Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের প্রয়াণ দিবস -সনৎকুমার বটব্যাল

৬ ই জুন  দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যু দিন/ কিছু কথা আজ এখানে আমরা আলোচনা কোরবো/ এই মহান নেতার মৃত্যুর পর শোকার্ত গুরুদেব ( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) তাঁর সম্পর্কে  লিখেছেন.....#"এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ/মরণে তাহাই তুমি …

 



৬ ই জুন  দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যু দিন/ 

কিছু কথা আজ এখানে আমরা আলোচনা কোরবো/ 

এই মহান নেতার মৃত্যুর পর শোকার্ত গুরুদেব ( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) তাঁর সম্পর্কে  লিখেছেন.....

#"এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ/

মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান"/

দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ  হলেন একজন বাঙালি আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা সংগ্রামী, কবি , লেখকও সম্পাদক/তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারি ছিলেন / ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় বাংলায় স্বরাজ পার্টির  প্রতিষ্ঠাতা-নেতা ছিলেন তিনি / ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময়কালে তাঁর নাম সংক্ষেপে সি আর দাশ  নামে সমধিক পরিচিত ছিলো/ তিনি অন্যায় কে কখনো সহ্য করতেন না, আর অসহায় দীন দরিদ্রের প্রতি তাঁর দয়ার অন্ত ছিলো না /সেই  সময়ে বিশাল অঙ্কের টাকা  রোজগারকারী  উকিল হওয়া সত্ত্বেও তিনি তার সম্পদ অকাতরে  বিলিয়ে দিয়ে বাংলার ইতিহাসে দানবীর হিসাবে সুপরিচিত হয়ে আছেন / তিনি "দেশবন্ধু" নামেতে জগৎ বিখ্যাত হয়ে আছেন/


জন্মঃ- ৫ ই নভেম্বর, ১৮৭০ সাল, কলকাতা /

মৃত্যুঃ-১৬ ই জুন, ১৯২৫ সাল, 

দার্জিলিং/

বাবাঃ--ভুবনমোহন দাশ

মাঃ - নিস্তারিণী দেবী

স্ত্রীঃ - বাসন্তী দেবী

#চিত্তরঞ্জন দাশ কলকাতার এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে ১৮৭০ সালের ৫ ই নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন /তাঁর পৈতৃক নিবাস বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের তেলিরবাগে /

একটি সুপরিচিত বৈদ্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন / বিক্রমপুরে এই পরিবারের, বহু শতাব্দী ধরে দীর্ঘ ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য  রয়েছে/  দ্বাদশ শতাব্দীতে এটি বল্লাল সেন এবং লক্ষণ সেনের রাজধানী ছিল/ সেন রাজবংশের রাজারা, পূর্ব ভারতে জ্ঞানচর্চা ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ পীঠস্থান  হিসাবে এই জায়গাটিকে রূপ দিয়েছিলেন/

দাশ পরিবার ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের সদস্য /  চিত্তরঞ্জন ছিলেন ভুবন মোহন দাশের ছেলে এবং ব্রাহ্ম সমাজ সংস্কারক দুর্গা মোহন দাশের ভাগ্নে /  তাঁর বাবা ছিলেন সলিসিটার এবং সাংবাদিক/ 

ভুবন মোহন দাশ কলকাতা হাইকোর্টের অ্যাটর্নি  ছিলেন / ধনী পরিবারের হয়েও খুব সহজ সরল সাধারণ জীবনযাপন করতেন / আইনজ্ঞের সাথে সাথে সঙ্গীতজ্ঞ হিসাবেও খ্যাতি ছিলো তাঁর / সকলকে গান শুনিয়ে মুগ্ধ করতেন/বাবার সমস্ত গুন লক্ষ্য করতেন চিত্তরঞ্জন / বাবার চরিত্রের সমস্ত গুণ  চিত্তরঞ্জনের চরিত্রে ভীষণভাবে ছাপ ফেলেছিল /চিত্তরঞ্জনের মা নিস্তারিণী দেবী কাউকে খালি হাতে কখনো  ফেরাতেন না /বহু সাধারণ  মানুষকে তিনি বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করতেন /

