গত শনিবার কোলাঘাটের এক চারমাসের গর্ভবতী মহিলার পেটের যন্ত্রণা ও আচমকা রক্তপাত হতে শুরু করলে বাড়ির লোকজন তড়িঘড়ি করে কোলাঘাটের স্থানীয় কোলাঘাটের সাহাপুর এলাকার এক বেসরকারী লাইফ কেয়ার নার্সিং হোমে ভর্তী করেন। গতকাল ওই নার্সিহোম…
গত শনিবার কোলাঘাটের এক চারমাসের গর্ভবতী মহিলার পেটের যন্ত্রণা ও আচমকা রক্তপাত হতে শুরু করলে বাড়ির লোকজন তড়িঘড়ি করে কোলাঘাটের স্থানীয় কোলাঘাটের সাহাপুর এলাকার এক বেসরকারী লাইফ কেয়ার নার্সিং হোমে ভর্তী করেন। গতকাল ওই নার্সিহোমের চিকিতসক ডঃ সম্পা জানা(গাইনোলোজিস্ট)
ওই রোগীর পরিবারের লোকজনদের জানায় মহিলার পেটের মধ্যেই চারমাসের শিশু নষ্ট হয়েছে,তাড়াতাড়ি ওয়াশ না করলে প্রসূতীর মৃত্যু হতে পারে। পরিবারের লোকজনদের এমন কথা বলে তড়িঘড়ি রোগীকে ওটিতে নিয়ে গিয়ে ইউ এস জি না করেই গর্ভবতী রোগীর পেট ওয়াশ করতে শুরু করে, কিন্তু বাড়ির লোকজন পেটের ভেতরের ছবি(ইউ এস জি) এর কথা জানালে নার্সিংহোমে তেমন কোনো সুব্যবস্থা না থাকায় তড়িঘড়ি রোগীকে নার্সিংহোমের ওটিতে নিয়ে গিয়ে ওয়াশ করে ওই নার্সিংহোমের চিকিতসক। পরে রোগীর বাড়ির লোকজন শিশুটির দেহ দেখতে চাইলে , নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ সহ ডাক্তার তা এড়িয়ে গিয়ে জানায় শিশুটিকে কেটে কেটে বের করার কারনে তা দেখাতে পারবে না তাঁরা। কিন্তু তাঁরপরদিন বাড়িতে নিয়ে এলে হঠাতই প্রসূতীর পেটের যন্ত্রনা ও বমি হতে শুরু করে, সেই সময় আচমকাই বাড়িতেই সুস্থ ভাবে শিশু জন্ম নিয়ে কিন্তু তাঁর কিছু সময়ের মধ্যেই শিশুটি মারা যায়, তাঁরই মধ্যে ওই প্রসূতীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে, তাঁকে তড়িঘড়ি অনত্র স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে ছবি তুললে দেখা যায় প্রসূতির পেটের মধ্যে ফুল থেকে যায়, যে কারনে প্রবল রক্তপাত হতে থাকে। অন্যদিকে প্রসূতীর পরিবারের লোকজন কোলাঘাটের ওই লাইফ কেয়ার নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে শিশুহত্যার অভিযোগ এনে প্রথমত কোলাঘাট থানায় অভিযোগ করতে গেলে, সেখান থেকে কে টি পি পি থানায় পাঠালে ,সেখানেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। কিন্তু নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে এ বিষয়ে। জানায় রোগীর অবস্থার অবনতির জন্যই আমরা ওয়াশ করেছি না হলে ওই প্রসূতীর মৃত্যু হতে পারত। কিন্তু আমরা ওয়াশ করেছি, জানিনা কি করে বেবি রয়ে গিয়েছিল, কিন্তু বেবি থাকার কথা নয়। এমনটাই জানায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
No comments