Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মানবিক এগরা-২ ব্লকের বিডিও কৌশিষ রায

প্রদীপ কুমার মাইতি এগরাঃ একদিকে করোনা আবহ, আবার অন্যদিকে সাম্প্রতিক হওয়া 'ইয়াস' ঘূর্ণিঝড়- এই দুই জোড়াফলায় বিদ্ধ পূর্ব মেদিনীপুর জেলাবাসী। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২৫টি ব্লকের মধ্যে উন্নয়নের নিরিখে কাজের গতিকে আরও  তরা…

 




প্রদীপ কুমার মাইতি এগরাঃ একদিকে করোনা আবহ, আবার অন্যদিকে সাম্প্রতিক হওয়া 'ইয়াস' ঘূর্ণিঝড়- এই দুই জোড়াফলায় বিদ্ধ পূর্ব মেদিনীপুর জেলাবাসী। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২৫টি ব্লকের মধ্যে উন্নয়নের নিরিখে কাজের গতিকে আরও  তরান্বিত করতে এগিয়ে এলেন খোদ এগরা-২ ব্লকের বিডিও। তিনি হলেন কৌশিষ রায়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অর্থাৎ বিধানসভা ভোটের কিছুদিন আগে তিনি এগরা-২ ব্লকে 'বিডিও'  হিসেবে নিযুক্ত হন। ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলায় কাজের নিরিখে এগরা-২ ব্লক অনেকটাই পিছিয়ে ছিল। কিন্তু বর্তমানে উন্নয়নের নিরিখে জেলায় এগরা-২ ব্লক তৃতীয় স্থানে রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। বিডিও কৌশিষ রায় চেয়ারে বসেই ব্লকের আমূল পরিবর্তন করেছেন বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। পাশাপাশি এগরা-২ ব্লকের অন্তর্গত আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়েই স্বয়ং  বিডিও প্রধান, উপ-প্রধান ও পঞ্চায়েত কর্মীদের নিয়ে কাজের গতি বাড়াতে দফায়- দফায় বৈঠকও করেছেন। একশো দিনের কাজ, এমজিএনআরজিএস, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা- সহ সমস্ত সরকারি প্রকল্পের কাজ দ্রুত সম্পূর্ণ করার নির্দেশও দেন বিডিও। তাঁর (বিডিও) দাবি, কোন কাজ যাতে পড়ে না থাকে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে সমস্ত রমকের সরকারি জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা পান - সেই প্রয়াসও তিনি চালিয়ে যাবেন। ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, রাস্তাঘাটের জন্য প্রায় ৬ কোটি টাকার অন গোয়িং স্কীমে কাজ চলছে। পাশাপাশি যে সমস্ত সরকারি পতিত জায়গা বা জমি পড়ে রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিতকরণ করে সামাজিক বনসৃজন ও বিনোদন পার্ক করা হবে। ব্লকের সমস্ত এলাকায় সরজমিন খতিয়ে দেখছেন খোদ বিডিও। সাম্প্রতিক বিডিও অফিস চত্বরে ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রাচীর, লাইট, গেট, নীল-সাদা রঙ, সিসিটিভি, ফুলের বাগান, পানীয়জলের ট্যাপ বসানো হয়েছে। অনেকে বলছেন, বিডিও অফিসকে দেখে মনে হচ্ছে যেন কর্পোরেট অফিস। পুরোপুরিভাবে ঝাঁ চকচকে। প্রদীপ দাস  নামের এক ব্যক্তি জানান, "পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২৫টি ব্লকের মধ্যে এগরা-২ ব্লকের বিডিও'র এই উন্নয়নমুখী উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাই।" রূম্পা মিশ্র নামের এক কলেজ ছাত্রী জানায়, "আজ থেকে একবছর এগে ব্লকে গিয়েছিলাম। তখন তো বিডিও অফিস বলে হচ্ছে না। কিন্তু এখন তো বিডিও অফিসের পুরো মানচিত্র বদলে গেছে। সত্যিই খুবই অসাধারণ লাগছে।"  কিন্তু এ প্রসঙ্গে এগরা-২ ব্লকের বিডিও কৌশিষ রায় জানিয়েছেন, লক্ষ্য 'মডেল ব্লক'। তাই উন্নয়নমুখী প্রকল্পে এবং কাজের গতিকে তরান্বিত করতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসনিক আধিকারিক হিসেবে এটাই তো আমাদের কাজ।" কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন যে, বালিঘাইতে (এগরা-২ ব্লক) এতদিন পরে একজন বিডিও এসছেন। তিনি কিন্তু ছুটির দিনেও কোয়ার্টারে বসে না থেকে সারাক্ষণই অফিসে কাজে লিপ্ত থাকেন। তবে বিডিও'র এই মানবিক  উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয় বলে জানিয়েছেন এগরার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি ও এগরা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশ কুমার প্রধান।

No comments