@ ১৮৮৬ সালে তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন/ তার পর প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন /তারপর বাবা তাকে আই. সি. এস পড়ার জন্যে বিলেতে পাঠান / সেখানে তিনি ছাত্র সমাজে ক্রমশ পরিচিতি লাভ করেন /সেখানে প্রবাসী ভারতীয়দের সাথে যুক্ত হন/এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন / বিলেতে নানা কাজে জড়িয়ে পড়ায় তার পক্ষ্যে আই. সি. এস হওয়া  সম্ভব হয়ে ওঠেনি /কিন্তু ব্যারিস্টার ( বার-এট -ল) হয়ে দেশে ফেরেন /

@ দেশে ফিরে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনে সাড়া দিয়ে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সমস্ত স্তরের নেতাদের সাথে নিয়ে দেশের কাজে 

ঝাঁপিয়ে পড়েন/ভারতবর্ষের মানুষ 

তাঁকে সম্মানিত করে দেশবন্ধু  বলে/ যার অর্থ "জাতির বন্ধু"/  তিনি বেশ কয়েকটি সাহিত্য সমিতির সাথে ও  ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত  ছিলেন/  তিনি 'নারায়ন' নামে একটি বাংলা পত্রিকা  সম্পাদনা করতেন/অসংখ্য নিবন্ধ, প্রবন্ধ (রাজনৈতিক),  কবিতা লিখেছিলেন / তিনি বাসন্তী দেবীকে বিবাহ করেছিলেন এবং তাঁর তিন সন্তান হল অপর্ণা দেবী , চিররঞ্জন এবং কল্যাণী দেবী /  বাসন্তী দেবী ও স্বাধীনতা আন্দোলনে স্বামীর সাথে সঙ্গ দিয়েছিলেন  এবং ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনে গ্রেপ্তার বরন করেছিলেন/ প্রথম মহিলা বন্দী হলেন তিনি / সবার প্রতি স্নেহ এবং ভালবাসা ছিল অপরিসীম /তিনি সকলের কাছে মাতৃসমা  ছিলেন / নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু বাসন্তী দেবীকে  'মা'বলে সম্বোধন করতেন

চিত্তরঞ্জন দাশ একটি আকর্ষণীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন/ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের সময় নিজের  জীবিকা (ওকালতি)ত্যাগ করেন এবং দেশের ও দশের জন্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে  রাজনীতিতে সম্পূর্ণ  ডুবে যান /

@ বিখ্যাত  অলিপুর বোমা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে অরবিন্দ ঘোষের পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন/ 

চিত্তরঞ্জন  দাশ আবার নিজের পুরানো পেশায় ফিরে  সাফল্যের সাথে অরবিন্দ ঘোষকে রক্ষা করেছিলেন/

@ ১৯০৮ খ্রিঃ মানিকতলার মামলা শুরু হয়/ এই মামলার প্রধান আসামী ছিলেন শ্রীঅরবিন্দ / তাঁকে রক্ষা করতে না পারলে দেশের চরম  সর্বনাশ হয়ে যাবে /তাই চিত্তরঞ্জন নিজের প্রগাঢ়  আইন জ্ঞান , প্রতিভা ও বাকশক্তির বলে অরবিন্দকে সব অভিযােগ থেকে মুক্ত করতে পেরেছিলেন / চিত্তরঞ্জনের সেই অলৌকিক প্রতিভায় মুগ্ধ হল সকলে/  ভারতবাসী জেগে উঠল জাগরণের মন্ত্রে / তাঁর নাম দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ল দাবানলের মতো/ যেমন ছিলেন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন,  বুদ্ধিমান তেমনই তাঁর হৃদয়ও ছিল উদার / আবার অন্যদিকে তিনি ছিলেন বজ্রের মতো   কঠোর / অন্যায়কে তিনি কখনও সহ্য করতেন না/ সেখানে তিনি তখন  অটল ও অবিচল থাকতেন /আবার অসহায় দীনের প্রতি তাঁর দয়ারও কোনো  সীমা পরিসীমা ছিল না /


