Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মহিষাদলের ঐতিহ্যবাহী রথের "গুন্ডিচা বাটি ঘাগরা" ঐতিহাসিক ঘটনা- বিধায়ক

ঐতিহ্যবাহী ২৪৫ বছর অতিক্রম করে ২৪৬ বছরে পদার্পণ করেছে শতাব্দী প্রাচীন মহিষাদলের রথযাত্রা।পুরী,মাহেশের পরে মহিষাদলের রথযাত্রার ঐতিহ্য আছে।প্রত‍্যেকবছর রথের সময় লক্ষাধিক মানুষ উপস্থিত হয়।কিন্তু করোনা অতিমারির কারনে ২০২০ ও ২১ সালে জ…

 





ঐতিহ্যবাহী ২৪৫ বছর অতিক্রম করে ২৪৬ বছরে পদার্পণ করেছে শতাব্দী প্রাচীন মহিষাদলের রথযাত্রা।পুরী,মাহেশের পরে মহিষাদলের রথযাত্রার ঐতিহ্য আছে।প্রত‍্যেকবছর রথের সময় লক্ষাধিক মানুষ উপস্থিত হয়।কিন্তু করোনা অতিমারির কারনে ২০২০ ও ২১ সালে জগন্নাথদেব ও রাজবাড়ীর কুলদেবতা মদনগোপাল জীউ-র রথটানা বন্ধ হয়ে রয়েছে।এই পরিস্থিতিতে রথ টানা সম্ভবও নয়!কোভিড স্বাস্থ্য বিধি মেনে সমস্ত আচার অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে। মহিষাদল ভূমিপুত্র এবং রথ পরিচালন কমিটির সম্পাদক ও বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বললেন,রথের দিন সকালে রাজপালকিতে করে জগন্নাথদেব ও রাজবাড়ীর কুলদেবতাকে নিয়ে এসে রথে তোলা হয়।ভোগ নিবেদনের পর বিকালে আবার পালকিতে করে মাসির বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।সাতদিন মাসি বাড়িতে কাটানোর পর উল্টোরথে আবার ঠাকুর শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেব ও রাজবাড়ীর কুল দেবতা মদন গোপাল জীউকে মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়।প্রাচীন মহিষাদলের রথের বৈশিষ্ট্য এই রথে রাধিকা আসেন না।জগন্নাথদেবের সঙ্গে মদনগোপাল জীউ আসেন। প্রথমে রাজবাড়ীর কোন দেবতা মদন গোপাল জিউ আসেন পরে জগন্নাথ দেবকে পথ দেখিয়ে আনা হয় তার মাসির বাড়িতে গুন্ডিচা বাটি ( ঘাগরা)তে। এই গাছের বৈশিষ্ট্য। মদন গোপাল জিউ আসেন কিন্তুরাধিকা এলেন না!


মাসিরবাড়িতে সাতদিন ধরে জগন্নাথদেব ও মদনগোপাল জীউ কি খাচ্ছেন কেমন ভাবে আছেন তার খোঁজখবর নেন রাধিকা এবং আলু,সবজির ছাল রাধিকার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।এরপর দুই পক্ষের মধ‍্যে দেনা-নেওয়া চলে।সাতদিন পর যখন জগন্নাথদেবে ও গোপাল জীউ ফিরে যান তখন রাধিকা  গোপাল কে কোনমতেই মন্দিরে ঢুকতে দেয় না।রাধিকা বলে তুমি ওখানে ক'দিন চব‍্যচস‍্য করে খেয়েছো..।

আমাকে এখানের ওই খাবার পাঠিয়েছো?আমি সাতদিন কি কষ্টে আছি..তাছাড়া তুমি ওখানে কত গোপিনীর সঙ্গে মেলামেশা করেছো..এই নিয়ে বহু কিছু মান-ভঞ্জনার অনুষ্ঠান চলে।এরপর রাধিকা দরজা খুলে ও মদন গোলাপ জীউ তার আসনে অধিষ্ঠিত হয়।এবং এই সাত-আটদিন বিভিন্ন বেশে রোজ এক একটি অবতারে মদনগোপাল জীউ দর্শণ দেন। কখনো মৎস‍্যকন‍্যা, রাজবেশ, রাখাল সাজে, কখনো নটরাজ এটা মহিষাদলের রথের চিরাচরিত প্রথা।দীর্ঘ দিন ধরে এই নিয়ম চলে আসছে।তাকে সাজানোর জন‍্য নির্দিষ্ট পুরোহিত থাকেন।তিনি এক এক দিন এক এক রকম বেশে সেজে আবতার রূপে বের হয়।এই সমস্ত কিছু সাক্ষী থাকেন ঐতিহ্যবাহী মহিষাদলের রথে।কিন্তু সমস্ত আনন্দের মাঝে কোথাও যেন একটু বিষাদের সুর..কারন পরপর দু'বছর রথ টানা হল না।আমরা জগন্নাথদেব ও রাজবাড়ীর কুল দেবতা মদনগোপাল জীউ-র কাছে পার্থনা করি যাতে আগামীবছর এই অতিমারি কেটে যায়।এবং পুনরায় মহিষাদলের রথ টানা হয়। আজ মহিষাদলের রথযাত্রা উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী  সৌমেন কুমার মহাপাত্র ছিলেন বিধায়ক অভিনেত্রী  জুন মালিয়া ,মহিষাদল বিধানসভার বিধায়ক রথ পরিচালন কমিটির সম্পাদক তিলক কুমার চক্রবর্তী মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী শিউলি দাস। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাজপরিবারের সদস্য হরপ্রসাদ গর্গ, সূর্য গর্গ, শন্কর প্রসাদ গর্গ প্রমূখ।





No comments