক এবং এয়ার ইন্ডিয়া ওই বরাত দিয়েছে হয়েছে। এমএসএমই-এর আওতাভুক্ত খাদি অ্যান্ড ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রিজ কমিশনের (কেভিআইসি) কাছে আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রকের অর্ডার মূল্য ২০ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। মূলত আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের জন্য পলি খাদি ফ্যাব্রিকের বরাত দিয়েছে ওই মন্ত্রক। এই লক্ষ্যে কেভিআইসি এবং আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রকের মধ্যে মউ স্বাক্ষরিতও হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থান এবং হরিয়ানার বিভিন্ন খাদি প্রতিষ্ঠানের কাছে সেই অর্ডার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আগামী মাস থেকেই সরবরাহ শুরু হবে।

রেলমন্ত্রক অর্ডার দিয়েছে ১৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের। তোয়ালে, বেড শিট, ফ্ল্যাগ ব্যানার, স্পঞ্জ ক্লথসের মতো জিনিসের অর্ডার দিয়েছে রেল। এমএসএমই মন্ত্রক জানিয়েছে, রেলের এই অর্ডার সারা দেশের ১০০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের খাদি শিল্পীদের আয়ের পথ সুগম করবে। এক্ষেত্রে জুন এবং জুলাইয়ের মধ্যে শুরু হবে সরবরাহ। এয়ার ইন্ডিয়ার অর্ডার মূল্যের পরিমাণ ৪ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা। প্রিমিয়াম হার্বাল কসমেটিকস প্রোডাক্টের বরাত দিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। মূলত এগজিকিউটিভ এবং বিজনেস ক্লাসের আম্তর্জাতিক যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই এই বরাত দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে থাকছে খাদি হ্যান্ড স্যানিটাইজার, খাদি ময়েশ্চারাইজার লোশন, খাদি হ্যান্ডমেড সাবান, খাদি লিপ বাম, খাদি রোজ ফেস ওয়াশ প্রভৃতি। প্রধানত যেগুলি তৈরি হয় ক্ষুদ্র কুটিরশিল্পের আওতায়। এদিন খাদি ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এর ফলে সংশ্লিষ্ট মানুষদের যেমন আয়ের পথ সুগম হবে, তেমনই করোনা পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে। কেভিআইসির চেয়ারম্যান বিনয়কুমার সাক্সেনা বলেছেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে অত্যন্ত দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে রয়েছেন খাদি শিল্পীরা। তাঁদের দৈনন্দিন জীবনধারণই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানেও এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। দুটি মন্ত্রক এবং একটি সংস্থার কাছ থেকে যে বরাত আমরা পেয়েছি, তা বর্তমান পরিস্থিতি সামলাতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।’

No comments