@ চিত্তরঞ্জন দাশ অনুশীলন সমিতির কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন/  যখন জাতির উদ্দেশ্যে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত শত শত তরুণ/ আগুনের দল তৈরির কাজে  সমিতির সভাপতি হিসাবে

চিত্তরঞ্জন দাশ কে অনুরোধ করেছিলেন/তিনি সমিতিকে সংগঠিত করেছিলেন এবং তাঁদের সহযোগী হয়েছিলেন/মাননীয় 

চিত্তরঞ্জন দাশ (১৮৯৪), হরিদাস বোস (১৮৯৯), সুরেন হালদার (১৯০০) এবং জ্ঞানেন্দ্র নাথ রায় (১৯০১) মহাশয়দের সহায়তায় অনুশীলন সমিতির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ভার সামলানো হচ্ছিল /


@ ১৯২০ খ্রিঃ ৪ ঠা সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের সম্মেলন / চিত্তরঞ্জনের জীবনে সে এক স্মরণীয় দিন / ঘরছাড়া দেবতার ডাকে তিনি পা বাড়ালেন / নাগপুরের এই অধিবেশনে তার সঙ্গে মাহাত্মাজীর দেখা হল /উভয়ের এই পরিচয় তার জীবনে এক পরিবর্তন আনল / তিনি যখন কলকাতার বাড়িতে ফিরলেন তখন তার মনে এক অপরূপ ভাব / অর্থ , যশ , ক্ষমতা সব কিছুরই যেন তাঁর কাছে  মূল্যহীন  / তিনি দেশ সেবায় নিজেকে ও নিজের  সবকিছু উৎসর্গ করতে লাগলেন /


@ অসহযোগ আন্দোলনের সময় তিনি বাংলার  ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা  ছিলেন এবং ব্রিটিশদের তৈরি পোশাকের উপর নিষেধাজ্ঞার সূচনা করেছিলেন/নিজের ইউরোপীয় পোশাক জ্বালিয়ে এবং খাদির পোশাক পরে একটি জ্বলন্ত  উদাহরণ স্থাপন করেছিলেন / একসময় প্যারিসে তাঁর পোশাকগুলি তৈরি করাই  শুধু নয় ধোয়াও  হত/এবং তিনি তাঁর পোশাক কলকাতায় পাঠানোর জন্য প্যারিসে একটি লন্ড্রির সাথে স্থায়ী ভাবে কথা বলে  রেখেছিলেন /সেই চিত্তরঞ্জন তিনি এই সমস্ত বিলাসিতা ত্যাগ করেছিলেন শুধু মাত্র স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্যে /


@ তিনি  স্বাধীনতা অর্জনের জন্য অহিংসা ও সাংবিধানিক পদ্ধতির উপর বিশ্বাসী ও আস্থাশীল  ছিলেন / তিনি  হিন্দু-মুসলিম ঐক্য  এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে ছিলেন / গান্ধীজির   " নো কাউন্সিল এন্ট্রি " সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব আনার  পরে তিনি  ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের তাঁর সভাপতির পদ থেকে  পদত্যাগ করেছিলেন /

@ তারপরে তিনি তার আপত্তিহীন মতামত ও অবস্থান প্রকাশের জন্য  প্রবীণ মতিলাল নেহেরুকে সঙ্গে নিয়ে  তাঁর নেতৃত্বে এক নতুন সেনাবাহিনী গড়ে  তুললেন ।/তাঁর নাম দেওয়া হল  স্বরাজ দল বা স্বরাজ পার্টি / এবার তাঁর জীবনে শুরু হলাে অন্য পথচলা /দেশের সকলের কাছে জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠলেন চিত্তরঞ্জন / পরবর্তী কালে এই দল তাঁর উত্তরাধিকার তাঁর আনুগত্যের শিষ্য এবং অনুসারী সুভাষ চন্দ্র বসু দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল/


@ এদিকে কলকাতা কর্পরেশান গঠিত হলে চিত্তরঞ্জন কে কলকাতা কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র করা হল /তাঁর আদর্শ ছিল প্রকৃত জনসেবা করা /সমাজের অনাচার ও আবর্জনা দূর করাই ছিল তাঁর লক্ষ্য / দীনের সেবা, অর্তের সেবা  করা জনগণের মধ্যে জ্ঞানের আলাে ছড়ানােই তার জীবনের মূল ব্রত ছিল /

