Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

দীর্ঘ সাত বছর হয়ে গেল অবস্থান চলছে কথা দিয়ে কথা রাখেনি বললেন সম্পাদক রাজ কুমার দলপতি

১৯৫৯ সালের ১লা নভেম্বর এন্কারেজ এর মধ্য দিয়ে হলদিয়া বন্দরের প্রথম জাহাজের পন্য লোডিং এবং আনলোডিং শুরু করেছিল । তার অনেক আগে থেকে হলদিয়া বন্দরের বহুবার জায়গা অধিগ্রহণের নোটিশ হয়েছেন বাতিল হয়েছিল। সেই সময় কালে যারা কংগ্রেস ন…

 




১৯৫৯ সালের ১লা নভেম্বর এন্কারেজ এর মধ্য দিয়ে হলদিয়া বন্দরের প্রথম জাহাজের পন্য লোডিং এবং আনলোডিং শুরু করেছিল । তার অনেক আগে থেকে হলদিয়া বন্দরের বহুবার জায়গা অধিগ্রহণের নোটিশ হয়েছেন বাতিল হয়েছিল। সেই সময় কালে যারা কংগ্রেস নেতৃত্ব দিতেন বারেবারে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষকে দাবি করেছেন যাদের জায়গা উদ্বাস্তু ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাদের কে পুনর্বাসন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান দিতে হবে। সেই সময় কালে বহু আন্দোলন-সংগ্রাম সংঘটিত হয়েছিল পরবর্তীকালে রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় এসে তৎকালীন হলদিয়া বিধানসভা এলাকায় বিধায়ক লক্ষণ শেঠ এর নেতৃত্বে স্ক্রীনিং কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি সুপারিশ করবে যাদের পুনর্বাসন পায়নি যারা চাকরি পায়নি তাদের জন্য কিন্তু সেই স্ক্রীন কমিটি অর্ধ অবস্থায় ইতি। বন্দরের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ প্রায় ৮০০ জন তালিকাভুক্ত  বন্দরের কাছেই রয়েছেন বলে জানালেন অবস্থানকারী সম্পাদক রাজ কুমার দলপতি। ডি এম ,এস ডিও এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে বারে বারে ডেপুটেশন দিয়েছেন মিছিল ও অবস্থান করেছেন। বাধ্য হয়ে হলদিয়া টাউনশিপ মাখন বাবুর বাজার থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা পরিক্রমা করে বন্দরের কার্যালয় জহয় টাওয়ারে ডেপুটেশন দিলেন ।

২০০১৪ সাল ২৯ শে অক্টোবর ডেপুটেশনে বসলেন।বন্দরের মূল কাজ পরিচালনা হয় যেখান থেকেই জহর টাওয়ার সামনে। দিনরাত্রি  অবস্থানে বসলেন বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদেরকে অনুরোধ করে জহর টাওয়ারের সামনে জায়গা ছেড়ে নির্দিষ্ট একটি জায়গা দেখিয়ে দিলেন তারা সেখানেই বর্তমানে অবস্থানে রয়েছেন। তিনি বলেন সকলেই জানেন ডি এম, এস ভিডি ও লোকাল থানা এবং শহর বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন তাদেরকে সামনে ফেলে কার্যালয় বন্দরের প্রশাসনিক ভবন জহর টাওয়ারে যেতে  হয়।

হলদিয়া শিল্পাঞ্চল এর কালো দিন প্রায় সাত বছর সেদিন থেকে চলছে হলদিয়া বন্দরের যারা জায়গা দিয়েছেন ভূমি উচ্ছেদ হয়েছেন যারা এখন বর্তমানে কর্মসংস্থানের জন্য অবস্থানে বসেছেন। দীর্ঘ সাত বছর হয়ে গেল এখনও পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ সরকার কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। ইতিহাসের হয়তো এতদিন ভূমিহীনদের পূনর্বাসনের দাবিতে কোনো অবস্থান হয়েছে কিনা জানা নেই।  ২০১৪ সাল২৯ শে অক্টোবর দীর্ঘ প্রায় সাত বছর অতিক্রান্ত হতে গেল তাদের এই ধর্মঘট। নির্বাচন এলেই বহু রাজনৈতিক দলের নেতারা আসেন সুরসুরি দিতে ভোটের জন্য। আর ভোট চলে গেলেই সব চুপচাপ। ক্ষোভ উগরে দিলেন উদ্বাস্তু ক্ষতিগ্রস্ত সংগ্রাম কমিটির সম্পাদক রাজকুমার দলপতি। তিনি আরো বললেন কথা দেয় কেউ  কথা রাখেনি ।আরো কতদিন হয়তো আমাদের আন্দোলনে থাকতে হবে; হলদিয়ার মানুষ ভূমিহীন হয়ে অবস্থানে রয়েছি । নির্বাচনের আগেই আমাদের বলেছিলেন নির্বাচনের পর একটি সুরাহ হবে। কিন্তু লকডাউন এর মধ্যেই বাহিরের বহু  মানুষকে কাজে লাগিয়ে দিলেন।বাহিরের মানুষ কাজ পাবে আমরা উদ্বাস্তু ক্ষতিগ্রস্ত আমরা পাবোনা। আমাদের কাজের কোন অধিকার নেই? covid-19 চলছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তাদের এই কর্মসূচি অবস্থান লাগাতার চলছে । অনেকের হয়তো কাজ করার বয়স অতিক্রান্ত হয়েছে কিন্তু তারাও বসে রয়েছে তার না হলেও তার পরিবারের জন্য কর্মসংস্থান তো দূরের কথা তারা উদ্বাস্তু হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের থাকার মতো মাথা গোঁজার মতো জায়গাও দেয়নি সেই সময় কালে তার জন্য এই অবস্থান।সভাপতি অলক কুমার ভৌমিক সম্পাদক রাজ কুমার দলপতি।


No comments