Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

রসুলপুর নদীর জোয়ারের জল ঢুকে , মগরা বেসিন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ মৌজাগুলিকে দুয়ারে ত্রাণ কর্মসূচী দেওয়া আবেদন

দেশপ্রাণ ব্লকের মগরা বেসিন এলাকায় ইয়াস দুর্যোগের ফলশ্রুতিতে অতিবৃষ্টি ও বর্ষার বৃষ্টির জমা জলে হাজার হাজার একর অামন চাষের বীজতলা জলের তলায়।চাষীদের মাথায় হাত।মৎস্য চাষের দফারফা অবস্থা। মাটির বাড়ী ভেঙে পড়ার মুখে। জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতি …

 




দেশপ্রাণ ব্লকের মগরা বেসিন এলাকায় ইয়াস দুর্যোগের ফলশ্রুতিতে অতিবৃষ্টি ও বর্ষার বৃষ্টির জমা জলে হাজার হাজার একর অামন চাষের বীজতলা জলের তলায়।চাষীদের মাথায় হাত।মৎস্য চাষের দফারফা অবস্থা। মাটির বাড়ী ভেঙে পড়ার মুখে। জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতি না হলেও জমা জলে দেশপ্রাণ ব্লকের মগরাখালের জলস্তর উপচে পড়ায় এই বিপত্তি বলে ভুক্তভোগী দের অভিযোগ। সরদা অঞ্চলের দুরমুঠ, সরদা,কাজলা,গোটসাউড়ী,ফুলেশ্বর, মহেশপুর, পাঁচগেছিয়া, কুঁকড়াঅাউল,ধোবাবেড়িয়া অঞ্চলের কামারবেড়িয়া প্রভৃতি মৌজা,কাঁথি-৩ ব্লকের বালিয়া প্রভৃতি জায়গায় জমাজলে অামন চাষের বীজতলা জলের তলায় থাকায় চাষের সম্ভাবনা অঙ্কুরে বিনষ্ট হতে চলেছে। গত দু'বছর ধরে কামারবেড়িয়া-দক্ষিণ কশাফলিয়া কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণের জন্য মগরা খালের উপর ক্রশ বাঁধ দেওয়ায় মগরা বেসিন এলাকায় জল নিষ্কাশন অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। জমা জলে দু'বছর ধরে বীজতলা, চাষবাস, মৎস্য চাষ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। ব্রিজ নির্মাণ কালে তবুও অল্প জল নিষ্কাশনের ব্যবস্হা ছিল। এখন ব্রিজের ঢালাই র শেষ হয়ে রঙের পোজ দিতেই কয়েকমাস অতিক্রান্ত। এখন মগরাখালের উপর পুরো ক্রশ বাঁধ থাকায় জল নিষ্কাশনের পথ অবরুদ্ধ। ইয়াস দুর্যোগ বা জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্থ মৌজার তালিকায় যেসব গ্রাম অন্তর্ভুক্ত নয় সেই সব মগরা বেসিন এলাকায় গ্রামগুলি জমাজলে চরম ক্ষতিগ্রস্থ। অথচ ত্রিপল,খাদ্য সামগ্রী ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ থেকে এই সব এলাকা বঞ্চিত। কৃষি বা অন্যান্য ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির প্রশ্নে দুয়ারে ত্রাণ কর্মসূচীর অাওতায় না থাকায় মগরা বেসিন এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ মানুষজনের মাথায় হাত।গোদের উপর বিষফোঁড়া র মত মগরা খালের উপর উত্তর দুরমুঠ ও গোটসাউড়ী র ভাঙাচোরা কাঠের ব্রিজ পারাপার করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। স্হানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের হেলদোল নেই বললেই চলে।স্হানীয় অধিবাসী তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন ও পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক মগরা বেসিন এলাকায় জমা জলে দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের সাথে কথা বলেন।প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ স্বপন দাস ও কাঁথি  সেচদপ্তরের নির্বাহী বাস্তুকার কে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে অবিলম্বে মগরাখালের উপর ক্রশ বাঁধ কাটাবার অনুরোধ ই-মেইল বার্তা প্রেরণ করেন।বিকেলের দিকে অবশ্য ক্রশ বাঁধের দুই দিকে অাংশিক কাটানো হয়েছে। রসুলপুর নদীর জোয়ারের জল যে পরিমান ঢুকছে তাতে পরে অাংশিক কাটানো হলেও জমা জল পুরো নিষ্কাশনের সুযোগ থাকছে না। জল নিষ্কাশনের স্হায়ী সমাধান, মগরা বেসিন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ মৌজাগুলিকে দুয়ারে ত্রাণ কর্মসূচী র অাওতা ভূক্ত করা,ত্রাণ বরাদ্দ ও ভাঙাচোরা কাঠের সেতু মেরামতী র দাবীতে জেলাশাসক কে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়েছেন প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন। সেই সাথে রাজ্য সরকারের সেচ মন্ত্রী ডঃ সৌমেন মহাপাত্র ও মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি র হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেন প্রাক্তন সহকারী  সভাধিপতি মামুদ হোসেন ও বিধায়ক উত্তম বারিক।

No comments