ব্রিটিশ সরকারের অনাচার অত্যাচারের বিরুদ্ধে আবার অভিযান শুরু করলেন তিনি /সরকার তখন তাঁকে কারারুদ্ধ করল / এইসঙ্গে আরও অনেক কর্মী কারাবরণ করলেন /এই অন্যায় ও অবিচার তাকে ক্ষুদ্ধ করলাে / সেই সময় শরীর ও তাঁর ভালো যাচ্ছিল না/ তাই    তিনি স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যে দার্জিলিং-রওনা দিলেন  / সেখানে তার স্বাস্থ্যের কিছুটা  উন্নতি ও হোল/


@চিত্তরঞ্জন দাশএকজন বিশিষ্ট বাঙালি কবি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন, যখন তিনি জাতীয় আন্দোলনের ঝামেলার সময়ে, তাঁর  "অন্তর্যামী" "মালঞ্চ" এবং "মালা" শীর্ষক কাব্যগ্রন্থের প্রকাশ করেছিলেন/১৯১৩ সালে তিনি "সাগর সংগীত" বা সমুদ্রের গান প্রকাশ করেছিলেন/

চিত্তরঞ্জন "নারায়ণ" নামে একটি মাসিক পত্রিকা  শুরু করেছিলেন/ সেখানে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিপিন চন্দ্র পাল , হরপ্রসাদ শাস্ত্রী দের মতো অনেক প্রখ্যাত লেখক লেখালিখি করতেন /


@ ১৯২৫ সালে চিত্তরঞ্জনের স্বাস্থ্য অতিরিক্ত কাজের কারণে খারাপ হতে শুরু করে ।/সঠিক চিকিৎসার জন্যে  চিত্তরঞ্জন ১৯২৫ সালের মে মাসে স্যার এন. এন. সরকারের বাড়িতে  দার্জিলিং গিয়ে থেকেছিলেন /মহাত্মা গান্ধী তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন এবং কিছু দিন তাঁর সাথে ছিলেন/


@ গান্ধীজি লিখেছেন-

"আমি যখন দার্জিলিং ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম তখন আমি আরও অনেক কিছু ভেবে ছিলাম যা আমি আগে কখনও ভেবে দেখিনি/  দেশবন্ধুর প্রতি আমার স্নেহ, আর এই মহান আত্মার প্রতি আমার উষ্ণ অনুভূতির কোনও শেষ নেই /"


@ দার্জিলিংয়ে ১৯২৫ সালের ১৬ ই জুন ভারতের স্বাধীনতার আকাশের অন্ধকার নেমে এলো দেশনেতার মহা প্রায়নে /দেশ হারালে এই মহান নক্ষত্র টিকে/


@ ১৯৫০ সালে চিত্তরঞ্জন সেবা সদনের প্রাঙ্গণে চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয় /  তাঁর মৃত্যুর কয়েক বছর আগেই চিত্তরঞ্জন তাঁর বাড়ি এবং পার্শ্ববর্তী জমি সহ এই সম্পত্তি নারীদের জীবনের উন্নতির  জন্য জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন /সেখানেই দেশবন্ধুর নামাঙ্কিত চিত্তরঞ্জন সেবাসদন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো / 


@এই মহান নেতার প্রয়ানের পর শোকার্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার সম্বন্ধে লিখেছেন.....


"এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ।

মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান।।"


বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল রচনা করলেন....


"দীনের বন্ধু, দেশের বন্ধু, মানব বন্ধু তুমি,

চেয়ে দেখ আজ লুটায়ে বিশ্ব তোমার চরণ চুমি। "

আজ তুমি নেই/ ভারতবর্ষের  ইতিহাসে তোমার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে চিরকাল/

আজ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের ৯৭ তম মৃত্যু দিনে  আমার  আন্তরিক শ্রদ্ধা ও  আভূমি প্রণাম জানাই/



No comments