সেই উত্তাল সমুদ্রের ডাক ফেরাতে পারছেন না করোনা পরিস্থিতিতে গৃহবন্দি বাঙালিরা। সংক্রমণ কিছুটা কমতেই অধিকাংশেরই ডেস্টিনেশন দীঘা। তার জেরে দীঘা ও মন্দারমণির প্রায় সমস্ত হোটেল খুলে গেল। ২৬জুন পূর্ণিমার ভরা কোটালে দীঘা, শঙ্করপর, তাজপ…
সেই উত্তাল সমুদ্রের ডাক ফেরাতে পারছেন না করোনা পরিস্থিতিতে গৃহবন্দি বাঙালিরা। সংক্রমণ কিছুটা কমতেই অধিকাংশেরই ডেস্টিনেশন দীঘা। তার জেরে দীঘা ও মন্দারমণির প্রায় সমস্ত হোটেল খুলে গেল। ২৬জুন পূর্ণিমার ভরা কোটালে দীঘা, শঙ্করপর, তাজপুর ও মন্দারমণিতে সি-বিচ লাগোয়া অনেক হোটেলে ঘরও পাওয়া যায়নি। তাতেই হোটেল মালিকদের মনে আশার আলো জেগেছে। বাস থেকে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও জুন মাসের শেষ সপ্তাহে পর্যটকদের ঢল নামতে শুরু করেছে সৈকত শহরে। সাইক্লোনের ধাক্কা সামলে প্রায় স্বাভাবিক হওয়ার পথে বাঙালির বেড়ানোর অন্যতম গন্তব্যস্থল দীঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর ও মন্দারমণি।
গত সপ্তাহ থেকেই দীঘার বিভিন্ন ঘাটে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। ২৬জুন পূর্ণিমার কোটালে উত্তাল সমুদ্র দেখার জন্য প্রচুর পর্যটক দীঘায় আসেন। সি-বিচ বরাবর হোটেলে সমস্ত রুম বুক হয়ে গিয়েছিল। মহামারী পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি মানুষজন বাড়ির বাইরে বেরনোর জন্য অস্থির হয়ে উঠছেন। ১জুলাই থেকে বাস পরিষেবা চালুর কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই বাস ও ট্রেন চালু হলেই দীঘা-মন্দারমণি পর্যটন কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যক পর্যটক সমাগম হবে বলে হোটেল মালিকদের আশা। দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, এই মুহূর্তে প্রায় সব হোটেল খুলে গিয়েছে। পর্যটকরাও আসতে শুরু করেছেন। যাত্রী পরিষেবা স্বাভাবিক হলেই পর্যটকদের ঢল নামবে দীঘায়। মন্দারমণি হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবদুলাল মহাপাত্র বলেন, একশো শতাংশ হোটেল চালু হয়েছে। পর্যটকরা আসছেন।
মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় আমাদের কারও হাতে নেই। কিন্তু, সেসব ধাক্কা কাটিয়ে সৈকত শহর আবারও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে। সব হোটেল খুলে গিয়েছে। এখন থেকেই পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন। আমরা নিশ্চিত, আত্মশাসন উঠে গেলে এখানকার হোটেলে ঘর পাওয়া যাবে না।
No comments