Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

কোভিড ভ্যাক্সিন নেই , সমস্যায় দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া উপভোক্তারা

ভ্যাক্সিন নিয়ে একদিকে দিল্লীর বুকে গন্ডগোল সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি জেলা ভিত্তিক একই ছবি ধরা পড়ল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিন না থাকায় ঘুরে যাচ্ছেন দ্বীতিয় ডোজ পাওয়া উপভোক্তারা। পাঁশকুড়ার এক ব্যক্তি দ্বিতীয়…

 






ভ্যাক্সিন নিয়ে একদিকে দিল্লীর বুকে গন্ডগোল সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি জেলা ভিত্তিক একই ছবি ধরা পড়ল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিন না থাকায় ঘুরে যাচ্ছেন দ্বীতিয় ডোজ পাওয়া উপভোক্তারা। পাঁশকুড়ার এক ব্যক্তি দ্বিতীয় ডোজের জন্য হাসপাতাল থেকে তিনবার ফিরে গেলেন। এমনকি দক্ষিণ মেচগ্রামের বাঁশতলা এলাকার দুই মহিলার দ্বিতীয় ডোজের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তাঁরা আজও পায়নি ভ্যাক্সিনের দ্বীতিয় ডোজ । যা নিয়ে একপ্রকার সমস্যার সম্মুখীন সাধারন মানুষ।তবে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ডঃ সঞ্জয় কুমার দাস বলেন গত দুদিন ভ্যাক্সিনের চাহিদা কম থাকায় দ্বিতীয় ডোজ অনেকেই পায়নি , তবে দ্বিতীয় ডোজের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও একদিন বা

 একসপ্তাহ পার হলেও ভ্যাক্সিন নেওয়া যাবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

অন্যদিকে দঃ মেচগ্রামের বাসিন্দা সম্পা জানা বাগ অভিযোগ করে বলেন  দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার দিন পেরিয়ে একমাস হয়ে গেলো ,ভ্যাক্সিন পাচ্ছিনা , স্লট বুকিং হচ্ছে না, যে কারনে তিনি এর পেছনে গভীর চক্রান্ত রয়েছে বলে মনে করছেন । আরেক উপভোক্তা মধুমিতা ঘোষ বাগ বলেন দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সঠিক সময় পার করে আজ ছয় দিন পেরিয়ে গেল ,আতঙ্ক বোধ করছি যদিও এখনও পর্যন্ত শারীরিক সমস্যা নেই। যে কারনে আতঙ্কের মধ্যে থেকেও  তাড়াতাড়ি ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন দঃ মেচগ্রামের একই পরিবারের দুই গৃহবধূ।

এদিন বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পাঁশকুড়া স্টেশন এলাকা থেকে ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজও নিতে পীতপুরের পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসেন লক্ষ্মীকান্ত পাঁজা নামে এক সব্জি ব্যবসায়ী। তিনি ভ্যাক্সিন নেওয়ার রুমে এসে দেখেন নোটিশ ঝুলছে যেখানে লেখা রয়েছে কোভিশিল্ট ও কো ভ্যাক্সিন পর্যাপ্ত না থাকায় ভ্যাক্সিনেশন বন্ধ থাকবে। লক্ষ্মীকান্ত বাবু বলেন হাসপাতল থেকে দেওয়া প্রথম ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর আমাকে কপি দেওয়া হয়েছিল সেই কপি কাগজে লেখা ছিল মে মাসের ২২ তারিখ ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে,কিন্তু ওই তারিখে এলে আমাকে ৮৪ দিন পর আসতে বলা হয়। কিন্তু সেই ৮৪ দিন পর হাসাপাতালে এসে দেখেন ভ্যাক্সিন বন্ধের নোটিশ ঝুলছে,যাঁর ফলে বার বার ঘুরেও দ্বিতীয় ডোজ না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান তিনি।

এই ভাবে প্রায় বহু সংখ্যক মানুষ এমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন । যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ স্বীকার করে  বলেন পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিন না থাকার কারনে দুদিন দ্বীতিয় ডোজের ভ্যাক্সিনেশনের কাজ বন্ধ থাকে। তবে পুনরায় অল্প মাত্রায় কিছু ভ্যাক্সিন এসেছিল তা আমরা ব্লক ভিত্তিক এলাকায় পাঠিয়ে দিয়েছি।

No comments