Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বারাতলা সি,পি,আই(এম) অফিসের পাঁচিলের ভেতরে এবং অফিসের সামনে ঘেরাও করে বেআইনিভাবে রাতের অন্ধকারে ঘর করার প্রতিবাদে-- খেজুরি ২  ব্লকের খেজুরি এরিয়া কমিটির  নেতৃত্ব সহ  ছাত্র যুব নেতৃত্ব গন খেজুরি থানার ওসির কাছে আজ সকাল সাড়ে দশটা…

 




বারাতলা সি,পি,আই(এম) অফিসের পাঁচিলের ভেতরে এবং অফিসের সামনে ঘেরাও করে বেআইনিভাবে রাতের অন্ধকারে ঘর করার প্রতিবাদে-- খেজুরি ২  ব্লকের খেজুরি এরিয়া কমিটির  নেতৃত্ব সহ  ছাত্র যুব নেতৃত্ব গন খেজুরি থানার ওসির কাছে আজ সকাল সাড়ে দশটায় ডেপুটেশন দিয়ে, দাবি আদায়ে সফল হলেন।

২০০১ সালে বারাতলা গ্রামের গরিব, কৃষক, খেতমজুর তাদের জমি দান করে এই পার্টি অফিসটি তৈরি করেছিলেন। উত্তরে নন্দীগ্রাম যাওয়ার প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার মূল রাস্তা কাছে হেঁড়িয়া ও খেজুরি থানার মধ্যবর্তী স্থানে এই অফিসটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় ২১ বছর ধরে বহু মানুষের সমস্যা সমাধানের দাবি আদায়ের আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এবং খেজুরি থানায়  বামফ্রন্টের জমানায় প্রথম খেজুরি কলেজের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সর্বস্তরের মানুষের আলোচনা পরিকল্পনার একমাত্র কেন্দ্রস্থল ছিল এই অফিসটি। খেজুরি তে তদনীন্তন বিরোধী দলের দ্বারা দফায় দফায় আক্রান্ত হয়েছে অফিস সহ এলাকার চারপাশের মানুষজন। নন্দীগ্রামের জমি রক্ষার নামে যে সর্বনাশা কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছিল, তাতে বহু ঘরছাড়া মানুষজন এসেও আশ্রয় নিয়েছিল এই অফিসে। এই বারাতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বারাতলা ,শেরখানচক , মালদা, প্রভৃতি গ্রামের জমি, মজুরি এবং গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার আন্দোলনে অনেককে প্রাণ দিতে হয়েছে। ২০০৯ সালের পর থেকে সমগ্র খেজুরি এলাকায় সন্ত্রাসের ভাঙাচোরা চিহ্ন নিয়ে এই অফিসটি দাঁড়িয়ে আছে।২০১১,২০১৪,২০১৬,

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ও অফিস খুলে কাজকর্ম হয়েছে। অফিসের তালা,প্রাচীর ঘেরা গেটের তালা ভেঙ্গে গত ২রা জুন রাত্রে এলাকার স্থানীয় প্রদীপ মাইতি ও রতন মাইতির  নেতৃত্বে একটি ঘর বানাবার চেষ্টা হয়। সাথে সাথে, খেজুরি এরিয়া কমিটির পক্ষে একটি অভিযোগ থানায় দায়ের করা হয়। কিন্তু ৩রা  জুন খেজুরির বিদ্যাপীঠে এক হতভাগ্য মা তার নিজের কন্যাকে অভাবের যন্ত্রণায় খুন করার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ প্রশাসনের  ব্যস্ততার জন্য এই ঘটনার হস্তক্ষেপ করে উঠতে পারেনি। তাই তারা সময় নিয়েছিলেন একদিন। কিন্তু গতকাল রাত্রে আবার ওইখানে ঘর তৈরীর কাজ শুরু হয়। আজ সকালে খেজুরি এরিয়া কমিটির  ও ছাত্র যুব সংগঠনের নেতৃত্বগন থানায় ডেপুটেশন দেয়। তাতে করে অভিযুক্ত রতন মাইতি কে পুলিশ থানায় ধরে  আনেন। রতন মাইতি  গরিবলোক। ছোট্ট একটি দোকানের মালিক। রাস্তার ধারে তার দোকান।  স্বার্থান্বেষী কোন লোকের পরামর্শে তাই সে পার্টি অফিসের ভেতরে দোকান করতে চেয়ে এই কাজটি করেছিল। তিনি ভুল বুঝতে পেরেছেন। নেতৃত্বগন তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে  কথা বলেন। এবং আলোচনা করে অফিসের জায়গা থেকে থেকে সবকিছু মালপত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি লিখিত দিয়ে, খেজুরি থানার ওসির কাছে  মুচলেকা দেন। তারই ভিত্তিতে  তাকে সবরকম সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে,  অভিযোগ  তুলে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। আমরা চাই গরিব মানুষ ব্যবসা, বাণিজ্যর  মাধ্যমে রোজগার করে  মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকুক। সেই চেষ্টা আমরা বামপন্থীরা সর্বদা  করব। তাঁকে সর্বতোভাবে আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে। কিন্তু আমাদের সর্বহারা মানুষের জন্য যে  অফিস, পার্টি অফিস তাকে আমরা সকলে রক্ষা করব।

আজকের  এই ডেপুটেশন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন খেজুরি এরিয়া কমিটির সদস্য স্বদেশ মাইতি, রত্নেশ্বর দোলুই,অশনি পাত্র, শেখ জাকির মল্লিক, সৈকত জানা, বাপি প্রমানিক, উত্তম দোলাই, সম্পদ দাস, শুভদীপ মন্ডল, তনময় মাইতি, শেখ শামসুদ্দিন সহ অন্যান্য ছাত্র যুব নেতৃত্ব গন।


No comments