জাতপাতের ভিত্তিতে কোনো সংরক্ষণ বা রিজার্ভেশন থাকা আর কাম্য নয়। জাতপাতের ভিত্তিক সংরক্ষণ আমাদের সমাজে বিষময় ফল উৎপাদন করে চলেছে। মানুষ সবাইকে সমমনোভাবে ও সাম্যের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা বাঞ্ছনীয়। সব মানুষের মধ্যে হৃদয় আছে ও ধমনীতে ল…
জাতপাতের ভিত্তিতে কোনো সংরক্ষণ বা রিজার্ভেশন থাকা আর কাম্য নয়। জাতপাতের ভিত্তিক সংরক্ষণ আমাদের সমাজে বিষময় ফল উৎপাদন করে চলেছে। মানুষ সবাইকে সমমনোভাবে ও সাম্যের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা বাঞ্ছনীয়। সব মানুষের মধ্যে হৃদয় আছে ও ধমনীতে লাল রক্ত প্রবাহিত হয়। তবে কেন থাকবে জাতপাতের বৈষম্য? এগিয়ে আসুন সবাই শুভবুদ্ধি ও মানবিক চেতনায় জাগ্রত হই। সব গরীব ও পিছিয়ে যাওয়া মানুষের জন্য তৈরি করি সমান সুযোগ সুবিধা।
সাম্প্রতিক ৩৭০ ধারা তুলে দিয়ে ভালো হচ্ছে। কাশ্মীরীদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে যুগের পর যুগ কোনো ভালো কিছু হয়নি। এখন দ্রুত উন্নতি হবে কাশ্মিরে। সব ভারতীয় সমান মূল্যায়ন পাবেই। বিশেষ সুবিধা কখনই মঙ্গলময় হোতে পারেনি ও পারবে না।
অনতিবিলম্বে সংরক্ষণ তুলে দিয়ে সব শ্রেণীর গরীব মানুষের জন্য সরকারী সাহায্য প্রদান করা হোক। কারণ শ্রদ্ধেয় সংবিধান প্রণেতা সর্বাধিক চল্লিশ বছর দুর্বল শ্রেণী মানুষের উন্নতি জন্য সংরক্ষণ সংবিধানে রাখতে বলেছিলেন। বাহাত্তর বছর ত হলে। অনতিবিলম্বে সংস্কার করা উচিত। যাদের সাহায্য সত্যিকারের পাওয়া উচিত তারা সত্তর বছর ধরে বঞ্চিত থাকছেই। বাহাত্তর বছর ধরে যাদের সত্যিকারের এগিয়ে নিয়ে আসার জন্যই রিজার্ভেশন বা সংরক্ষণ নীতি চালু রাখা হলো তারা কিন্তু শূণ্য পেয়েছে। আর যারা সরকারের রিজার্ভেশন বা সংরক্ষণ সুবিধা ভোগ করছে তারা বংশ পরম্পরাগত ভাবে রিজার্ভেশন বা সংরক্ষণ নীতির সব সুবিধা ভোগ করে চলেছে। সরকারী টাকাতে ফুর্তি করা হচ্ছে। সুবিধাবাদী ও চরম সুবিধা ভোগী শ্রণী সৃষ্টি হয়েছে।
এই সুবিধাভোগী শ্রেণী হচ্ছে সমাজের সার্বিক উন্নয়নের পথে প্রধান বাঁধা। সেই জন্যই বাংলাদেশ যেমন ঘোষণা করেছে সরকারী চাকুরী ও উচ্চশিক্ষার জন্য কোনো সংরক্ষণ বা রিজার্ভেশন থাকছে না। ভারতে ও সেই পথ অবলম্বন করে সমাজের দুর্বলতম শ্রেণীর স্বার্থে সংবিধান ও আইনের রিজার্ভেশন নীতির জরুরী সংস্কার করা উচিত। রঘুরাম রাজনের মতামতকে সমর্থন করা উচিত মানব সম্পদের সার্বিক কল্যাণ ও অগ্রগতির জন্য।
No comments