Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

অভিনব উদ্যোগ হলদিয়ায় বিলুপ্তির দিকে থাকা দেশীয় পাঙ্গাস মাছের কৃত্রিম প্রজনন

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।https://youtu.be/VXAdCJiak-cমৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে হচ্ছে মৎস্যচাষের সম্প্রসার ও নিত্য নতুন মাছ চাষের মাধ্যমে চাষিদের যেমন উৎসাহীত করা হচ্ছে তেমনি প্রজননের মাধ্যমেও বিলুপ্তপ্রায় মাছেরও উৎপাদন হচ্ছে হলদিয়ায়। প…

 







ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।https://youtu.be/VXAdCJiak-c

মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে হচ্ছে মৎস্যচাষের সম্প্রসার ও নিত্য নতুন মাছ চাষের মাধ্যমে চাষিদের যেমন উৎসাহীত করা হচ্ছে তেমনি প্রজননের মাধ্যমেও বিলুপ্তপ্রায় মাছেরও উৎপাদন হচ্ছে হলদিয়ায়। প্রায় বিলুপ্তির দিকে থাকা মিষ্টি জলের দেশীয় পাঙ্গাস মাছের কৃত্রিম প্রজনন শুরু করলেন হলদিয়ার চাউলখোলা গ্রামের মৎস্য হ্যাচারীর মালিক সুব্রত মাইতি।      


১৭ই জুলাই শনিবার সকাল ৭টায় সরকারী সহায়তায় নীল বিপ্লব প্রকল্পে গড়ে ওঠা এই হ্যাচারীতে উপস্থিত ছিলেন হলদিয়ার মৎস্যচাষ সম্প্রসারক আধিকারিক সুমন কুমার সাহু, হলদিয়ার মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ গোকুল মাজি সহ এলাকার উৎসাহী কিছু মাছ চাষি।   


একি সাথে হলদিয়ার ফিশারী অফিসার সুমন কুমার সাহু ভার্চুয়াল প্রশিক্ষনের মাধ্যমে সরাসরি বিপন্নপ্রায় পাঙ্গাস মাছের কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উৎপাদন কৌশল অন্যান্য মাছ চাষি সহ মৎস্যচাষ ও জীব বিদ্যা পাঠরত ছাত্র ছাত্রীদের দেখানোর ব্যাবস্থা করেন। 

এদিন প্রায় পাঁচ কেজি ওজনের পাঙ্গাস মাছের প্রজনন করানো হয়। সুব্রত মাইতি জানান, “গ্রামের এক জনের পুকুরে প্রায় পাঁচ কেজি ওজনের বেশ কিছু পাঙ্গাশ মাছ আছে শুনে ওনার কাছ থেকে মাছ গুলো নিয়ে আসি। সাথে সাথে এই মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদনের কলাকৌশল আত্মস্থ করি। কাঁচের ত্রিকোন বাক্সের মতো গ্লাস জার হ্যাচারী বানিয়ে মাছের কৃত্রিম প্রজনন করছি । এবিষয়ে হলদিয়া ব্লক মৎস্য আধিকারিকের সর্বাঙ্গিক সহায়তা পাচ্ছি” ।    

জানাগেছে, একি বয়সের পুরুষ মাছের চেয়ে স্ত্রী মাছ আকারে বড় এবং ওজনে বেশি হয়। স্ত্রী ও পুরুষ মাছ ৮-১০ ঘণ্টা হ্যাচারির ট্যাংকে ঝরনা দিয়ে রাখা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে স্ত্রী ও পুরুষ মাছকে যথাক্রমে ১:১ মাত্রার ইনজেকশন প্রয়োগ করে ব্রিডিংপুলে রাখা হয়। প্রয়োজনীয় অক্সিজেন নিশ্চিত করার জন্য ঝরনার মাধ্যমে জল প্রবাহ রাখা হয়।

পাঙ্গাস মাছ মিষ্টি জলে এবং ঈষদ নোনা জলাশয়ে বিশেষ করে নদী এবং মোহনায় মাছটি পাওয়া যায়। এরা প্রাণিকনা ও ছোট ছোট শুকনা কীটজাতীয় খাবার এবং ছোট শামুক খেয়ে বেঁচে থাকে। মাছটি খুবই সুস্বাদু, এবং কাটা কম থাকায় খেতেও সহজ। জানাগেছে, ২০১৫ সালে আইইউসিএন মাছটিকে বিপন্নপ্রায় প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।  

হলদিয়ার মৎস্যচাষ সম্প্রসারক আধিকারিক সুমন কুমার সাহু জানান, একটা পরিপক্ক (৪.৫-৫ কেজি) দেশীয় স্ত্রী পাঙ্গাস মাছের ডিম ধারনক্ষমতা এক লাখ কুড়ি হাজার থেকে সাড়ে তিন লাখ এবং জুলাই থেকে আগষ্ট পর্যন্ত মাছটির প্রজননকাল। তাই এই সময়ে পোনা উৎপাদন হলে পরে এলাকার মাছ চাষিরা সহজেই এই পোনা নিয়ে চাষ করতে পারবেন।  বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছের গুণগত মান বৃদ্ধি এবং সম্প্রসারণে কৃত্রিম প্রজনন উল্লেখ যোগ্য বিষয় । বেকার যুবক যুবতী মাছ চাষে বা মাছের কৃত্রিম প্রজননে্র মাধ্যমে স্বনির্ভর হতে পারেন, এই উদ্যোগে দপ্তর থেকে আমরা উৎসাহীত করে যাচ্ছি। এই অতিমারির সময়েও মাছ চাষের স্পম্প্রসারণে আরো বেশি করে ভার্চুয়াল প্রশিক্ষন ও পরামর্শের ব্যাবস্থা করা হবে।   

হলদিয়ার মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ গোকুল মাজি বলেন, ব্লক মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে পেংবা, আমুর, দাক্ষিনাত্যের রুই, আমেরিকান পমফ্রেট, মিল্ক ফিশ প্রভৃতি মাছের চাষ রাজ্যে প্রথম হলদিয়াতে হয়েছে। এর সাথে মাছের প্রজননও শুরুর মাধ্যমে মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারন  হচ্ছে । হলদিয়ার মৎস্য আধিকারিক বর্তমানে ভার্চুয়াল প্রশিক্ষন ও মরামর্শ দিচ্ছে যা মাছ চাষিদের আরো উৎসাহীত করছে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রিরাও শিখছে হলদিয়ার আধুনিক মৎস্য কর্ম পদ্ধতি। অধিক মাছের উৎপাদনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।



No comments