যশ ও বুদ্ধ পূর্ণিমা আতঙ্কের জন্য সরকারি উদ্যোগে প্রচার করা হয়েছিল মাছ ধরা বন্ধ যারা নদীতে আছেন তাদেরকে বাড়ি ফিরে আসার জন্য। রুজি রোজগার চলে তারাও সেই কথা মতো বাড়িতে ছিলেন। এবং তার পরবর্তী কালে ১১ জূন আবার গঙ্গায় বান আসবে সে…
যশ ও বুদ্ধ পূর্ণিমা আতঙ্কের জন্য সরকারি উদ্যোগে প্রচার করা হয়েছিল মাছ ধরা বন্ধ যারা নদীতে আছেন তাদেরকে বাড়ি ফিরে আসার জন্য। রুজি রোজগার চলে তারাও সেই কথা মতো বাড়িতে ছিলেন। এবং তার পরবর্তী কালে ১১ জূন আবার গঙ্গায় বান আসবে সেই কথায় রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন। নদী পাড়ে এবং মাছ ধরতে কেউ যাবেন না সেই অনুযায়ী তারা মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু কালের নিয়মে গতকাল তারা ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে যায় কিন্তু ফিরে আসার পথেই ভোররাত্রে ট্রলারটি ডুবে যায় বলে জানা যায়।হঠাৎই ট্রলার উল্টে দেখা যায় কেন্দেমারি জালপাই এর গঙ্গা মেলার ঘাটে। মা করুণাময়ী নামে একটি ট্রলার।সূত্রে জানা যায় ১৪ জন মৎসজীবি নিয়ে এই ট্রলারটি মাছ ধরতে গিয়েছিলেন এবং মাছ ধরে আসার সময় নোঙ্গর করে দাঁড়িয়েছিল ট্রলারটি। সেই সময় হঠাৎ হগদি নদীর জলের তোড়ে উল্টে যায় ওই ট্রলারটি। ট্রলারে মৎস্যজীবিরা জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচাতে কিন্তু তিনজন জলের তোড়ে হারিয়ে যায়। বাকি ১০ জন সাঁতার দিয়ে উঠে আসে। তবে ট্রলারের খোলের মধ্যে থাকা চালক ভিতরে আটকা পড়েন ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয় নাম প্রদীপ মান্না।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে গতকাল রাত প্রায় পৌনে এগারোটার সময়ে হঠাৎই নোঙর করার সময়ই উল্টে যায় ট্রলারটি । এখনও অবধি খবর কাঁথি মহকুমার মশাগাঁ এলাকার প্রদীপ মান্না নামে একজন মাঝি মারা গেছেন । এছাড়াও তিনজন নিখোঁজ। সকালে খবর পাওয মাত্রই ঘটনাস্থলেই ছুটে আসেন বহু এলাকার মানুষ কিন্তু ভোরের দিকে জলের উচ্চতা কিছুটা কমলেও দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারের ভিতরে থাকা চালকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।এই ঘটনার খবর পেয়ে সকালে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর বিশ্বাস, নন্দীগ্রামের ১ ব্লকের বিডিও সুনিতা সেনগুপ্ত সহ নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। তবে নিখোঁজের এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মা করুণাময়ী নামে ওই ট্রলার নিয়ে মৎস্যজীবীরা হুগলি নদীর উপর নন্দীগ্রামের কেন্দে মারী খাটের কিছু দূরেই নোঙ্গর করে খাওয়াদাওয়া করেছিলো।
No comments