বিভিন্ন প্রকার ভ্যাক্সিন সম্পর্কে মানুষের মনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।সেই কারণে, বিভিন্ন ভ্যাক্সিন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য নিচে দিলাম।
১) *কোভ্যাক্সিন*
- এই ভ্যাক্সিনে নিষ্ক্রিয় ভাইরাস আছে- এই ভ্যাক্সিন ভারতে তৈরি- ভারত সহ নয়ট…
বিভিন্ন প্রকার ভ্যাক্সিন সম্পর্কে মানুষের মনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
সেই কারণে, বিভিন্ন ভ্যাক্সিন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য নিচে দিলাম।
১) *কোভ্যাক্সিন*
- এই ভ্যাক্সিনে নিষ্ক্রিয় ভাইরাস আছে
- এই ভ্যাক্সিন ভারতে তৈরি
- ভারত সহ নয়টি দেশে অনুমোদিত
-ভারতে পাওয়া যাচ্ছে
- দুটি শট নিতে হচ্ছে
- প্রথম ডোজের আঠাশ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে বলা হচ্ছে
- কার্যকারিতা ৭০ থেকে ৮০%
২) *কোভিশিল্ড* (AstraZeneca)
- ভেক্টর হিসেবে শিম্পাঞ্জির জীবন্ত অ্যাডেনোভাইরাস ব্যবহৃত হচ্ছে
- UK, সুইডেন এবং ভারতে তৈরি
-১৩০টির বেশি দেশে অনুমোদিত
-ভারতে পাওয়া যাচ্ছে
-দুটি শট নিতে হবে
- প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে চুরাশি দিনের দূরত্ব রাখতে বলা হচ্ছে
-কার্যকারিতা ৭০ থেকে ৯০%
প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ৭০% এবং দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর ৯০% ইমিউনিটি পাওয়া যাবে।
৩) *স্পুটনিক V*
- ভেক্টর হিসেবে জীবন্ত মডিফায়েড অ্যাডেনো ভাইরাস ব্যবহৃত হচ্ছে
-রাশিয়ায় তৈরি
- জুন থেকে ভারতে পাওয়া যাবে
-দুটি শট নিতে হবে
- প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে দূরত্ব আঠাশ দিন
- কার্যকারিতা পঁচাশি থেকে পঁচানব্বই শতাংশ
৪) *জনসন এন্ড জনসন*
-ভেক্টর হিসেবে মানুষের অ্যাডেনো ভাইরাস ব্যবহৃত হচ্ছে
- US এবং বেলজিয়াম মিলিতভাবে তৈরি করেছে
- এখনো পর্যন্ত ভারতে পাওয়া যাচ্ছে না
- একটাই শট নিতে হবে
-৭০ থেকে ৮৫% কার্যকারিতা
৫) *Pfizer এবং বায়োটেক*
- mRNA ভ্যাক্সিন
-US এবং জার্মানি মিলিতভাবে তৈরি করেছে
-বেশিরভাগ দেশই অনুমোদন করেছে
- এখনো পর্যন্ত ভারতে পাওয়া যাচ্ছে না
- দুটি শট
- দুটি ডোজের মধ্যে দূরত্ব একুশ দিন
-কার্যকারিতা ৯০ থেকে ৯৪%
৬) *মডার্না*
- mRNA ভ্যাক্সিন
- US নির্মিত
- বেশিরভাগ দেশ অনুমোদন করেছে
- এখনো পর্যন্ত ভারতে পাওয়া যাচ্ছে না
- দুটি শট
- দুটি ডোজের মধ্যে দূরত্ব আঠাশ দিন
- কার্যকারিতা ৯০ থেকে ৯৪ শতাংশ
কাজেই দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি ভ্যাক্সিনের গঠনগত দিক এবং কার্যকারিতা পৃথক। তাই কেউ যদি এক ডোজ কোভ্যাক্সিন নিয়ে আরেক ডোজ কোভিশিল্ড নেন, সেটি উচিত নয়।
উপরের তথ্যগুলি থেকে কেউ উপকৃত হলে ভালো লাগবে।
(লেখাটি কপি পেস্ট করতে চাইলে লেখিকার নামটি না মোছার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।)
©️ Dr. Prapti Ghosh
No comments