Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

জলোচ্ছ্বাসে কোটি টাকার যন্ত্র নিখোঁজ, হলদি মোহনায় তল্লাশি

যশের জলোচ্ছ্বাসে ‘নিখোঁজ’ কোটি টাকার দামি যন্ত্রের খোঁজে হুগলি নদীর মোহনায় তল্লাশি শুরু করল হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। জাহাজ চলাচলের গতিপথে হুগলি নদীর জোয়ার ভাটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাপার জন্য অটোমেটেড টাইড গেজ বসিয়েছে বন্দর। বছরখ…

 







যশের জলোচ্ছ্বাসে ‘নিখোঁজ’ কোটি টাকার দামি যন্ত্রের খোঁজে হুগলি নদীর মোহনায় তল্লাশি শুরু করল হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। জাহাজ চলাচলের গতিপথে হুগলি নদীর জোয়ার ভাটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাপার জন্য অটোমেটেড টাইড গেজ বসিয়েছে বন্দর। বছরখানেক আগে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরে যাতায়াতের রুটে অর্থাৎ শিপিং চ্যানেলে ১৩টি জায়গায় অত্যাধুনিক টাইড গেজ বসানো হয়। এই প্রকল্পে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয় চেন্নাই আইআইটি। গত ২৬মে যশের কারণে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের তাণ্ডবে নন্দীগ্রাম লাগোয়া গাঙড়া চরের কাছে হুগলি নদীর শিপিং চ্যানেলে বসানো নতুন টাইড গেজ উধাও হয়ে যায়। এর দাম কোটি টাকার বেশি বলে বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে। হারিয়ে যাওয়া টাইড গেজের জন্য ইতিমধ্যেই বন্দর কর্তৃপক্ষ থানায় ‘মিসিং’ ডায়েরি করেছে।

কলকাতা ও হলদিয়া মিলিতভাবে দেশের মেজর পোর্টগুলির মধ্যে একমাত্র নদীবন্দর। হুগলি নদীর জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করতে হয় বন্দরকে। বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ জানায়, দেশি বা বিদেশি জাহাজগুলি হলদিয়া বা কলকাতায় যাওয়ার সময় স্যান্ডহেডে পৌঁছে জোয়ারের জন্য অপেক্ষা করে। হুগলিতে জোয়ার এলেই তারা লাইন দিয়ে বন্দর অভিমুখে যাত্রা করে। অন্যদিকে, জোয়ারের সময় পণ্যবোঝাই জাহাজগুলি বন্দরের ডক থেকে বের হয়ে সমুদ্রের দিকে রওনা দেয়। 

হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার(মেরিন) ক্যাপ্টেন অভিজিৎ ঘোষ বলেন, নদীর জোয়ার-ভাটা বন্দরের চালিকাশক্তি ও বাণিজ্যের চাবিকাঠি। জোয়ার-ভাটার সময় শিপিং চ্যানেলের কোন পয়েন্টে জলস্তর কেমন থাকে, নিয়মিত তার নিখুঁত পর্যবেক্ষণ ও পরিমাপ করতে হয়। এই বিষয়টি দেখে বন্দরের হাইড্রলিক বিভাগ। বিভিন্ন পয়েন্টে সার্ভেয়াররা জল মেপে দেখেন। প্রতিদিনের এই জোয়ার ভাটার তথ্য পাঠানো হয় দেরাদুনের ন্যাশনাল টাইডাল সেন্টারে। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে প্রতি বছর হুগলি নদীর ‘টাইড বুক’ প্রকাশিত হয়। ওই হ্যান্ডবুকে পরের সিজনের সম্ভাব্য জোয়ার ভাটার তালিকা দেওয়া থাকে। তার উপর নির্ভর করে নদীতে জাহাজের গতিপথ স্থির করেন ক্যাপ্টেনরা। এতদিন ম্যানুয়ালি এই জলস্তর মাপার কাজ চলছিল। দেশজুড়ে টাইড গেজ স্টেশনগুলি আধুনিকীকরণের জন্য সম্প্রতি হলদিয়া ও কলকাতা বন্দরেও অটোমেটেড টাইড গেজ বসানো হয়।

বন্দরের হাইড্রলিক স্টাডি বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে সাগর পর্যন্ত হুগলি নদী ও তার খাঁড়িতে ১৩টি পয়েন্টে অটোমেটেড টাইড গেজ বা এটিজি বসানোর জন্য ১০কোটি টাকা বরাত দেয় বন্দর। করোনা ও লকডাউনের জন্য সেই কাজ শেষ হতে দেরি হয়। মাস ছয়েক আগে অটোমেটেড টাইড গেজ কাজ শুরু করে। এখন আর আগের মতো ঝড় বৃষ্টি মাথায় করে জল মাপতে হয় না। নদীতে ভাসমান ছোট বয়াতে লাগানো কোটি টাকার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র সরাসরি জোয়ার ভাটার তথ্য পাঠায়। এর ফলে তথ্য অনেক নিখুঁত হয় ও অনলাইনে দ্রুত তা মেলে। বিশেষ টাইড অ্যাপের মাধ্যমে এখন এই তথ্য সরাসরি জাহাজের ক্যাপ্টেনের কাছে পৌঁছয়। গাঙড়ার গুরুত্বপূর্ণ স্থানের টাইড গেজ উধাও হওয়ায় নেওয়ার্কিংয়ের সমস্যা পড়েছে বন্দর। চেন্নাই আইআইটির বিশেষজ্ঞরা বন্দরের সার্ভেয়ারদের নিয়ে বিশেষ তরঙ্গ পাঠিয়ে নদীতে ওই যন্ত্রের খোঁজ চালাতে শুরু করেছেন।

No comments